রজব ১৪৩০ হিঃ (১২)

তোমাদের পাতা

ইকরামের জানাযায়

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
আমাদের সবার প্রিয় ছাত্রভাই ইকরাম আমাদেরকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় গ্রহণ করলো। তার পরিবারের জন্য এটা ছিলো সর্বশেষ বিপর্যয়। পিতা-মাতার চার সন্তানের মধ্যে সে ছিলো সবার বড়। তাদের পরিবারে প্রাচুর্য না থাকলেও অভাব ছিলো না। মোটামুটি সুখ-শান্তি ছিলো। একদিন হঠাৎ করেই সবার আদরের ছোট বোনটি মারা গেলো। এটা ছিলো পরিবারে আকস্মিক প্রথম মৃত্যুশোক। কিন্তু মৃত্যু এবার আরো বড় আঘাত হানলো। তিনমাস পর সাবইকে এতীম করে ইকরামের আব্বা মৃতুবরণ করলেন। সংসারে নেমে এলো চরম বিপর্যয়। বিপদের পাহাড় ভেঙ্গে পড়লেও ইকরামের মা ভেঙ্গে পড়লেন না। ছবরকে ঢাল বানিয়ে সন্তানদের আগলে রেখে তাদের মানুষ করার সংগ্রামে অবতীর্ণ হলেন। ইকরামকে তিনি মাদরাসায় পাঠালেন। কাউকে তিনি বুঝতে দিলেন না, কীভাবে সংসার চলছে এবং কীভাবে চলছে তার নিজের জীবন। তাঁর মনে শুধু একই স্বপ্ন, ছেলে তার বড় আলিম হবে, মানুষের মত মানুষ হবে। ইকরামের আব্বার রূহ তাতে শান্তি পাবে। কিন্তু হায়, এক বিধবা মা তার দুর্বল হাতে তাকদীরকে কীভাবে রোধ করবেন! এবার মৃত্যু এসে ছিনিয়ে নিলো তার আশা-ভরসার ধন ইকরামকে। ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে তিনি যেন পাথর হয়ে গেলেন। কাঁদবার জন্য একফোঁটা পানিও ছিলো না তার চোখে। লেখা-পড়ায়, আমল-আখলাকে সব দিক থেকেই ইকরাম ছিলো ছাত্র-শিক্ষক সবার প্রিয়। সবার মনে আশা ছিলো, সে হবে ভবিষ্যতের আলিমে দ্বীন। কিন্তু...। তালিবে ইলমের একটি জামাত তাকে গোসল দিলো এবং আসাতিযা কেরাম সুরমা ও কাফনের সাজ পরালেন। জান্নাতের হুর-গেলমান যেন তার প্রতীক্ষায় ছিলো। তালিবানে ইলমের বিরাট এক নূরানী জামা‘আত তার জানাযায় ...।
শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা