মুহররম ১৪৩২ হি: (১৮)

প্রথম পাতা

প্রথম কথা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 

আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরেছিলো, কখনো ঝিরঝির, কখনো রিমঝিম, সেই বৃষ্টিতে কতজন ভিজলো, বৃষ্টিকে স্পর্শ করে বাইরে-ভিতরে স্নিগ্ধ হলো।  

তুমিও তো ছিলে, তুমিও তো দেখেছো বৃষ্টির বর্ষণ, দূর থেকে! তুমি কেন ভিজলে না, তুমি কেন বৃষ্টির স্পর্শ গ্রহণ করলে না?! 

ফুলের বাগানে বসন্ত এসেছিলো এবং ফুল ফুটেছিলো, গোলাব-বেলি, রজনিগন্ধা ও হাসনাহেনা, আরো কত কী! কতজন এলো, কত ফুল কুড়ালো, মালা গাঁথলো, ঘর সাজালো; ফুলের সুবাসে কতজন সুবাসিত হলো!

তুমিও তো ছিলে! তুমিও তো দেখেছো বসন্তের বাহার, ফুলের সমাহার! তুমি কেন এলে না, ফুল কুড়ালে না, মালা গাঁথলে না, ঘর সাজালে না! ফুলের সুবাসে তুমি কেন সুবাসিত হলে না!

আকাশে চাঁদ ছিলো, চাঁদের জোসনা ছিলো, আলোর বন্যা ছিলো, জোসনার স্নিগ্ধতায় সবকিছু কেমন পবিত্র ছিলো! কতজন চাঁদের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হলো, চাঁদের জোসনায় স্নাত হলো, চাঁদের আলো গ্রহণ করে সবাই কত পবিত্র হলো!

তুমিও তো ছিলে! মেঘের সঙ্গে চাঁদের লুকোচুরি তুমিও তো দেখেছো! তুমি কেন এলে না, চাঁদের আলো গায়ে মাখলে না! জোসনার স্নিগ্ধতা গ্রহণ করে তুমি কেন পবিত্র হলে না!

শোনো, আকাশে আবার মেঘ হবে, আবার বৃষ্টি ঝরবে, বৃষ্টির রিমঝিম সুরে মানুষ মুগ্ধ হবে; বৃষ্টির স্নিগ্ধ কোমল স্পর্শ গ্রহণ করার জন্য মানুষ আবার বৃষ্টিতে ভিজবে। এবার তুমি ভুল করো না।

বাগানে আবার বসন্ত আসবে, আবার ফুল ফোটবে, ফুল ঝরবে, বাগানে বাগানে মানুষ ফুল কুড়াবে, মালা গাঁথবে এবং ফুলের সুবাস গ্রহণ করবে। এবার তুমি ভুল করো না।

রাতের আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ আবার আসবে এবং জোসনা ছড়াবে। চাঁদের জোসনা গায়ে মেখে ভিতরে-বাইরে মানুষ স্নিগ্ধ হবে। আবার তুমি ভুল করো না।

 

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা