আরাকান সংখ্যা (৩/১)

আরাকানসংখ্যা (বিশেষ)

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

২৬শে নভেম্বর। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে গতকাল রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সংক্ষিপ্ত সময়ে এমন একটি সংবেদনশীল চুক্তি নিয়ে বিশদ পর্যালোচনায় যাওয়া যুক্তিসঙ্গত মনে হয় না। বিস্তারিত আলোচনা পর্যালোচনার পরই শুধু আমরা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই। এখানে আমরা শুধু চুক্তির বিশেষ বিশেষ দিকগুলো কোন মৌলিক মন্তব্য ছাড়া তুলে ধরছি। চুক্তির শুরুতেই যে কথাটি বলা হয়েছে তা হলো, গত বছরের ৯ই অক্টোবরের পর থেকে এ দেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয় আলোচনা হবে। এর আগে যারা এসেছে তারা এই চুক্তির বাইরে থাকবে। তাদের বিষয়ে প্রয়োজনে পরবর্তীতে চুক্তি করা যাবে। আরেকটা বিষয়, চুক্তিতে এ বাক্যটা ঢুকানো হয়েছে, ‘এ বছরের ২৫ শে আগস্টের সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে যারা মিয়ানমার ত্যাগ করেছে’; যার অর্থ দাঁড়ায় সেনাবাহিনীর তাতে কোন দায় বা ভূমিকা নেই। চুক্তির দ্বিতীয় দফায় বলা হয়েছে, ফিরে যাওয়ার পর মিয়ানমার তার বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব ও জাতীয় পরিচয় পরীক্ষা করা হবে। তৃতীয় দফায় বলা হয়েছে। ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া জাতীয় পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়া থেকে আলাদা হবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফেরার প্রক্রিয়ার ভিত্তি হবে মিয়ানমারে অতীতে তাদের বসবাসের প্রমাণ। চতুর্থ দফায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সরকারদ্বয় প্রয়োজন বোধ করলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থাকে অন্তভর্ক্তু করতে পারবে। বাংলাদেশ এখনই শরণার্থী সংস্থাকে সম্পৃক্ত করতে পারে। মিয়ানমার পরে যখন প্রয়োজন বোধ করলে তখন যথাসময়ে সম্পৃক্ত করবে। ষষ্ঠ দফায় বলা হয়েছে। রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা ছিলো কি না তা যাচাইয়ের জন্য ফিরতে আগ্রহীদের ফরম পূর্ণ করতে হবে। তাতে মিয়ানমারের বাসিন্দা থাকার ডকুমেন্ট (অনুলিপি) দাখিল করতে হবে। মিয়ানমারের বাসিন্দা হিসাবে প্রমাণি -ত ব্যক্তির সংখ্যা যাই হোক তাদেরই শুধু ফেরত নেয়া হবে। চুক্তির কোন বিষয়ে মতভেদ হলে মিয়ানমারের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। বাংলাদেশের তাতে কোন ভূমিকা থাকবে না।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট