দু’পায়ে হাঁটে, শুদ্ধ বা অশুদ্ধ ভাষায় কথা বলে আর রান্না করা তরকারি-গোশত খায়, তাকে মানুষ বলে না। আসলে মানুষ মানুষ হয় আদর্শ চরিত্র ও উন্নত নৈতিকতার মাধ্যমে।
কথাটা আজ বিশেষ করে মনে পড়লো একটি ঘটনার কারণে। এস, আলম গাড়ীযোগে বাড়ী থেকে মাদরাসায় আসছিলাম। আশা ছিলো আরামদায়ক বাসের এই যাত্রা আরামদায়ক হবে, কিন্তু হলো না। এক ভদ্রলোক, দেখতে ভদ্র লোকই মনে হলো। গাড়ীতে উঠেই বসার আসন নিয়ে আমাদের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করলেন, একেবারে অন্যায়ভাবে এবং কর্কশ ভাষায়। একপর্যায়ে তিনি বলে বসলেন, হুযূররা সব জঙ্গী। (মনে মনে বললাম, তোমরা সব জঙ্গলী।)
আসলে এ কথা বলে ভদ্রলোক তার অভদ্রতারই চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটিয়েছেন। কোন ভদ্রলোক এভাবে কাউকে আঘাত করে কথা বলতে পারে না। এরা হয়ত লেখা-পড়া করেছে, তবে শিক্ষা অর্জন করতে পারেনি। লেখা-পড়া করা, আর শিক্ষা অর্জন করা এক জিনিস নয়। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে ভদ্র হওয়ার তাওফীক দান করেন।
সম্পাদকঃ সারাটা লেখায় তুমি শুধু অন্যের কথাই বলে গেলে, নিজের কথা তো বললে না। ভদ্রলোকের অভদ্র আচরণের উত্তরে তুমি কী করেছো এবং কী বলেছো?
আশা করি, অভদ্রতার চূড়ান্ত প্রকাশের বিপরীতে তুমি ভদ্রতার চূড়ান্ত প্রকাশ করেছো। হাঁ, অনুকূল-প্রতিকূল এবং উত্তম-অধম সবরকম পরিস্থিতিতে আমাদের এমন আচরণ করতে হবে, যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে, আমরা শুধু লেখা-পড়া করি না, শিক্ষাও অর্জন করি।