রজব ১৪৩৯ হিঃ (৩/৩)

পা ঠ কে র আ দা ল ত

পা ঠ কে র আ দা ল ত / আ দা ল তে র পা ঠ ক

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

প্রিয় পাঠক!

লোকেরা বলে, একজন লেখক ও সম্পাদকের জন্য পাঠকের আদালতই সবচে’ বড় আদালত! আমি কথাটার সঙ্গে একমত হওয়ার চেষ্টা করছি। তাই এবার পুষ্পের মজলিসে পরীক্ষামূলকভাবে পাঠকের আদালত কায়েম করা হলো এবং হে ‘মহামান্য পাঠক’ এই আদালতে আপনাকে বিচারকের আসনে ‘অধিষ্ঠিত’ করা হলো। আশা করি আপনি ‘ইনছাফের তারাজু’ সামনে রেখে পুষ্পের লেখা, বিষয়, সজ্জা এবং অন্য যে কোন বিষয় সম্পর্কে আপনার সুচিন্তিত ও ন্যায়ানুগ ফায়ছালা আমাদের জানাবেন। আমরা সে আলোকে আমাদের সামনের পথ ও পন্থা নির্ধারণের চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ!

আমার পক্ষ হতে শুধু একটা পরামর্শ। আদালতে ইনছাফের চোখে সবসময় পট্টি বাঁধা থাকে, হয়ত কোন নেক উদ্দেশ্যে, তবে পাঠকের আদালতে চোখের পট্টিটা খুলে তারপর ফায়ছালা করা সঙ্গত মনে হয়।  তাছাড়া মর্জির খেলাফ ফায়ছালা হলে কী ‘হাশর’ হয় তার নমুনা দেখেছেন নিশ্চয়!! সুতরাং ... (সম্পাদক)

 

একেবারে হঠাৎ করেই, কোন রকমের পূর্বাভাস ছাড়াই হাতে এলো পুষ্প, তৃতীয় প্রকাশনা। তাও ৯২ পৃষ্ঠার বড় আয়তনে এবং আরাকানের উপর বিশেষ সংখ্যা। বিশেষ সংখ্যা মানে শাব্দিক অর্থেই প্রচ্ছদ-১ থেকে শুরু করে প্রচ্ছদ-৪ পর্যন্ত এবং মাঝখানের সবকিছু আরাকানের উপর বিশেষ সংখ্যা! শরীর কাঠামো আগের মতই, কিন্তু প্রতিটি লেখা আরাকানের মুহাজিরীন সম্পর্কে!

যতদূর জানি, বাস্তব কারণেই হুযুরের কোন পরিকল্পনা ছিলো না এখনই পুষ্পের তৃতীয় প্রকাশনা শুরু করার। মাত্র উনিশ দিনের মেহনতের ফসল এটি! একা একজন মানুষের পক্ষে অন্যসব দায়িত্বের সঙ্গে কীভাবে সম্ভব তা! হুযূরের ভাষায় বলতে হয়, আকাশের দান! আকাশের করুণা!! লেখার মধ্যে এবং সজ্জার মধ্যে যা কিছু সৌন্দর্য তা তো আছেই, আমাকে যে জিনিসটি আপ্লুত করেছে তা হলো দরদী হৃদয়ের উত্তাপ ও উষ্ণতা, যা পাঠকহৃদয় -কেও উত্তাপে উষ্ণতায় প্রাণ ও সজীবতা দান করে।

আরাকান ও তার মুসলিম জনগোষ্ঠী সম্পর্কে এক সঙ্গে এত লেখা এবং এত তথ্য আর কোথাও পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। আরাকানের উপর কোন বিশেষ সংখ্যা আর কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে কি না, আমার জানা নেই, তবে এটা সময়ের অনেক বড় একটা প্রয়োজন ছিলো, যা পুষ্পের নতুন আত্মপ্রকাশ দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা পূর্ণ করেছেন।

ভাই মুহাম্মাদের প্রচ্ছদটিও হয়েছে অসাধারণ, প্রাচ্ছদভাবনা সম্পর্কে চতুর্থ পৃষ্ঠায় পরিবেশিত ব্যাখ্যাটিও মর্মস্পর্শী! আল্লাহ কবুল করুন। প্রচ্ছদের তৃতীয় পৃষ্ঠাটি যেভাবে সাজানো হয়েছে ইনফাকের বিষয়ে, সত্যি হৃদয়কে স্পর্শ করার মত। হযরত আলী নাদাবী রহ, এর বয়ান সম্পর্কে আমার মত মূর্খ মানুষ কী আর বলতে পারে!! প্রায় পাঁচ দশক আগে বার্মার মুসলমানদের উদ্দেশ্যে তিনি যে সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছিলেন সেটাই যেন মর্মন্তুদ বাস্তবতা নিয়ে ...

পুষ্পের প্রতিটি পাপড়িতে অনেক কিছুই আছে, একটা জিনিস নেই। বিজ্ঞাপন! এক্ষেত্রেও পুষ্প অনন্য! ... (মুহাম্মাদ ইয়াসীন, ঢাকা)

 

পুষ্পের সম্পাদকের একটা বড় দোষ আছে; পুষ্পেরও আছে ছোট্ট একটি দোষ। সম্পাদকের দোষ হলো, তিনি শুধু প্রশংসা পছন্দ করেন, বিরূপ মন্তব্যে তিনি বিরূপ হন।

(বিরূপ মন্তব্যে ‘রূপ’ হওয়ার সুযোগ আছে?!  সম্পাদক)

পুষ্পের অনেক সৌন্দর্যের মধ্যে একটি অসৌন্দর্য হলো বানানত্রুটি ও মুদ্রণপ্রমাদ। বলা যায়, এটা পুষ্পের জন্মত্রুটি। এ সংখ্যায় তো ত্রুটিটা সীমা- ছাড়া। আরেকটু কী যতœবান হওয়া যায় না!

আচ্ছা, এবার সম্পাদক সাহেবকে একটু খুশী করি, যাতে আমার লেখাটা প্রকাশের একটা গতি হয়।

আমার জানামতে পুষ্প একমাত্র পত্রিকা যাতে বিজ্ঞাপনের অসৌন্দর্য নেই; শুধু লেখা, আর লেখা! অথচ অর্থমূল্য! মাত্র ... তাও এত বিনয়ের সঙ্গে! সত্যি অসাধারণ! কী, এবার আমার লেখাটা ছাপা হবে তো!     মাজেদ, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল

০০ বিচারক ঘুষ দেয় আসামীকে!! কলিকালে সবই ...

রক্তভেজা পুষ্পের পাপড়িতে

হাফীদা শামস

বহু দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আমার জীবনে আবার এসেছে বসন্ত এবং এসেছে নতুন সুবাস নিয়ে ‘পুষ্প’!

নতুন পুষ্পের নতুন সান্নিধ্য লাভ করে হৃদয়ের গভীরে কত রকম অনুভূতি যে হলো তা আমি নিজেই হয়ত ভালো করে বুঝতে পারি না, বোঝাবো কী করে, ক্ােন ভাষায়, কোন্ শব্দে!! শুধু মনে হয়, আমার হৃদয়ের আকাশে অনুভূতির ‘রঙধনু’ যেন মেঘের কোলে হেসে উঠেছে! যার কষ্টের, সাধনার এবং ত্যাগ ও আত্মত্যাগের ফল আমার হৃদয়-আকাশের এ রঙধনু, আকাশ যেন তাঁকে আপন করুণায় ধন্য করে!! ‘ফুলের পাপড়িতে রক্তের ঘ্রাণ এবং আগুনের পোড়া গন্ধ’ এ কল্পনাটি আমার বলতে ইচ্ছে করে, বাংলা সাহিত্যে এক নতুন সংযোজন!

ইচ্ছে তো করে, আরাকান-সংখ্যার প্রতিটি লেখা সম্পর্কে হৃদয়ের অনুভূতি এবং চিন্তার মানচিত্র কলমের আঁচড়ে তুলে ধরি, কিন্তু ...

সমালোচনার অর্থ যদি হয় ভালো-মন্দ উভয় দিক তুলে ধরা, আর আমি যদি ভালো ছাড়া কিছু খুঁজে না পাই তাহলে ...

সমালোচনা থাক, আমি শুধু আমার হৃদয়ের স্তুতি নিবেদন করতে চাই তিনটি শব্দে, ‘অপূর্ব! অতুলনীয়! সুতরাং জাযাকুমুল্লাহু খায়রান!!

আগামী সংখ্যার নতুন সৌন্দর্যের প্রতীক্ষায়

 

 


শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা