আমার দু’টি জীবন, দু’দিন আগে এবং এখন!
মাঝখানে অতীত হয়েছে অনে-ক দিন। জীবনের সবুজপাতা হয়ে পড়েছিলো বিবর্ণ। চোখের পাতায় ছিলো না আলোর স্বপ্ন এবং স্বপ্নের আলো। এভাবেই হয়ত শেষ হয়ে যেতো জীবনের দিন, জীবনের সময় এবং জীবনের....!কিন্তু .. জীবনের সবকিছু যখন শুকিয়ে প্রায় মুরুভ‚মি হয়ে যায়! যখন প্রায় নিশ্চিত মনে হয়, জীবন আর কখনো সবুজের ছোঁয়া এবং সজীবতার পরশ পাবে না! জীবন হয়ত এখন সারা জীবনের জন্য হারিয়ে যাবে নিরাশার গভীর অন্ধকারে!তখন, ঠিক তখন আকাশ করুণার বৃষ্টি বর্ষণ করে, কখনো ঝিরঝির, কখনো রিমঝিম, কখনো মুষলধারে। জীবনের মরুভ‚মিতে ধীরে ধীরে তখন যেন প্রাণের সাড়া/আভাস জাগে! জীবন যেন আবার সবুজ হতে শুরু করে! জীবনে সজীবতা আবার যেন ফিরে আসতে শুরু করে! জীবনের পরতে পরতে নিরাশার যে আঁধার ছিলো, আলোর পরশে ধীরে ধীরে তা যেন দূর হতে থাকে! এজন্যই হয়ত আকাশকে আকাশ বলে!পুষ্পের সঙ্গে আমার জীবনের সম্পর্ক, ঠিক যেন জীবনের ভ‚মি ও মৃত্তিকার সঙ্গে আকাশ ও তার করুণার বৃষ্টি! ঝিরঝির, রিমঝিম এবং...!সামান্য কিছু বলা হলো। অনেক কিছু বলার ছিলো, অনেক কিছু বলার রয়ে গেলো। বলার কষ্ট এবং না বলার আনন্দ, দু’টোই যেন পাওয়া হলো আমার আজকের এ লেখা থেকে!(উহ্য থাক লেখকের নাম, যা অনেক ব্যথা দেয় এবং সামান্য আনন্দ দেয়)০০ অল্প কথায় যদি তোমার কলম ও তার লেখা সম্পর্কে মন্তব্য করি, তাহলে বলতে হবে দু’টি বাক্যÑ (ক) কলমকে জীবন থেকে এবং জীবনকে কলম থেকে দূরে রেখেও মানুষ এমন ভালো লেখা লিখতে পারে কীভাবে....(খ) তোমার লেখা যদি হয় একটি ভ্রƒণ, তাহলে তা পূর্ণতা লাভ করেছে, শুধু বাকি আছে প্রাণের সংযোগ। দেখো তো, এখন প্রণের সংযোগ ঘটেছে কি না!