রজব ১৪৩০ হিঃ (১২)

তোমাদের পাতা

তোমাকে

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

আজ এ নিঃসঙ্গ মুহূর্তে বড় বেশী মনে পড়ে তোমাকে। কোথায় তুমি, কত দূরে! আমি জানতাম একটি হৃদয় আছে আমার জন্য। সেই হৃদয়ে আছে একটি উদ্যান। সেখানে যত কলি আসে, যত ফুল ফোটে সব আমার জন্য। আমি কত ভাগ্যবান! আমি জানতাম, হৃদয়ের বসন্ত চিরকালের জন্য; জানতাম না, হৃদয়ের উদ্যানেও আসে শরত ও হেমন্ত! তখন পাতা ঝরে যায়, বসন্তের চি?হ্ন মুছে যায়। তবু তো বসন্তের প্রতীক্ষায় প্রহর গোণা যায়! কিন্তু হৃদয় যদি হারিয়ে যায়! ‘হৃদয়হীন’ জীবনের যন্ত্রণা কি সহ্য করা যায়! তবু আমি বেঁচে থাকবো! পাতাঝরা হেমন্তে আমি বেঁচে থাকবো বসন্তের প্রতীক্ষায়! বুকের দুয়ারে আমি বসে থাকবো হারিয়ে যাওয়া হৃদয় ফিরে পাওয়ার ব্যাকুলতায়। হারানো হৃদয় কি কখনো ফিরে আসে না? কখনো প্রকৃতি আরো নির্মম হয়। উদ্যানে সে বসন্ত আনে। বৃক্ষের শাখায় শাখায় ফুল ফোটায়, কোকিল-বুলবুলির কণ্ঠে তুলে দেয় বসন্তের গান। আর তোমাকে বলে, এ উদ্যানের বুলবুলি ও ফুলগুলি এখন তোমার জন্য নয়! এখন তুমি তো নও এ মালঞ্চের মালাকর! তুমি কি জানতে না, হৃদয়ের ঠিকানা বদল হয়, বসন্তেরও হয় পালাবদল! হে হৃদয়! হে বসন্ত!! তবু আমি রক্ষা করবো জীবনের বন্ধন, একদিন যদি বুলবুলির দয়া হয়, আর বলে, আমার গানের শেষ কলিটি তোমার জন্য! একদিন যদি ফুলগুলির মায়া হয়, আর বলে, দূর থেকে সুবাস গ্রহণ করো, কিংবা কাছে এসে তুলে নাও একটি ঝরা পাপড়ি! তাও যদি না হয়, আমি বেঁচে থাকবো আমার অতীতের জন্য। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মত হৃদয়হীন ও নিষ্ঠুর নয়। আমার অতীত আমাকে একটি হৃদয় দান করেছিলো। তাতে বসন্ত ছিলো, শাখায় শাখায় ফুল ছিলো, কোকিল ও বুলবুলির গান ছিলো। আমি ভালোবেসে যাবো বসন্তের অতীতকে এবং অতীতের বসন্তকে। বেঁচে থাকবো সেই ঝরা ফুলগুলির স্মৃতি স্মরণ করে! কোকিল ও বুলবুলির হারিয়ে যাওয়া গানের স্মৃতি হয়ে।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা