শাবান ১৪৩১হিঃ (১৭)

তোমাদের পাতা

শৈশবের স্মৃতি এখনো মনে পড়ে

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
জীবনের আঠারোটি বছর পার হয়ে এখন আমি পরিপূর্ণ এক তরুণ। তবে আমি আমার শৈশবকে এখনো ভুলিনি। শৈশবের সুখ-দুঃখের বিভিন্ন স্মৃৃতি এখনো আমাকে দোলা দেয়। আম্মু হাতছানি দিতেন, আমি দৌড়ে এসে আম্মুর কোলে ঝাঁপ দিতাম। পৃথিবীতে এর চেয়ে আনন্দের, এর চেয়ে সুখের কিছু তখন আমার কাছে ছিলো না। সেই কোল ছেড়ে যেদিন চলে যেতে হলো দূরের এক মাদরাসায়, মক্তবে, তখনকার কষ্ট মনে হলে এখনো মনটা কেমন যেন মোচড় দিয়ে ওঠে। ভাবতাম, আমার চেয়ে দুঃখী পৃথিবীতে আর কেউ নেই। তখন কান্নাই ছিলো আমার একমাত্র সঙ্গী। চোখ থেকে অশ্রু ঝরতো, কিন' সে অশ্রু মুছে দেয়ার মমতাপূর্ণ আঁচলটি ছিলো অনেক দূরে। বৃষ্টির দিনে যখন কাঁদতাম, মনে হতো, আমার দুঃখেই বুঝি আকাশ এমন করে কাঁদছে। তখন বুঝতে পারতাম না, আকাশের চোখের জল বেশী, না আমার চোখের জল! কত দিন পর বাড়ীতে আসতাম। দূর থেকে আম্মুকে দেখেই দৌড়ে গিয়ে আম্মুর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়তাম, তখন সব কান্নারা যেন একসঙ্গে আবার ঝাঁপিয়ে পড়তো আমার উপর। তবে সেই কান্নায় অনেক সুখ ছিলো। আম্মু যে তখন আমার মাথায় তার কোমল হাতটি বুলিয়ে দিতেন, মমতার আঁচল দিয়ে চোখের জল মুছে দিতেন, আদর করে গালে চুমু খেতেন! কিন' দু’দিন না যেতেই আব্বু জোর করে মাদরাসায় নিয়ে যেতেন, তখন মনে হতো, পৃথিবীতে আব্বুর চেয়ে নিষ্ঠুর কেউ নেই। এখন শুধু বলি, রাব্বিরহাম হুমা কামা রাব্বায়ানী ছাগীরা। আব্দুর রহমান বিন আব্দুল করিম/ খিলবাড়ি
শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা