জুমাদাল আখেরা ১৪৩১হিঃ (১৬)

প্রথম পাতা

প্রথম কথা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

দূর অতীতে আমার হারিয়ে যাওয়া কৈশোরে দু’টি শব্দ পেয়েছিলাম, ‘ব্যথার দান’। এ ছোট্ট দু’টি শব্দ যার কলমের অবদান তাকে আমার হৃদয়ের অভিনন্দন। কারণ জীবনের একটি পরম সত্যের আলো আমাকে তিনি উপহার দিয়েছেন। মানুষ বোঝে না, তবু চিরন-ন সত্য এই যে, গায়বের আড়াল থেকে যা কিছু সে পায় ব্যথার মাধ্যমেই পায়। প্রতিটি বেদনা বয়ে আনে কোন না কোন সম্ভাবনা। ব্যথা ও বেদনা কখনো তুমি কামনা করো না, তবে আকাশ থেকে যখন তা নেমে আসে, বারণ করো না, হৃদয় দিয়ে বরণ করো। ব্যথার দান যদি বুঝতে চাও, মাতৃত্বের কথা চিন-া করো। চাঁদশিশু কখন আলোকিত করে মায়ের কোল? মৃত্যুর ঝুঁকি গ্রহণ করে যখন তিনি বরণ করেন জীবনের সবচে’ কঠিন বেদনা। আল্লাহর নবীর জীবনে পূর্ণতা ও সার্থকতা এসেছে কিসে? ব্যথার দানে। মক্কার পথে পথে কত কষ্ট দিয়েছে কোরেশ তাঁকে? তাঁর ছাহাবাকে? হিজরতের মদীনা তো মক্কাজীবনেরই ব্যথার দান! আর বদর, অহুদ ও বীরে মাউনার রক্তঝরা বেদনা থেকেই তো এসেছে মক্কার বিজয়! ব্যথার দান কত বড় দান, আল্লাহর নবী জানতেন। সকল ব্যথা আজীবন হাসিমুখে তাই তিনি বরণ করেছেন। যারা তাঁকে ব্যথা দিয়েছে তিনি তাদের ক্ষমা করেছেন, তায়েফে, মক্কায়। বিজয়ী বেশে কোরাইশকে তিনি তাই বলতে পেরেছেন, যাও তোমরা মুক্ত। আজকের প্রভাতসূর্যকে সাক্ষী রেখে শপথ করো হে বন্ধু, যত ব্যথা আসে জীবনে তুমি তা গ্রহণ করবে হাসিমুখে। তোমাকে যারা ব্যথা দেয়, তাদের প্রতি তুমি হবে ক্ষমাশীল। তোমার বুকে যারা আঘাত হানে, তারা পাবে তোমার বুকের আলিঙ্গন। মানুষ তোমাকে ব্যথা দেবে, আকাশ থেকে তুমি পাবে ‘ব্যথার দান’।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা