পৃথিবীকে আল্লাহ কত সুন্দর করে সাজিয়েছেন! চারদিকে শুধু সৌন্দর্য আর সৌন্দর্য! চাঁদের জোসনা, তারার ঝিলিমিলি, আকাশে মেঘের আল্পনা, জোনাকির আলো, এসব সৌন্দর্যের কী কোন তুলনা আছে!
নদী-সাগর-ঝর্ণা ও জলপ্রপাত, কিংবা আকাশ থেকে অঝোরধারে রিমঝিম বৃষ্টি ঝরা, তারপর রংধনুর আলো ছড়ানো, এসব সৌন্দর্যের কি কোন তুলনা আছে!
কত বিচিত্র বর্ণের ফুল ফোটে পৃথিবীর বাগানে! সবুজ পাতা এবং পতাবাহার! প্রজাপতি, আর টিয়াপাখী! ভোরের রাঙ্গা সূর্য এবং সবুজ ঘাসের ডগায় শিশিরবিন্দু! এসব সৌন্দর্যের কি কোন তুলনা আছে!
স্বয়ং মানুষের সৌন্দর্য! একটি সুন্দর মুখের জন্য মানুষ তো প্রাণ পর্যন্ত বিলিয়ে দেয়!
আমাদের চারপাশে অসংখ্য সৌন্দর্যের এই যে বিপুল আয়োজন তা দেখে আমরা কত না মুগ্ধ হই! পুলকে আনন্দে কত না বিহবল হই!
কিন্তু যদি চোখের দৃষ্টি না হতো! জগতের সব সৌন্দর্য অর্থহীন হয়ে যেতো। সবকিছু অন্ধকার হয়ে যেতো। দিনের আলো, রাতের অাঁধার সমান মনে হতো। অন্ধকে জিজ্ঞাসা করো, চোখের দৃষ্টি আল্লাহর কত বড় নেয়ামত! তাকে জিজ্ঞাসা করো, ফুলের সৌন্দর্য এবং রঙধনুর বর্ণচ্ছটা তার দেখতে ইচ্ছে হয় কি না!
যখনই আমরা কোন সৌন্দর্য উপভোগ করি, আমাদের কর্তব্য হলো চোখের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া। চোখের প্রতি তুমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে, অন্ধকে সাহায্য করে এবং দৃষ্টিকে সংযত রেখে।