রজব ১৪৩০ হিঃ (১২)

কিশোর পাতা

লেখা দিতে ইচ্ছে হলো না!

লিখেছেনঃ সাফফানা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
একসময় লেখার প্রতি আমার কোন অনুভূতি ছিলো না। আমার কাছে কলম ছিলো, কাগজ ছিলো, কিন্তু লেখা ছিলো না। হঠাৎ একদিন লেখার প্রতি আমার ভালো লাগার অনুভূতি হলো। কীভাবে হলো, জানি না। একটু একটু করে লিখতে শুরু করলাম। হৃদয়ের ভালো লাগা আমার অজান্তেই ভালোবাসায় পরিণত হলো। লেখার সঙ্গে আমি অন্তরঙ্গ হলাম এবং কলমের সঙ্গ গ্রহণ করলাম। তখন থেকে কাগজ কলম হলো আমার দুঃখের, সুখের নিত্যসঙ্গী। তার পর! তার পর একদিন আমি হৃদয়ের গভীরে লেখার প্রতি পরম মমতা অনুভব করলাম। কীভাবে করলাম, জানি না। তখন থেকে আমি কলমের গায়ে হাত বুলাই এবং কাগজের ঘ্রাণ নেই। কাগজের ঘ্রাণ আমার কাছে মনে হয় ফুলের ঘ্রাণ। এখন আমি লিখি না, আমার হৃদয়ে এখন ভাবের কলি ফোটে এবং আমার কলম থেকে লেখার ফুল ঝরে। এই যে মাত্র কয়েকটি বাক্য, আসলে তাতে লুকিয়ে আছে আমার এই ছোট্ট জীবনের সবটুকু কাহিনী। লুকিয়ে আছে আমার কিছু হাসি এবং অনেক কান্না, কিছু আনন্দ এবং অনেক বেদনা। লেখার প্রতি আমার মমতা ঠিক যেন মায়ের মত। ইচ্ছে করে আঁচল দিয়ে লুকিয়ে রাখি আমার প্রতিটি লেখা! তাই আব্বুর চাওয়ার পরও লেখা দিতে ইচ্ছে হলো না। আব্বু কষ্ট পেয়েছেন, ভেবে আমারও কষ্ট হচ্ছে, তবু আব্বুর হাতে কোন লেখা না দিয়ে আঁচলের তলায় লুকিয়ে নিয়ে চলে এলাম। থাক, আমার লেখা আমার কাছেই থাক, আমার সন্তানের মত।
শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা