আনন্দের অনুভূতি কেমন, একটু হলেও জানি। কিছু জোনাকির আলোর কণা কখনো ছিলো আমার জীবনে। বেদনার অনুভূতি কেমন তাও জানি এবং ভালো করেই জানি। আমার জীবনের সকাল-সন্ধ্যা ব্যথা-বেদনারই তো বিষাদমেলা! আনন্দ ও বেদনার মিশ্র অনুভূতি! তাও অজানা ছিলো না। জীবনের চলার পথে এক দু’বার ঘটেছে আনন্দ ও বেদনার ক্ষণিক মিলন। তবে আনন্দ-বেদনার মিশ্র অনুভূতির রূপ-রস আজ যেমন জানা হলো, আর কখনো এমন করে জানতে পারিনি! দিনের আলো ও রাতের আঁধার মিশিয়ে যদি ছবি আঁকা যায়! আকাশ কখনো যদি পূর্ণিমা-অমাবশ্যা একসঙ্গে ধারণ করতে পারে!! ফুলের পাপড়ি যদি হৃদয়কে স্পর্শ করে, আর ফুলের কাঁটা যদি বুকে বিঁধে একসঙ্গে, কেমন হতে পারে তখনকার অনুভূতি!! আমার আজকের অনুভূতি হয়ত তেমন! আনন্দের মত বেদনাকেও জীবনে আমি সাদরে বরণ করেছি এবং লাভবান হয়েছি। আমার বুকের ভিতরে আজ আনন্দ ও বেদনার এ মিশ্র-উপস্থিতিকেও আমি স্বাগত জানাই হৃদয়ের সবটুকু উষ্ণতা দিয়ে। মুমিনের এই ক্ষণিকের জীবনে আনন্দ ও বেদনা এবং আনন্দ-বেদনা, সবই তো শিশিরের কল্যাণ ও স্নিগ্ধতা বহন করে আনে। তবে শুধু তার জন্য যে তা বরণ করতে জানে যতেœর সঙ্গে এবং মমতার সঙ্গে। এসো আজ আমরা সেই সাধনাই করি।
নূরের হরফে
হে বিচারক,
তুমি নিজে
এবং আজ যাদের
বিচার হলো তোমার আদালতে,
একদিন সবাই তোমরা দাঁড়াবে
সকল বিচারকের যিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক তাঁর মহান আদালতে
আমি দাঁড়াবো
তাদের পাশে যারা
সবকিছু হারিয়ে আমাদের কাছে এসেছে
একটুখানি আশ্রয়ের আশা নিয়ে।
এটা আমার কাছে আমার ঈমানের দাবী।