জীবনের কোলাহলে এমন ডুবে থাকি আমরা যে, সবকিছু ভুলে যাই; আপন-পর সবাইকে ভুলে যাই, এমনকি নিজেকেও। কত নির্বোধ আমরা!
জীবনের দৌড়ঝাঁপে দিনরাত এত ব্যতিব্যস্ত থাকি আমরা যে, জীবন থেকে সবকিছু হারিয়ে যায়। জীবনের সুখ-শান্তি এবং জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সব হারিয়ে যায়, এমনকি হারিয়ে যায় জীবনটাও। কত নির্বোধ আমরা!
জীবনের কোলাহলে এবং জীবনের দৌড়ঝাঁপে সবকিছু এমনভাবে চাপা পড়ে যায় যে, একসময় এটাও আমরা ভুলে যাই, কিসের এত কোলাহল? কেন এত দৌড়ঝাঁপ? চারপাশের সবকিছু তখন মনে হয় অচেনা, অজানা। যারা খুব কাছের, খুব আপন, তারাও হয়ে পড়ে অপরিচিত। কারণ নিজের কাছে আমি নিজেই হয়ে পড়ি অপরিচিত। আমাকেই আমি তখন আর চিনতে পারি না। আমার বাইরের কোলাহল ও দৌড়ঝাঁপ ভিতরের আমাকে যেন নিক্ষেপ করে নিঃসঙ্গতা ও নির্জীবতার অতল গহবরে।
জীবনের ব্যস্ততা ও ত্রস্ততায় আমাদের এমনই ‘উঠি-পড়ি’ অবস্থা যে, কারো সঙ্গেই আর একটু নিরিবিলি হওয়ার সুযোগ নেই, এমনকি নিজের সঙ্গেও না।
জীবনের কোলাহলে, জীবনের দৌড়ঝাঁপে এবং জীবনের ব্যস্ততা ও ত্রস্ততায় এভাবে হারিয়ে যাওয়ার জন্যই কি পৃথিবীতে আমার আগমন? একবারও কি ভেবে দেখবো না, কে আমি? কোত্থেকে আমার আগমন? কোথায় আমার গন্তব্য? কীভাবে জীবনের শুরু? কোথায় জীবনের শেষ? কীভাবে আমি চিনবো আমাকে? কীভাবে আমি ভালোবাসবো আমাকে?
জীবনের স্পন্দন যখন থেমে যাবে, জীবনের সব কোলাহল ও দৌড়ঝাঁপ যখন শেষ হয়ে যাবে তখন কোথায় খুঁজে পাবো আমি আমাকে?
এখনো সময় আছে নিজেকে তালাশ করার, নিজেকে খুঁজে পাওয়ার। অন্তত কিছু সময়ের জন্য যদি বের হয়ে আসতে পারি জীবনের কোলাহল থেকে, কিছু সময়ের জন্য যদি মুক্ত হতে পারি জীবনের ব্যস্ততা থেকে, তখন আমি শুনতে পাবো একটি ডাক। অদৃশ্যের আড়াল থেকে পরম মমতার সঙ্গে কেউ ডাকছে আমাকে, যা এত দিন আমি শুনতে পাইনি জীবনের এই সব অর্থহীন কোলাহলের কারণে।
জীবনের কোলাহলে এমন ডুবে থাকি আমরা যে, সবকিছু ভুলে যাই; আপন-পর সবাইকে ভুলে যাই, এমনকি নিজেকেও। কত নির্বোধ আমরা!
জীবনের দৌড়ঝাঁপে দিনরাত এত ব্যতিব্যস্ত থাকি আমরা যে, জীবন থেকে সবকিছু হারিয়ে যায়। জীবনের সুখ-শান্তি এবং জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সব হারিয়ে যায়, এমনকি হারিয়ে যায় জীবনটাও। কত নির্বোধ আমরা!
জীবনের কোলাহলে এবং জীবনের দৌড়ঝাঁপে সবকিছু এমনভাবে চাপা পড়ে যায় যে, একসময় এটাও আমরা ভুলে যাই, কিসের এত কোলাহল? কেন এত দৌড়ঝাঁপ? চারপাশের সবকিছু তখন মনে হয় অচেনা, অজানা। যারা খুব কাছের, খুব আপন, তারাও হয়ে পড়ে অপরিচিত। কারণ নিজের কাছে আমি নিজেই হয়ে পড়ি অপরিচিত। আমাকেই আমি তখন আর চিনতে পারি না। আমার বাইরের কোলাহল ও দৌড়ঝাঁপ ভিতরের আমাকে যেন নিক্ষেপ করে নিঃসঙ্গতা ও নির্জীবতার অতল গহবরে।
জীবনের ব্যস্ততা ও ত্রস্ততায় আমাদের এমনই ‘উঠি-পড়ি’ অবস্থা যে, কারো সঙ্গেই আর একটু নিরিবিলি হওয়ার সুযোগ নেই, এমনকি নিজের সঙ্গেও না।
জীবনের কোলাহলে, জীবনের দৌড়ঝাঁপে এবং জীবনের ব্যস্ততা ও ত্রস্ততায় এভাবে হারিয়ে যাওয়ার জন্যই কি পৃথিবীতে আমার আগমন? একবারও কি ভেবে দেখবো না, কে আমি? কোত্থেকে আমার আগমন? কোথায় আমার গন্তব্য? কীভাবে জীবনের শুরু? কোথায় জীবনের শেষ? কীভাবে আমি চিনবো আমাকে? কীভাবে আমি ভালোবাসবো আমাকে?
জীবনের স্পন্দন যখন থেমে যাবে, জীবনের সব কোলাহল ও দৌড়ঝাঁপ যখন শেষ হয়ে যাবে তখন কোথায় খুঁজে পাবো আমি আমাকে?
এখনো সময় আছে নিজেকে তালাশ করার, নিজেকে খুঁজে পাওয়ার। অন্তত কিছু সময়ের জন্য যদি বের হয়ে আসতে পারি জীবনের কোলাহল থেকে, কিছু সময়ের জন্য যদি মুক্ত হতে পারি জীবনের ব্যস্ততা থেকে, তখন আমি শুনতে পাবো একটি ডাক। অদৃশ্যের আড়াল থেকে পরম মমতার সঙ্গে কেউ ডাকছে আমাকে, যা এত দিন আমি শুনতে পাইনি জীবনের এই সব অর্থহীন কোলাহলের কারণে