রজব ১৪৩০ হিঃ (১২)

এসো কলম মেরামত করি

এসো কলম মেরামত করি

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

গত সংখ্যার প্রথম কথাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ো। লেখাটি কীভাবে জন্মলাভ করলো এবং ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করলো, সে বিষয়ে এখানে আলোচনা করছি। মাগরিবের আগে আম্মার সাথে দেখা করতে গেলাম। দেখি একটি বিষয়ে তিনি অস্থির পেরেশান। আমি তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, আম্মা! আমি যদি বেঁচে থাকি, এ সমস্যার সমাধান অবশ্যই করবো, ইনশাআল্লাহ। মা এমন খুশী হলেন এবং তাঁর মুখমণ্ডল খুশিতে এমন ঝলমল করে উঠলো যে, আমি অভিভূত হলাম। নিজেকে ধন্য মনে হলো যে, মায়ের মুখে এমন হাসি ফোটাবার তাওফীক আল্লাহ দান করেছেন! আমার ভিতরে তখন ভাবের এমন এক তরঙ্গদোলা জেগে উঠলো যে, আমি আত্মহারা হলাম। মাগরিবের আযান হলো, নামায পড়তে গেলাম। ভিতরের সেই তরঙ্গদোলা তখনো চলছে। নামাযের মধ্যেই হঠাৎ মনে হলো, একটি লেখা যেন উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে! হয়ত আল্লাহ আমার কলমের মুখে লেখার ফুল ফোটাবেন! এটাকেই আমি বলি, লেখার মুহূর্ত। এ মুহূর্তটিকে কিছুতেই হাতছাড়া করা উচিত নয়। নামাযের পর নীচে এলাম। আমাকে যারা দেখলো তারা বুঝলো কিছু একটা হয়েছে! আমি শুধু বললাম, কেউ যেন আমাকে বিরক্ত না করে। দরজা বন্ধ করে কাগজ-কলম নিয়ে বসলাম। তখন কলমের মুখ থেকে ঝরঝর করে এ লেখাটি ঝরলো। এমন লেখা শত চেষ্টা করেও আমি লিখতে পারতাম না, যদি না ভিতরে ভাবের উদয় হতো এবং আল্লাহর তাওফীক না হতো। এজন্য আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ । এ লেখাটি আমার কাছে জীবনের সেরা লেখাগুলোর একটি বলে মনে হয়। ভিতরে একেকটি তরঙ্গদোলা অনুভূত হয়, আর নতুন কথা জেগে ওঠে। প্রথমে লিখলাম, ‘আমার মায়ের মুখের হাসি, আমার কলমের লেখা, এদুয়ের মাঝে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। আমার মায়ের চোখের পানি, আমার কলমের লেখা, এদুয়ের মাঝে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক।’ এতটুকু লেখা হতেই হঠাৎ মনে হলো, মায়ের মুখের হাসিকে ভোরের সূর্যের সঙ্গে এবং মায়ের মুখের বিষণ্নতাকে সন্ধ্যার সূর্যের সঙ্গে উপমা দেই। ভোরের সূর্য যেন আমাকে দেখেছে মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে, তদ্রূপ সন্ধ্যার সূর্য যেন দেখেছে মায়ের চোখের পানি মুছে দিতে। এমন সুন্দর দৃশ্য দেখে সূর্য যেন অভিভূত হয়ে আমাকে দোয়া দিলো যে, যতদিন তুমি এটা করবে তত দিন তোমার কলম থেকে লেখা আসবে। তখন লিখলাম, ‘আমার মায়ের মুখের হাসি, আমার কলমের লেখা, আজ সূর্যোদয়ের পর বুঝতে পেরেছি, এদুয়ের মাঝে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। আমার মায়ের চোখের পানি, আমার কলমের লেখা, আজ সূর্যাস্তের সময় বুঝতে পেরেছি, এদুয়ের মাঝে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। আজ ভোরে আমার মায়ের মুখে আমি হাসি ফোটাতে পেরেছিলাম। সেই হাসিতে ভোরের রাঙ্গা সূর্যটি আরো যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিলো। সেই রাঙ্গা সূর্যের উজ্জ্বল হাসিতে আমি যেন শোনতে পেলাম একটি বাণী- যত দিন তুমি তোমার মায়ের মুখে হাসি ফোটাবে, তোমার কলম থেকে শব্দের ফুল ঝরবে। আজ সন্ধ্যায় আমি আমার মায়ের চোখ থেকে অশ্রু মুছে দিতে পেরেছিলাম। বিদায়ের আগে সন্ধ্যার সূর্য আমাকে যেন বলে গেলো, ‘যত দিন তুমি তোমার মায়ের চোখের অশ্রু মুছে দিতে পারবে ততদিন তোমার কলম থেকে শব্দের মুক্তা ঝরবে।’ এভাবে লেখাটি তৈরী হয়ে গেলো। কিন্তু দেখা গেলো, লেখাটির জন্য বরাদ্দ জায়গা এখনো পূর্ণ হয়নি। সুতরাং লেখাটিকে সমপ্রসারিত করতে হবে। কীভাবে তা করা যায়? লেখাটি বারবার পড়ছি, আর ভাবছি, হঠাৎ মনে হলো; ‘যত দিন তুমি তোমার মায়ের মুখে হাসি ফোটাবে তত দিন তোমার কলম থেকে শব্দের ফুল ঝরবে’ -এর পরে একথাটুকু যোগ করা যায়, ‘সেই ফুলের সুবাসে তোমার জীবন হবে সুবাসিত।’ একই ভাবে দ্বিতীয় স্থানে ‘শব্দের মুক্তো ঝরবে’-এর পরে যোগ করলাম, ‘সেই মুক্তো তোমার জীবনে বয়ে আনবে উজ্জ্বলতা।’ তারপর মনে হলো, যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের কথা ভুলে গেলাম কেন? তাদেরকে তো শরীক করা যায়! তখন উভয় স্থানে লিখলাম, ‘তোমার জীবন এবং যারা আসে তোমার কাছে তাদেরও জীবন সুবাসিত/ উজ্জ্বল হবে।’ এভাবে লেখাটি সমপ্রসারিত হলো, কিন্তু জায়গা তখনো আছে। আবার ভাবছি, হঠাৎ মনে হলো, শুধু ভবিষ্যতের লেখাগুলো কেন, আমার পিছনের সমস্ত লেখাও তো মায়ের দোয়ার ফল! সুতরাং লিখলাম। ‘আজকের সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত আমাকে এই বিশ্বাসটুকু দিয়ে গেলো, আমার কলম থেকে এত দিন যত শব্দ ঝরেছে, যত গল্প ও কবিতা লেখা হয়েছে তা আর কিছু নয়; আমার মায়ের মুখের হাসি, কিংবা তার চোখের অশ্রু।’ হঠাৎ মনে হলো, সূর্যের কাছ থেকে এত কিছু পেলাম, তাহলে একটু কৃতজ্ঞতা তো প্রকাশ করা উচিত! তখন লিখলাম, ‘আজকের সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।’ তখনো কিছু জায়গা খালি! আমার হৃদয় বলছে, ‘কিছু একটা রয়ে গেছে, অপেক্ষা করো, যিনি আড়াল থেকে সবকিছু করেন তিনি অবশ্যই দেবেন।’ হঠাৎ মনে হলো, এই লেখার পাঠক যারা তারা তো লেখাটি থেকে অবশ্যই এ শিক্ষা গ্রহণ করবে যে, কলম থেকে লেখা পেতে হলে মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে হবে এবং মায়ের চোখ থেকে অশ্রু মুছে দিতে হবে! এটাই হলো এ লেখার মূল বার্তা, যা শব্দে ও ভাষায় প্রকাশ করা হয়নি, তবে লেখার মাঝে প্রচ্ছন্ন রয়েছে। এই প্রচ্ছন্নতা গ্রহণযোগ্য। তবে এখানে যেহেতু জায়গা রয়েছে সেহেতু লেখার বার্তাটি এখানে স্পষ্টরূপে উচ্চারণ করে লিখলাম, ‘হে বন্ধু! তুমি যদি তোমার কলমের কাছে শব্দের ফুল এবং শব্দের মুক্তো উপহার পেতে চাও তাহলে তোমার মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে এবং তার চোখের অশ্রু মুছে দিতে চেষ্টা করো।’ এভাবে লেখাটিকে সমপ্রসারিত করে করে বরাদ্দ জায়গাটুকু পূর্ণ করা হলো এবং তাতে লেখাটিও সমৃদ্ধ হলো। যে কোন লেখা সমপ্রসারিত করার সময় মনে রাখতে হবে যে, তাতে যেন লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। অপ্রয়োজনীয় বা অপ্রাসঙ্গিক কো কথা যেন না আসে, তাতে বরং লেখাটি স্লিম ও সুঠাম না হয়ে মেদ-ভুঁড়িবিশিষ্ট হয়ে যাবে এবং লেখার শরীরের সুঠামতা নষ্ট হয়ে যাবে। তদ্রূপ কোন প্রয়োজনে লেখাকে সংকোচিত করার সময় দেখতে হবে যে, কোন প্রয়োজনীয় অংশ যেন বাদ না পড়ে এবং লেখার কোনরূপ অঙ্গহানি যেন না ঘটে। লেখার সমপ্রসারণ ও সংকোচন সম্পর্কে পরবর্তী কোন সুযোগে বিশদ আলোচনার ইচ্ছে আছে। এখানে একটি কথা বলা দরকার, এই যে ‘হঠাৎ মনে হলো, হঠাৎ মনে হলো’ বলছি, এই মনে হওয়াটা নিজে নিজে কী সম্ভব? কিছুতেই নয়! যতক্ষণ না হৃদয় উন্মুক্ত হবে এবং অপার্থিব এক তরঙ্গদোলায় হৃদয় তোমার দোল খেতে থাকবে। আর এটা তখনই হয় যখন আল্লাহ তোমার কলবে কোন ভাব এবং তোমার কলমে কোন লেখা দান করতে চান! সুতরাং একটি সুন্দর লেখার জন্য তোমাকে অবশ্যই আকাশের দিকে হাত তুলে প্রার্থনা করতে হবে। আর আকাশ থেকে ভাব ও ভাষা তোমার হৃদয়ে তখনই বর্ষিত হবে যখন হৃদয় উন্মুক্ত হবে। আর হৃদয় উন্মুক্ত হয় দয়া-মায়া, উদারতা, স্নিগ্ধতা ও পবিত্রতা ইত্যাদি কোমল, সুন্দর, শুভ্র গুণ দ্বারা। আমরা যারা সাহিত্যের সাধক হতে চাই, দুঃখ এই যে, হৃদয়ের কথা আমরা ভুলে যাই। আমরা সাধনা করতে চাই ভাষা ও শব্দের জগতে, অথচ পৃথিবীর সকল দেশে সকল ভাষার সাহিত্যসাধকদের একই কথা- ‘সাহিত্যের উৎস হৃদয়, অন্য কিছু নয়।’ *** এবার লেখাটির দেহকাঠামো সম্পর্কে কিছু আলোচনা। এটা তো তুমি বুঝতে পেরেছো যে, হৃদয়ে লেখাটির প্রথম উন্মেষ ঘটেছিলো এক সন্ধ্যায় মায়ের মুখে হাসি ফোটানো থেকে। লেখাটিকে একটি কাঠামো দান করার জন্য উপমারূপে সূর্যের কথা এসেছে। কিন্তু হাসির উদ্ভাসের সাদৃশ্য হলো ভোরের উদিত সূর্যের সঙ্গে, আর চোখের অশ্রুর বিষণ্নতার সাদৃশ্য হলো সন্ধ্যার সূর্যের সঙ্গে। সেহেতু লেখার কাঠামোগত প্রয়োজনে বাস্তব ঘটনায় পবিবর্তন আনা হয়েছে। আর মায়ের চোখের অশ্রু মুছে দেয়ার ঘটনা সেদিনের না হলেও অন্য কোন সময় তা ঘটেছিলো। অর্থাৎ স্থান ও সময় বাস্তব না হলেও ঘটনা বাস্তব। তো লেখার কাঠামো নির্মাণের প্রয়োজনে এইটুকু পবিবর্তন হতে পারে, সাহিত্যে এটাকে অসত্যভাষণ বলে না। তুমি ভেবে দেখো, এখানে সূর্যের উপমা ছাড়া লেখাটিকে একটি সুন্দর কাঠামো দান করা সম্ভব হতো কি না! আগেও কোন এক লেখায় বলা হয়েছে, যে কোন লেখার মোটামুটি তিনটি অংশ থাকে। (ক) উদ্বোধনী অংশ (খ) মধ্যবর্তী অংশ, এবং (গ) সমাপ্তি অংশ। এখানে উদ্ধোধনী অংশটি হলো, ‘মায়ের মুখের হাসির এবং চোখের অশ্রুর সেঙ্গ কলমের লেখার নিবিড় সম্পর্ক’। এটা বুঝতে পেরেছি কখন? সকালে যখন মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলাম এবং সন্ধ্যায় যখন মায়ের চোখ থেকে অশ্রু মুছে দিয়েছিলাম। সকাল ও সন্ধ্যা, এসময় দু’টির উল্লেখ করা হয়েছে মূলত উপমারূপে সূর্যের প্রসঙ্গ উপস্থাপনের প্রয়োজনে। তো এটা হলো দুই প্রসঙ্গের মাঝে সেতুবন্ধন। সূর্যের কাছ থেকে প্রাপ্ত বাণীটি হলো লেখার মধ্যবর্তী অংশ এবং এ অংশটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তা পাঠকের জন্য বার্তা বহন করছে। ‘আজকের সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত আমাকে এই বিশ্বাসটুকু দিয়ে গেলো.....।’ এ অংশটুকু হচ্ছে মধ্যবর্তী অংশের সমপ্রসারণ। হে বন্ধু! ... এটি হচ্ছে সমাপ্তি অংশ, যা আলোচ্য লেখাটির মূলবক্তব্যের সারনির্যাস। *** এবার লেখাটির ভাষাগত সম্পাদনা সম্পর্কে আলোচনা করছি। ‘আমার মায়ের মুখের হাসি, আমার কলমের লেখা, আমার মায়ের চোখের অশ্রু, আমার কলমের লেখা’ এ অংশটুকু বার বার পড়ে মনে হলো, বক্তব্যটি সুন্দর হলেও এর ভাষা ও উপস্থাপন সুন্দর নয়। উদ্বোধনী অংশটি আরো সুন্দর ও আকর্ষণীয় হওয়া দরকার। কথাগুলো মনে মনে নাড়াচাড়া করতে করতে হঠাৎ এসে গেলো, ‘আমার মায়ের মুখে যখন হাসি ফোটে, আমার কলম থেকে তখন শব্দের ফুল ঝরে। আমার মায়ের মায়ের চোখ থেকে যখন অশ্রু ঝরে আমার কলম থেকে তখন মুক্তো ঝরে।’ হাসির সঙ্গে ফুল এবং অশ্রুর সঙ্গে মুক্তোর উল্লেখ যে খুবই উপযোগী হয়েছে আশা করি তুমি তা বুঝতে পেরেছো। এসম্পাদনাটুকু করার ক্ষেত্রে সাহায্য পেয়েছি মধ্যবর্তী অংশের এই বাক্যটি থেকে, ‘যত দিন তুমি তোমার মায়ের মুখে হাসি ফোটাবে তত দিন তোমার কলম থেকে শব্দের ফুল ঝরবে।’ পরে মনে হলো ‘শব্দের ফুল ঝরে’- এর সঙ্গে ‘শব্দের মুক্তো ঝরে’ হলে ভালো হয়। তারপর মনে হলো, শুধু ‘ফুল ঝরে’ এবং ‘মুক্তো ঝরে’ হলে আরো ভালো। কিসের ফুল, কিসের মুক্তো, সেটা পাঠকের অনুভবের উপর ছেড়ে দেয়াই ভালো। এই প্রচ্ছন্নতা উপমাকে আরো সৌন্দর্য দান করবে। ‘যত দিন তোমার মায়ের চোখ থেকে তুমি অশ্রু মুছে দেবে তত দিন তোমার কলম থেকে মুক্তো ঝরবে।’ এ অংশটা পড়ছি, আর মনে হচ্ছে অন্যরকম হলে হয়ত ভালো হতো, হঠাৎ মনে পড়লো, কোথায় যেন পড়েছিলাম, ‘অশ্রু দিয়ে লেখা এ কবিতা আমার’ সেই সঙ্গে মনে হলো, মায়ের চোখের অশ্রু যদি হয় আমার কলমের কালি! এভাবনাটুকু হৃদয়কে এমনই আন্দোলিত করলো যে, আমি ‘আল্লাহু আকবার’ বলে উঠলাম ! কী হলো! কী হলো! বলে আমার স্ত্রী ছুটে এলো। আমি বললাম, দেখো আল্লাহ কী দান করেছেন। আলহামদু লিল্লাহ! সত্যি, এরকম আনন্দের সঙ্গে জগতের আর কোন আনন্দের তুলনাই হয় না। যাই হোক, তখন আমি লিখলাম, ‘যত দিন তোমার মায়ের চোখ থেকে তুমি অশ্রু মুছে দেবে, কালি হয়ে তোমার কলম থেকে সে অশ্রু আবার ঝররে। তোমার কলম তোমাকে উপহার দেবে মায়ের অশ্রু দিয়ে লেখা কবিতা। তোমার জীবনে এবং যারা তোমার কাছে আসে তাদেরও জীবনে সে কবিতা বয়ে আনবে আকাশের সান্ত্বনা।’ দেখো তো আগের চেয়ে কত সুন্দর হয়েছে! হঠাৎ মনে হলো, কবিতার সঙ্গে ছন্দের উল্লেখ বেশী সুন্দর হবে, তখন লিখলাম, ‘সে কবিতার ছন্দে তোমার জীবন এবং যারা আসে তোমার কাছে তাদের জীবন হবে ছন্দময়।’

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা