রেলগাড়ীতে করে নানুর বাড়ী যাচ্ছি। হঠাৎ দেখি, ছবির মত সুন্দর একটি স্থান! সবুজে ঢাকা ছোট ছোট পাহাড়। স্বচ্ছ ঝর্ণা বয়ে চলেছে এঁকেবেঁকে। গাছগুলো যেন সবুজ ছাতা। পাখীদের কলরব, খরগোশের ছোটাছুটি ...
আমার ভীষণ ইচ্ছে করছে খুব কাছে থেকে জায়গাটা দেখতে। কী করি! আম্মু-আববু বসে বসে ঝিমুচ্ছেন, আমি হঠাৎ জানালা দিয়ে লাফ দিলাম। লাফ দিয়েই দৌড় দিলাম। না, একটুও ব্যথা পাইনি। প্রথমে গেলাম পাহাড়ী ঝর্ণাটির কাছে। এত স্বচ্ছ পানি যে, সবকিছু পরিষ্কার দেখা যায়। পানিতে নামলাম। আহ, কী শীতল! আঁজলা ভরে পানি পান করলাম। আহ, কী মিষ্ট! কিছু দূর হেঁটে যাওয়ার পর দেখি, সুন্দর একটি জলাশয়। তাতে যেন লাল-সাদা শাপলার মেলা বসেছে। এদিকে গাছে গাছে পাখীদের কিচিরমিচির, ওদিকে ঝোপঝাড়ের ফাঁকে খরগোশেরা ছোটাছুটি করছে, কী সুন্দর দৃশ্য!
ছায়াঘেরা এমন নির্জন স্থান আমার খুব প্রিয়। ভাবলাম, এখানে একটি ঘর বানাবো এবং এখানেই বসবাস করবো। সবুজের সঙ্গে মিশে থাকবো, পাখীদের সঙ্গে মিতালী করবো, কত আনন্দ হবে! কিন্তু একি! একদল মানুষ যে গাছগুলো কেটে ফেলছে! এখানে নাকি কলকারখানা হবে! সবুজ গাছ তো প্রাণ ও সজীবতার প্রতীক; কীভাবে মানুষ গাছ কেটে ফেলে! কীভাবে মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে। আমি চিৎকার করে উঠলাম। থামো হে নিষ্ঠুর মানুষ। এভাবে গাছ কেটো না, এভাবে সবুজের সর্বনাশ করো না। হঠাৎ চোখ খুলে গেলো। দেখি, আম্মু আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছেন, আর...