বাগানে একটি কলি ধীরে ধীরে বড় হওয়া এবং ফুল হয়ে ফোটা, আর মাতৃগর্ভে একটি মানবশিশু ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা এবং মায়ের কোল আলো করে জন্মলাভ করা- এ দু'য়ের মাঝে পার্থক্য কোথায়? কোন পার্থক্য নেই; দু'টোতেই রয়েছে স্রষ্টার মহান সৃষ্টির অপূর্ব রহস্যলীলা!
ফুল যেমন সুন্দর ও পবিত্র, কোমল ও স্নিগ্ধ, মায়ের কোলের ছোট্ট শিশুটি তেমনি সুন্দর ও পবিত্র, তেমনি কোমল ও স্নিগ্ধ।
বাগানে গাছের শাখায় বসন্তের ছোঁয়ায় প্রকৃতি কত বর্ণের ফুল ফোটায়, কেন? স্রষ্টার সৌন্দর্যকে উদ্ভাসিত করার জন্য; সবার মাঝে স্রষ্টার সুবাস ও পবিত্রতা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য। একই উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে পৃথিবীর উদ্যানে মানবশিশুর আগমনে। ফুলের যেমন বিভিন্ন রঙ, বিভিন্ন সুবাস, কিন্তু উদ্দেশ্য অভিন্ন; মানবশিশুরও গায়ে বিভিন্ন রঙ, মুখে বিভিন্ন ভাষা, কিন্তু উদ্দেশ্য অভিন্ন; মানব-উদ্যানে জ্ঞানের, চরিত্রের, প্রেম ও ভালোবাসার সৌরভ ছড়ানো; স্রষ্টার দয়া ও করুণা বিতরণ করা এবং সবাইকে স্রষ্টার নৈকট্য উপহার দেয়া। অসত্যের অন্ধকার দূর করে বিশ্বের উদ্যানে সত্যের আলো প্রজ্বলিত করা। এটাই মানবশিশুর স্বভাব ও ফিতরত।
একটি ফুলের মত একটি শিশুও পৃথিবীতে আসে অনেক সুবাস এবং অনেক পবিত্রতা নিয়ে। আমরা যেন প্রতিটি শিশুর পবিত্রতা ও সুবাস গ্রহণ করি, আমাদের ভিতরের দুর্গন্ধ ও অপবিত্রতা থেকে প্রতিটি শিশুকে আমরা যেন রক্ষা করি; প্রতিটি শিশুকে আমরা যেন ভালোবাসি।