জীবনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে চলে এসেছি জীবনের সায়াহ্নের কত কাছে, অথচ জীবনের রহস্য আজো জানা হলো না কিছু! জীবনের চলার পথে আমাকে জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে আমারই কিছু প্রিয় তরুণ! তারা আমাকে ভালোবেসেছে এবং ভালোবাসার দাবী রক্ষা করেছে, আমাকে স্বপ্ন দেখিয়ে, স্বপ্নের বাস্তবায়নে আমার সঙ্গে পথচলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। কেউ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে, কেউ করেনি। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ! আমার এই যে দুর্বল পাঁজরের বুকটা, এই বুকটার ভিতরে আশঙ্কায় উৎকণ্ঠায় কুঁকড়ে যাওয়া ঐ যে হৃদয়টা তাতে আমি লালন করি ঐ সব তরুণের প্রতি একগুচ্ছ শুভকামনা। ওরা যেখানেই যায়, যেখানেই থাকে; স্বপ্নের কোমলতা এবং জীবনের বাস্তবতা দু’টোই যেন তাদের ভবিষ্যতকে রাঙিয়ে দেয়।
একই সঙ্গে এমন কিছু তরুণও ছিলো আমার জীবনে, যারা আমাকে ভালোবেসেছে, তবে ভালোবাসার দাবী রক্ষা করেনি। আমাকে বুঝে বা না বুঝে শুধু স্বপ্নভঙ্গের বেদনা দিয়েছে। তাদেরও প্রতি তাদেরই দেয়া আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া বুকটার মধ্যে পোষণ করি শুভকামনা। ন্বপ্নভঙ্গের বেদনা থেকে তারা যেন নিরাপদ থাকে।
এই তো সেদিন একই সঙ্গে ঘটলো দু’টো ঘটনা। দু’টি তরুণ, একই সঙ্গে ওরা বাস করে আমার বাগানে, আমার স্বপ্নের উদ্যানে। একটি তরুণ খুব সামান্য কিছু উপাদান দিয়ে আমাকে তৈরী করে দিলো ছোট্ট একটি ঘর; এই তরুণ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে তাকে এবং তার মত তরুণদের নিয়ে ভবিষ্যতের কিছু স্বপ্ন দেখার! অথচ ওরই সঙ্গী আরেক তরুণ আমার স্বপ্নের ঘরটা ভেঙ্গে দিলো একটা ‘অহঙ্কার’ দিয়ে!
দু’জনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। একজনের প্রতি কৃতজ্ঞতায় আমি আপ্লুত, একজনের প্রতি কৃতজ্ঞতায় আমি ব্যথিত।
সোনার হরফে:
মানুষ যদি মানুষের জন্য হয় বিপদ ও মৃত্যু,
তাহলে দুর্বল মানুষেরা
আদিম যুগের মত,
বনে জঙ্গলেই বোধহয় অধিক নিরাপদ!
আমাদের প্রতিজ্ঞা:
একটি গাছ লাগাবো,
আমার পৃথিবীকে আমি একটু ছায়া দেবো
ইনশাআল্লাহ্!