রবিউল আওয়াল ১৪৩২হিঃ (১৯)

তোমাদের লেখা / আমাদের দেখা

তোমাদের লেখা / আমাদের দেখা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 

উম্মে হাবীবা, তামান্না

লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা, ১১০০

০ তোমার কয়েকদিনের রোযনামচা পেয়েছিপয়লা জানুয়ারির উৎসবপ্রসঙ্গে তুমি লিখেছো, একটু পর পর পটকার আওয়াযে মনে হয় আকাশ ফেটে যাবে

পটকার আওয়াযে আকাশ ফেটে যাওয়ার কথা কারো মনে হয় না, বড় জোর কান ফেটে যাওয়ার কথা মনে হয়

রোযনামচা অবশ্য তাৎক্ষণিক ও বরজুস্তা লেখা, যাতে চিন্তার সুযোগ খুব একটা থাকে নাএটা ঠিক আছে, তবে পরবর্তী সময়ে পিছনের রোযনামচা পড়তে হয় এবং চিন্তা করতে হয়

মুহম্মদ রহমতুল্লাহ

সনাতনগড়, হাযারিবাগ, ঢাকা

০ তোমার চিঠি ও রোযনামচার কয়েকটি পাতা পেয়েছিতুমি লিখেছো, আমি পুষ্পের দরবারে একজন নতুন সাথী

পুষ্প-এর সঙ্গে দরবার শব্দটি ঠিক খাপ খায় নাতুমি লিখতে পারো, আমি পুষ্পের আসরে একজন নতুন সাথী

তুমি লিখেছো, কয়েকটি লেখা পাঠালামএগুলো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টার ফসলআশ্চর্য, সর্বোচ্চ চেষ্টার পরো এতগুলো বানানভুল! তোমার কাছে, বা ধারেকাছে কি অভিধান নামের কোন পদার্থ নেই!

 একটি রোযনামচার পাতায় তুমি লিখেছো, আজ আমাদের মাদরাসায় সবক উদ্ভোদন হয়েছেসাড়াটা দিন ব্যস্থতায় কেটেছেবেচারা উদ্বোধন শব্দটির কত কষ্ট হচ্ছে বলো দেখি! আর তোমার সাড়া তো আমাদের এখানে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে! সারাটা দিন ভেবেছি, এমন ভুলও ছেলেরা করে! এখনই এই ভুলবানানটি সারা উচিতনইলে কিন্ত তোমার সাহিত্যচর্চার কর্ম সারা! 

মারযিয়া বিনতে আবুল কাশেম

দেওপুর, নেত্রকোণা

০ তোমার রোযনামচা পেয়েছিভালো লেগেছেরোযনামচার একটি পাতায় তুমি লিখেছো, ফুলবাগান তোমার খুব প্রিয়বাগানে যখন অসংখ্য ফুল ফোটে তখন তোমার মন আনন্দে ভরে ওঠেতোমার ইচ্ছে করে ফুলের সংস্পর্শে থেকে ফুল হয়ে যেতে, ফুলের মত সুবাস ছড়াতে

তুমি আরো লিখেছো, একদিন ফজরের পর তুমি বাগানে বসেছিলে, এমন সময় একটি শেয়াল এসেছিলো, মুরগী ধরে নেয়ার জন্য...

তুমি জানলে কীভাবে যে, শেয়ালটা মুরগী ধরে নিতেই এসেছিলো! এমনও তো হতে পারে, তোমার সঙ্গে সই পাতাতে এসেছিলো! তুমি কি না দিলে তাড়িয়ে! যাক, তুমি নিয়মিত পুষ্প পড়তে থাকো এবং রোযনামচা লিখতে থাকো

খাদীজা বিনতে আব্দুল মান্নান, সাদিয়া ও রাইয়ানা

জামিয়া হাফছাহ, উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা

০ তোমাদের লেখা পেয়েছিলেখার প্রতি তোমাদের উৎসাহ দেখে খুশী হয়েছিতোমরা লিখতে থাকো এবং লেখা পাঠাতে থাকোতোমাদের লেখা আমাকে লেখা ও সম্পাদনার কাজে অনেক সাহায্য করে, আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করুন, আমীন

নাজমুল করীম চৌধুরী

দারুল মাআরিফ, চট্টগ্রাম

০ তোমার রোযনামচা পেয়েছিতুমি নিয়মিত লিখতে থাকো

আব্দুল করীম বিন আবু হানীফ

ধুলের চর মাদরাসা, টাঙ্গাইল

০ জীম ও মীম, দুবোনকে নিয়ে আপনার লেখা পড়ে আনন্দিত হয়েছিআপনার সঙ্গে আমিও ওদের সুখী সুন্দর জীবন কামনা করি

মুহম্মদ হাসান

আমিরাবাদ, দাউকান্দি, কুমিল্লা

০ তোমার লেখা পেয়েছি এবং যথেষ্ট পরিমাণে ব্যথিত হয়েছিতুমি লিখেছো, হুযূর, কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লেখা পাঠালাম, বিভিন্ন সময় লিখেছিলামআমার অপরাধ ক্ষমা করবেনকারণ আমার মন যখন চায় তখন যেখানে সেখানে লিখে রাখি; দ্বিতীয়বার আর নযর দিতে পারি না, অলসতার কারণে তাই এভাবেই পাঠিয়ে দিলাম

আচ্ছা আমি না হয় ক্ষমা করে দিলাম, কিন্তু এভাবে কি কেউ কখনো লেখা শিখতে পারে! লেখা তো লেখা, এভাবে তো কেউ খেলাও শিখতে পারে নাযাক তবু তোমার লেখাটা সংক্ষেপে এখানে তুলে দিচ্ছিতুমি লিখেছো, প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠি অনেক আশা নিয়ে, কিছু করার অদম্য স্পৃহা নিয়ে, কিন্তু তা আর হয় না, নিজেরই অলসতা, অবহেলার কারণেএভাবেই জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দিন, সপ্তাহ, মাস, বছরকিন্তু না, এভাবে চলবে না, চলতে পারে নাসময়কে আমাদের কাজে লাগাতে হবে এবং অনেক বড় হতে হবেবড় হওয়া শুধু মেধাবী ছাত্রের ভাগ্য নয়

(তোমার বাক্যটা ছিলো, বড় হওয়া শুধু যেহেনিদের নিকট ছেড়ে দেয়া যাবে না)

আল্লাহ প্রতিটি মানুষকেই কোন না কোন যোগ্যতা ও প্রতিভা দিয়ে সৃষ্টি করেছেনযারা বুদ্ধিমান তারা তো জীবনের সময়কে আল্লাহপ্রদত্ত যোগ্যতা ও প্রতিভার বিকাশে কাজে লাগায়, আর যারা অলস গাফেল তারা ...ওয়াযটা তো তোমার যথেষ্ট উমদা, এখন দরকার কিছু কাজ

সাইদুর-রহমান

ঢালকানগর মাদরাসা, ঢাকা

০ তোমার লেখা পেয়েছিতুমি  ঠিকই বলেছো, কারো ঘরে খাদ্যের অভাব নেই, আবার কেউ ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির! কেউ দিন-রাত মেহনত করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, আবার  কেউ আরামদায়ক চেয়ারে বসে কাজ করে! কারো জীবনে এত সুখ, আর কারো জীবনে কেন এত কষ্ট! কী এর রহস্য! তা কেউ জানে না; জানেন শুধু ঐ সত্ত্বা, সৃষ্টির প্রতিটি বিষয় যার নিয়ন্ত্রণে

(একজনের বানান নির্ভুল, আরেকজনের বানানে কেন এমন ভুল? কী এর রহস্য? কেউ জানে না; জানেন শুধু ঐ সত্তা, পৃথিবীর প্রতিটি ভাষা যার সৃষ্টি)

হোসায়ন আলমাহমূদ

হাটহাজারী মাদরাসা, চট্টগ্রাম

০ তোমার লেখা থেকে জানলাম, একজন আদর্শ লেখক হওয়া তোমার দীর্ঘ দিনের স্বপ্নতুমি আরো লিখেছো, স্বপ্নভঙ্গের তিক্ত বেদনা বুকে নিয়েই আমার দিন কাটছিলো প্রার্থনা করি, স্বপ্নভঙ্গের তিক্ত বেদনা থেকে আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করুনতবে আমার জানতে ইচ্ছে করে, খুব ইচ্ছে করে, যার বুকে ছিলো স্বপ্নভঙ্গের তিক্ত বেদনা তার দিন-রাতগুলো কেমন করে কেটেছে, আর বুকের স্বপ্নটিকে বাস্তবের আলোতে আনার জন্য কী পরিমাণ চেষ্টা-সাধনা এবং ত্যাগ ও আত্মত্যাগ সে করেছে?

পুষ্পকে এখন বন্ধুরূপে পেয়ে তুমি নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছোপ্রার্থনা করি, তোমার স্বপ্ন আর পুষ্পের স্বপ্ন আলোর জগতে এ দুয়ের যেন শুভমিলন হয়

মুহম্মদ মুমিনুল ইসলাম

তেজগাঁও, ঢাকা

সময়ের গুরুত্ব এ শিরোনামে তোমার লেখাটি পেয়েছিযুগে যুগে ওলামায়ে উম্মত কীভাবে সময়কে মূল্য দিয়েছেন সে বিষয়ে শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গোদ্দাহ (রহ.) যে কিতাব লিখেছেন তুমি তা উলেস্নখ করেছো, সত্যি কিতাবটি অতি মূল্যবানতোমার লেখার শেষ বাক্যটি হলো, বন্ধু হে! তোমাকেও বলি, যদি হতে চাও বড় তাহলে সময়ের মূল্যায়ন করো

অন্যকে সম্বোধন করে উপদেশ দেয়ার পরিবর্তে তুমি যদি লিখতে, সুতরাং জীবনে আমরা যদি বড় হতে চাই এবং চাই সফলতা অর্জন করতে তাহলে আমাদের কর্তব্য হবে সময়ের অপচয় না করা, বরং প্রতিটি মুহূর্তকে জীবন গড়ার কাজে ব্যয় করা এভাবে লিখলে সেটা তোমার অবস্থা ও অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতো

 দ্বিতীয় লেখাটি তুমি ছন্দ মিলিয়ে লেখার চেষ্টা করেছোএটা ঠিক নয়এতে লেখার গতি ব্যাহত হয়, এবং কৃত্রিমতাদোষে দুষ্ট হয়

কাউছার আব্দুল্লাহ

রিকাবি বাজার, মুন্সিগঞ্জ

০ তোমার লেখা একটুকরো স্মৃতি পড়েছিভালো লেগেছেতুমি লিখেছো, আমাদের গ্রামের মাদরাসাটি বড় সুন্দর ছিলো সামনে দক্ষিণ দিকটায় বাঁশঝাড় ছিলো

(তোমার বাঁশাঝাড়ে অবশ্য চন্দুবিন্দু ছিলো নাঅথচ দেখো, চন্দুবিন্দুর জন্য তোমাদের পুষ্প কী লড়াইটা করছে!)  সেই বাঁশঝাড়ে প্রতিদিন ভোরে মিষ্টি করে গান গাইত একটি দোয়েল.... একটা পাখী বাসা বেঁধেছিলো ঐ ঝোপে(এখানে অবশ্য তুমি চন্দ্রবিন্দু দিয়েছো, তবে বেঁধে ছিলো এভাবে আলাদা করে লিখেছো, একসঙ্গে হবে)আমরা তার নাম জানতাম না, বলতাম বিদেশী পাখী!

(তুমি লিখতে পারতে, পাখীটির নাম জানা ছিলো না, তাই আমরা বলতাম বিদেশী পাখীঅথবা লেখা যায়, ঐ ঝোপে বাসা বেঁধেছিলো নাম না-জানা একটি পাখী, আমরা বলতাম, অচেনা বন্ধু)  তার পালকে মিশে ছিলো প্রজাপতির রঙ, আকাশের নীল। মাদরাসার পূর্ব-পশ্চিমে একটি মাঠ ছিলো.... 

 মাদরাসার প্রাঙ্গনে একটি ফুলবাগিচা ছিলোতাতে অনেক রকমের ফুলগাছ ছিলো! ....

রাতে চাঁদ উঠতোফুটন্ত ফুরে ঝরে পড়তো নরম আলো। (সম্ভবত তুমি লিখতে চেয়েছিলে ফুটন্ত ফুলে; এরকম ভুল হতেই পারে, তবে দ্বিতীয়বার দেখার কষ্টটুকু স্বীকার করলে এটার সংশোধন হওয়ার কথাছোট্ট একটি লেখা দ্বিতীয়বার দেখে দেয়া কি খুব কঠিন, ভবিষ্যতের কলম-সৈনিক-এর পক্ষে?)

বাগানের এক কোণে ছিলো একটি গোলাবগাছ

(এখানে তুমি লিখেছো, নার্সারি থেকে চারাটা কিনে এনেছিলো আতাউর ভাই আবেগধর্মী লেখায় স্থূল শব্দ অসুন্দরতুমি লিখতে পারতে, গোলাবের চারাটি সংগ্রহ করেছিলো আমাদের এক সহপাঠী)

আমাদের আদরে যত্নে গোলাবের চারাটি ধীরে ধীরে বড় হলোতারপর তাতে কলি এলো, ফুল ফুটলো, আর আমাদের মুখে ফুটলো হাসি....

(তোমার বাক্যটি ছিলো, একদিন উঁকি দিলো কলি, ফুটলো ফুল, হাসি ফুটলো সবার মুখে)একদিন কী কারণে যেন আমাদের মাদরাসা বন্ধ হয়ে গেলোসবার হাসিমুখ মলিন হলোগাছ শুকালো, ফুল ঝরে পড়লোশুধু একটি ভবন একটুকরো স্মৃতি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল...

লেখাটির পরিসমাপ্তি খুব সুন্দর হয়নিপ্রথম কথা হলো মাদরাসা বন্ধ হওয়ার মানে কী? ছুটি? সেটাই তো স্বাভাবিকতবে তার কারণ অজ্ঞাত হবে কেন? নাকি মাদরাসা একেবারে ভেঙ্গে যাওয়া? আজকাল অবশ্য মাদরাসা হয়ও খুব সহজে, ভেঙ্গে যায় আরো সহজেএমন মাদরাসা থেকে কাউম যেন নিরাপদ থাকে

কিন্তু প্রশ্ন হলো, মাদরাসা ভেঙ্গে যাওয়া তো অত্যন্ত মর্মবিদারক ঘটনাসেটাকে এমন হালকা ভাবে বলা কেন? মাদরাসার বিষয়টি তো আরো দরদের সঙ্গে আরো ব্যথামিশ্রিত ভাষায় উল্লেখ করা উচিত ছিলোযাক, তোমার লেখার হাত মোটামুটি ভালোতুমি নিয়মিত চেষ্টা করো

ফযলুল আমীন ফুয়াদ

আলমারাকযুল ইলমী, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা

০ তোমার লেখা পেয়েছিতুমি যে রিক্সার যাত্রী হয়েছিলে তার বৃদ্ধ চালকের দুঃখের কথা লিখেছোভালোই লিখেছো, লেখাটি বানানভুল থেকে মুক্ত হলে ভালো হতোতুমি স্বরণ লিখেছো, একটু স্মরণ করে দেখো তো সঠিক বানানটি কী? তুমি সমুদ্র পাড়ি দিয়েছো দীর্ঘ-উকার দিয়ে, আর দীর্ঘ পথ হেঁটেছো চন্দুবিন্দু ছাড়াএগুলো কিন্তু অনাচার 

মুহম্মদ মুহিউদ্দীন

জামিয়া আরাবিয়া, মিরপুর, পল্লবী

০ তুমি লেখা ও প্রশ্ন পেয়েছিআরো লেখো; বানানে আরো সতর্ক হও

ইনআম বিন আব্দুল কুদ্দূস

ইসলামপুর মাদরাসা, গোপালগঞ্জ

০ তোমার লেখা হিজরী নববর্ষ পেয়েছিবানানের বিষয়ে তোমাকে যথেষ্ট সতর্ক দেখে খুশী হলামতবে নব বর্ষ আলাদা নয়, একসঙ্গে হবেতুমি ঠিকই বলেছো, হিজরী তারিখের প্রতি আমাদের অবহেলা সত্যি অমার্জনীয়দেশের আলিমসমাজ যদি সম্মিলিতভাবে প্রতিজ্ঞা করে যে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে তারা হিজরী তারীখের প্রচলন ঘটাবেন তাহলে খুব আসানির সঙ্গে তা সম্ভব হতে পারেকিন্তু আমরাই তো ঘুমিয়ে আছি!

ফারুক হোসায়ন ফারুকী

দড়াটানা মাদরাসা, যশোহর

০ তোমার কবিতা পেয়েছি  তুমি লিখেছো-

জোসনার আলোভরা রাতে/ শিশিরঝরা শুভ্র প্রভাতে/সূর্যের কোমল আভায়/ দিনের স্বর্ণালী প্রভায়/আকাশের অসীম শূন্যতায়/ দেখি গো তোমায় প্রভু দয়াময়ঝরনার অবিরাম কলতানে/ বরষা দিনে আকাশের দানে/শুনি তব গান/ যা চিরবহমান/হে রাহীম রাহমান

ইমদাদুল্লা

নতুন বাজার, নান্দাইল, মোমেনশাহী

০ তোমার লেখা এখনো মানুষ আছে পেয়েছিশিরোনামটি সুন্দরতুমি একজন রিক্সাচালকের সততার ঘটনা উলেস্নখ করে লিখেছো, ভালো মানুষের দুর্ভিক্ষের এ যুগেও বিশ্বাস ও সততা একেবারে শেষ হয়ে যায়নিএখনো কিছু মানুষ এমন আছে যারা আজো মানবতার লাজ ধরে রেখেছেতাদেরই একজন হলো দরিদ্র অশিক্ষিত রিক্সাচালক আব্দুল কুদ্দুস....

লাজ ধরে রাখার বিষয় না, রক্ষা করার বিষয়

 

 

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা