সালাম গ্রহণ করো। আমার পুত্র মুহাম্মদ এবার কিশোর বিভাগের সম্পাদকীয়টি লিখেছে। এটা ওর জীবনের প্রথম সম্পাদকীয়। দু‘আ করো আল্লাহ যেন তাকে এবং তোমাদেরও সুন্দর কলম দান করেন, সুন্দর জীবন দান করেন, আমীন। সে লিখেছে জীবনের অঙ্গনে ভাষা ও সাহিত্যের গুরুত্ব সম্পর্কে। তার মতে, ‘ভাষা ও সাহিত্য জাতির চিন্তাজগত নিয়ন্ত্রণ করে। সুতরাং ভাষা ও সাহিত্যের নিয়ন্ত্রণ যাদের হাতে থাকবে জাতির চিন্তা-জগতের নিয়ন্ত্রণও থাকবে তাদের হাতে।’ খুবই সত্য কথা, তার চেয়ে সত্য কথা এই যে, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই, রয়েছে বাতিল শক্তির হাতে। তাই সত্য ও সুন্দরের পরিবর্তে এখন তা হয়ে পড়েছে অসত্য ও অসুন্দরের বাহন। মুহাম্মদের মতে- ‘ভাষা ও সাহিত্যকে যদি আমরা সত্য ও সুন্দরের বাহনরূপে দেখতে চাই তাহলে এখন আমরা যারা কিশোর তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। কলমের প্রতি আমাদের অনেক যত্নবান হতে হবে এবং সাহিত্যের সাধনায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।’ এ বিষয়ে সে খুব মূল্যবান একটি পরামর্শ দিয়েছে, ‘সাহিত্যচর্চার নামে আমরা এমন সব বইপত্র পড়ি যাতে সুন্দর ভাষা ও সুন্দর সাহিত্য হয়ত আছে, তবে সেই সঙ্গে আছে চিন্তা ও চেতনাকে ভুল পথে নেয়ার এবং চরিত্র ও নৈতিকতাকে নষ্ট করার বহু উপাদান। আমাদের যেহেতু ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার এবং মন্দকে পরিহার করে শুধু ভালোটুকু গ্রহণ করার যোগ্যতা নেই তাই আমাদের অজান্তেই আমাদের বিরাট ক্ষতি হয়ে যায়।’ তাহলে কিশোরবন্ধুদের সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে করণীয় কী? এসম্পর্কে মুহম্মদের বক্তব্য হলো, ‘শুরুতে আমরা আমাদের লেখা ও পড়া পুষ্প পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রাখবো। কারণ এখানে আমাদের জন্য ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষার প্রয়োজনীয় উপকরণ যথেষ্ট পরিমাণেই রয়েছে।’