আমি ভালোবেসেছিলাম তোমাকে, সবকিছু ভুলে, সবকিছু ফেলে। আমি ভালোবেসেছিলাম তোমাকে আলো ও আলেয়ার পার্থক্যে বিস্মৃত হয়ে।
আমি ভালোবেসেছিলাম তোমাকে বুকের কম্পন ও হৃদয়ের স্পন্দন উৎসর্গ করে, নিজের অস্তিত্বকে বিসর্জন দিয়ে।
অঙ্গে তোমার ঝলমল রূপ ছিলো, ঠোঁটে মধুর হাসি ছিলো, চোখে মায়াবী চাহনি ছিলো, আর ছিলো ছলনার হাতছানি। তোমার ভালোবাসা পেতে হে ছলনাময়ী, তোমাকে আমি ভালোবেসেছিলাম।
অবশেষে সবকিছু হারিয়ে, জীবনে যৌবনে রিক্ত নিঃস্ব হয়ে আজ আমি বুঝতে পেরেছি, কত বড় ভুল আমি করেছি! ঝলমল রূপের আবরণে, মধুর হাসি, ও মায়াবী চাহনির আড়ালে, বুঝতে পারিনি, কত জঘন্য তুমি! কত ঘৃণ্য তুমি!
তোমার হাতছানির ছলনায় কতজন ভুলেছে! কতজন ডুবেছে! তবু আমি ভুল করলাম! হে ছলনাময়ী, রূপের মোহে সবকিছু ভুলে তোমাকে আমি ভালোবাসলাম!
একটি সুন্দর সাজানো বাগান ছিলো। সবুজ ছায়া ছিলো, সুরভিত ফুল ছিলো, সুস্বাদু ফল ছিলো, আর আমার প্রতি ভালোবাসার আহবান ছিলো, দয়া ও অনুগ্রহের আশ্বাস ছিলো, কিন্তু আমি ভুল করেছি। সবুজ উদ্যান ত্যাগ করে মরীচিকার পিছনে ছুটেছি। মরীচিকার কাছে কেউ কি পায় তৃষ্ণার জল!
আমি ভুল করেছি, তবু পাঁচবার এখনো আসে ভালোবাসার আহবান! এখনো আছে সাজানো সুন্দর সেই বাগান, সেই ছায়া, সেই ফুল ও ফল! একফোঁটা চোখের জল নিয়ে আমি ফিরে যাবো সেই দুয়ারে, সেই সবুজ বাগানে! সেই ভালোবাসার আহবানে সাড়া দিয়ে।