রমযান ১৪৩০ হিঃ (১৩)

কিশোর পাতা

মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
মা, আহা কী শান্তি! মা, আহা কী প্রশান্তি! মা, তুমি গাছের ছায়া, মেঘের ছায়া! না না, তুমি অন্য কিছু। তুমি ফুলের হাসি, চাঁদের হাসি! না না, তুমি অন্য কিছু। তুমি মমতার ছবি, আমার মুখের হাসি তোমার মুখে আনে উদ্ভাস! আমার চোখের পানি তোমার চোখে আনে অশ্রুর আভাস! আমার ক্ষুধা পেলে সবার আগে তুমি বোঝো! কীভাবে মা? আমি না খেলে তুমিও অনাহারে থাকো! কেন মা? আমি অসুস্থ হলে উৎকণ্ঠায় তুমি রাত জাগো! কেন মা? তোমার আঁচলের ছায়ায় এত শান্তি কেন মা! আকাশে পূর্ণিমার চাঁদটি দেখে তোমার মুখটি কেন মনে পড়ে মা! ব্যথা পেলে, কাঁটা বিঁধলে তোমায় কেন ডেকে উঠি মা! তুমি কে মা? তুমি কী মা! তুমি কি আকাশ থেকে ঝরা করুণা! তুমি কি ঝির ঝির বয়ে যাওয়া ঝর্ণা! মা নামটি তোমায় কে দিলো মা! মা!! মা!!! তোমার সঙ্গে আমার কিসের বন্ধন মা! নাড়ির! দুধের! বেদনার! আর্তচিৎকারের! কিসের বন্ধন মা! জান্নাতের! আমার জান্নাত কোথায় মা! আসমানে! তোমার কদমের নীচে! একটু ছুঁয়ে দেখবো মা, তোমার পাক কদম! কত কষ্ট সয়েছো মা আমাকে গর্ভে ধারণ করে, আমাকে প্রসব করে, আমাকে লালন-পালন করে। আরো কত কষ্ট সইবে মা! কীভাবে তোমার প্রতি আমার হৃদয়ের কৃতজ্ঞতা জানাবো মা!
শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা