মুহাররম ১৪৪৫ হিঃ

পুষ্পকলি

পুষ্পের উদ্যানে তোমাদের স্বাগতম!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

আজ থেকে অনেক আগে! তা কত আগে! হিসাব করে বলা তো কঠিন! ধরো বছরে হয় তিনশ পয়ষট্টি দিন। এখন ৩৬৫ কে গুণ দাও চার দিয়ে। কত হলো! নাহ্ মেলা দিন!

থাক, রাখো তোমার অঙ্কের ঝামেলা! আসল কথা, আজ থেকে অনেক আগে, একদিন হলো কী! ইয়া বড় এক দৈত্য এসে, পুষ্পকে না, ধরে নিয়ে গেলো। কোথায় নিয়ে গেলো! কেন, দৈত্যের রাজ্য যেখানে! সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে! তা পুষ্পকে রাখলো কোথায় দুষ্ট দৈত্যটা! কেন ঐ যে বড় অন্ধকার গুহাটা! যেখানে দৈত্যটা থাকে, সেই গুহার ভিতরে! পুষ্প তো শুধু কাঁদে, আর কাঁদে!..

কার জন্য কাঁদে? নিজের জন্য? নাহ্! কাঁদে তোমাদের জন্য! পুষ্প তো জানে, যখন তোমরা পুষ্পের খবর পাবে না, তখন তোমাদের কত কষ্ট হবে! কত দুঃখ হবে! পুষ্প যে, তোমাদের কাছে একটা খবর পাঠাবে, সে উপায়ও নেই! দুষ্ট দৈত্যটা ভীষণ রাগী তো! পুষ্পকে চোখে চোখে পাহারা দিয়ে রাখে, যেন পালাতে না পারে!

তা পুষ্পকে ধরে নিয়ে গেলো কেন দৈত্যটা? কী চায় দৈত্যটা পুষ্পের কাছে? বলে কী! পুষ্পরানী, আজ থেকে তুমি শুধু আমার জন্য লিখবো! বাংলাভাষায় লিখলে হবে না, ওটা আমি বুঝি না, পছন্দও করি না, দৈত্যভাষায়, যার বর্ণমালা হলো, হাঁউঁ মাঁউঁ কাঁউঁ চাঁউ চিঁউঁ।

বন্দী করলে কী হবে! পুষ্প কিন্তু মোটেও ভয় পায়নি দৈত্যটাকে! ভয় পাবে কেন বলো! আল্লাহর হুকুম ছাড়া তো কিছু হয় না! তাই পুষ্প নির্ভয়ে বললো, না, আমি তোমার জন্য লিখবো না, আমি লিখবো আমার ছেলে মেয়েদের জন্য, যারা আমাকে কত্তো ভালোবাসে! যারা আমার পথ চেয়ে বসে আছে! শেষে কী হলো! পুষ্পের জন্য তোমরা দু‘আ করলে! আল্লাহর দয়া হলো! পরীর রাণী এসে দৈত্যটাকে মেরে ফেললো। তারপর পরীর পিঠে চড়ে পুষ্পরাণী মেঘের রাজ্য পাড়ি দিলো...

তারপর এই তো তোমাদের কাছে এসে পড়লো!

তা এসো, পুষ্পের অঙ্গনে তোমাদের নতুন করে স্বাগতম!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা