মুহাররম ১৪৪৫ হিঃ

বিজ্ঞান বিচিত্রা

আ লু ও প লি থি ন!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

হাঁ শিরোনামে কোন ভুল নেই! ‘আমাদের আজকের লেখার শিরোনাম ‘আলু ও পলিথিন’। তাহলে লেখার মূলবিষয়দু’টি সম্পর্কে আগে দু’টো কথা বলে নিই।

আলু একটি খাদ্য, সাধারণত সবজীরূপে ব্যবহার করা হয়, আলুর চিপ্স তো বেশ জনপ্রিয় হালকা খাবার। আরো বিভিন্নভাবে আলু খাদ্যরূপে ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশে আলুর উৎপাদন প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশী। তো চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশী হলে যা হয়, দাম পড়ে, আর কৃষকের মাথায় হাত পড়ে; অনেক সময় তো ‘বাজ’ পড়ে। তো খাবার ছাড়া আরো কোন কাজে যদি আলুর ব্যবহার নিশ্চিত করা যেতো, তাহলে কৃষকের দুশ্চিন্তা দূর হতো, দেশেরও উপকার হতো! কিন্তু উপায় কী!

দ্বিতীয় বিষয় হলো পলিথিন। আমরা সবাই জানি, পলিথিন পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর উপদান। পলিথিন মাটিতে কখনো পচে না, অন্তত খুব সহজে না। পলিথিন মাটিতে গিয়ে মাটির মৌলিক গুণগুলো নষ্ট করে দেয়। মাটি ও পানি তার দ্বারা দূষণের শিকার হয়। কিন্তু সমস্যা হলো, বাজার থেকে শুরু করে, বিভিন্ন জিনিস বহন করার জন্য পলিথিন ব্যবহার করতেই হয়। শত চেষ্টা এবং বিভিন্ন উদ্যোগ সত্তে¡ও পলিথিনের ব্যবহার একেবারে বন্ধ করা যাচ্ছে না।পলিথিনের বিকল্পরূপে পরিবেশ-বান্ধব পাট ও কাগজের ব্যাগ অবশ্য তৈরী হয়েছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। যদি নতুন কোন বিকল্প তৈরী করা যায় তাহলে তো বেশ ভালো হয়! কিন্তু উপায়!

সেই জরুরি উপায়টি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের একজন উদীয়মান তরুণ গবেষক। তিনি গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে আলু থেকে পলকা তৈরী করেছেন। পলকা ও পলিথিন বুঝতে হলে বুঝতে হবে প্লাস্টিক কী?হাইড্রোকার্বনের ক্ষুদ্র ক্ষদ্র কণা পরপর যুক্ত হয়ে যে দীর্ঘ শিকল তৈরী হয় তারই নাম পলিমার। এই পলিমার থেকে তৈরী করা হয় বিভিন্ন আকার ও প্রকারের ব্যাগ, তাই বলা হয় পলিথিন। তো পলিথিনের মূল হচ্ছে পলিমার, আর পলিমারের উৎস হচ্ছে প্লাস্টিক যা পরিবেশের জন্য চরম ক্ষতিকর। পলকা হচ্ছে মূলত প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়ায় আলু থেকে তৈরী পলিমার, যা পূর্ণরূপে পরিবেশ বান্ধব। মাত্র ত্রিশদিনেই তা মাটির সঙ্গে মিশে যায়।

পলকা থেকে তৈরী ব্যাগের উপযোগিতা ও বহনক্ষমতা ইতিমধ্যেই পরীক্ষা করে ইতিবাচক ফল পাওয়া গিয়েছে।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা