পরের দিন একই দৃশ্য। গাশতের আগে আমরা ওদের সামনে ওদের ভাষায় আল্লাহর বড়ত্বের আলোচনা করলাম। আল্লাহর পেয়ারা নবীর পবিত্র জীবনী এবং ছোট ছোট ছাহাবার বিভিন্ন ঘটনা শুনালাম। তারপর ওরাও নিজেদের মত করে কিছু কিছু বললো। ওদের নিষ্পাপ মুখে আল্লাহর বড়ত্বের আলোচনা নবী ও ছাহাবীর ঘটনা সত্যি অন্যরকম!
আমি নিয়ত করলাম, আদীব- হুযূরের ‘ছোটদের আকীদা সিরিজ’ সীরাত সিরিজ ও ফাযায়েল সিরিজের বইগুলো ওদের কচি কচি হাতে তুলে দেবো, ইনশাআল্লাহ।ওরা বললো, আমরা মাগরিব পর্যন্ত ঈমানের আলোচনা করবো। আরিফ ভাই বললেন, ‘কিছুক্ষণ আলোচনা করবে, তারপর খেলাধূলা করবে। খেলাধূলারও প্রয়োজন আছে। তাতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এই নিয়তে খেলাধূলা করবে যে, সুস্থ থেকে আমরা দ্বীনের কাজ করবো।’ মানুষ যত ছোট থাকে তাদের হৃদয় তত স্বচ্ছ থাকে। শিশুরা আসলেই জান্নাতের ফুল। কিন্তু বড় হতে হতে মানুষ তার ভিতরের শিশুটিকে হারিয়ে ফেলে।
শিশুদের কোমল কচি মনে যা গেঁথে দেয়া হয় তা চিরকাল থেকে যায়। তাই যদি শিশুদের সঠিকভাবে দ্বীনী যত্ন নেয়া হয় এবং তাদের মাঝে ঈমানী চেতনা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয় তাহলে বড় হয়ে ওরা সেই চেতনারই ধারক ও বাহক হবে এবং তাদের হাতেই ফিরে আসবে আমাদের হারিয়ে যাওয়া অতীতের গৌরব, ইনশাআল্লাহ।