রবিউল আউয়াল ১৪৪০হিঃ (৩/৭)

কিশোর বন্ধুরা

দেশ ও সমাজের দিনলিপি

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 

 

 

 

দেশ ও সমাজের দিনলিপি

নয়া দিগন্তের একটি প্রতিবেদনে দেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার যে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে তা সত্যি অবিশ্বাস্য। প্রতিবেদনটির শিরোনাম হলো ‘সন্তানের পরীক্ষা নিয়ে মা-বাবার যুদ্ধ’। প্রতিবেদনের মূল বক্তব্য হচ্ছে- ‘সন্তানের লেখা-পড়া ও কোচিং-এর ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে, লেখাপড়ার তদারকি করতে গিয়ে, আর পরীক্ষা ও ভর্তিপরীক্ষার পিছনে ছোটাছুটি করতে গিয়ে প্রায় প্রতিটি মা-বাবা এখন শাব্দিক অর্থেই দিশেহারা। পক্ষান্তরে শিক্ষার্থীর অবস্থা আরো কঠিন, আরো গুরুতর। একজন কোমলমতি ছাত্রের কাছে এখন জীবনের সবচে’ কঠিন ও ভয়ের বিষয় হলো লেখা-পড়া ও পরীক্ষা।

অন্য এক জরিপে জানা গিয়েছে, অনেক মা-বাবার মতে, শুধু সন্তানের লেখাপড়ার উচ্চব্যয় বহন করার জন্য চাকুরি জীবনে তারা অসদুপায় অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছেন।

সন্দেহ নেই, মর্মান্তিক চিত্র। প্রশ্ন হলো মাদরাসার শিক্ষার্থী এবং তাদের মা-বাবা কি অনুভব করেন তারা সন্তানের শিক্ষা বিষয়ে কতটা নিশ্চিন্ত, কতটা নিরাপদ? কিছুটা হলেও কি মাদরাসা শিক্ষা ও এর ব্যবস্থাপকদের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত নয়

শুক্রবার/১৮-৮-৩৪ হি. ২৮-৬ -১৩ খৃ.

গাজীপুরের নির্বাচনী লড়াই এখন তুঙ্গে, যদিও খুবই অসম লড়াই। বিজয় সম্পর্কে সরকার এখনো নিশ্চিত হতে পারছে না, এটাই হলো মূল বিষয়। নয়াদিগন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী চারসিটি করপোরেশন নির্বাচন এখন সরকারের জন্য চরম পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে; বিশেষ করে এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে পরাজিত হওয়ার কারণে।

মাওলানা মুতিউর-রহমান নিযামীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১১তম সাক্ষী অ্যাডভোকেট শামসুল হক ওরফে নান্নু স্বীকার করেছেন, জবানবন্দী দেয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

তার কথার খোলাসা দাঁড়ায়, আসামীকে তিনি ছয়মাস থেকে দেড়বছর বয়সেই চিনতেন। কারণ তিনি বলছেন, নিযামী বোয়ালমারী মাদরাসায় পড়া অবস্থায় তিনি তাকে চিনতেন। এদিকে পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র এবং তার মুখের কথা অনুযায়ী তার জন্মতারিখ হলো ১০ই নভেম্বর ১৯৫৩।

নিযামীর আইনজীবীর জেরার মুখে সাক্ষী নাজেহাল হয়ে পড়ে। কিন্তু তাতে কী আসে যায়!

নারীরাও ব্যাপক হারে ঝুঁকে পড়ছে মাদকব্যবসায় এবং মাদকের নেশায়। উচ্চবিত্ত ঘরের মেয়েরা, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী-শিক্ষিকাও তা থেকে মুক্ত নয়। গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছন, নারীরা এটাকে এখন ফ্যাশনেবল বিজনেস মনে করছে।

সমাজ কীভাবে ধ্বংসের পথে চলেছে, মনে হয় কারোই এ বিষয়ে কোন চিন্তা নেই; না বুদ্ধিজীবী, না রাজনীতিবিদ, আর না সমাজ-বিজ্ঞানী।

নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে কটূক্তিকারী ব্লগার আছিফকে আদালত জামিন দিয়েছে।

জ্বি, এখন তো এরাই জামিন পাওয়ার হকদার!

শনিবার/ ১৯-৮-৩৪ হি. ২৯-৬-১৩ খৃ.

গাজীপুর নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার এখন বেশ সচেষ্ট হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতায় আসার জন্য। আল্লামা শফীর সঙ্গে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের বিভিন্নমুখী চেষ্টা চলছে। সরকারের কৃপাভোগী কিছু আলেমও এ চেষ্টায় নেমেছেন। তবে কাজ হচ্ছে বলে মনে হয় না। হতে পারে কীভাবে! কোরআন হাদীছের যারা সারা জীবনের খাদেম, তারা কি এত সহজে ভুলে যেতে পারেন তাদের ডাকে প্রাণ বিলিয়ে দেয়া তালিবানে ইলমের কথা!

সর্বশেষ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মুহম্মদ আফজল এ বিষয়ে জোর চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু আল্লাম শফী তার সঙ্গে দেখা করতে পর্যন্ত রাজী হননি। শেষে আফজাল সাহেব ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেন। আল্লামা তাতেও রাজী হননি।

গ্রামীণ থেকে ড. ইউনুসকে বিতাড়ন করা হয়েছে, তারপরো বিভিন্নভাবে তাকে হেনেস্থা করা বন্ধ হয়নি। বেচারা!

জিনজিয়াং-এ দাঙ্গা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে এবং মৃতের সংখ্যা ৩৫ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

নয়াদিগন্তে মিনা ফারাহর মূল্যবান একটি লেখা এসেছে, ‘মুক্তচিন্তা ও ভয়াবহ সঙ্কেত’ নামে।

যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পোশাকশিল্প ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে সবাই শঙ্কিত! বলতে গেলে পুরো সেক্টর স্তব্ধ! সরকারের ‘কুছ পরোয়া নেই’ ভাবটা অবশ্য বহাল আছে!

রোববার/২০-৮-৩৪ হি. ৩০-৬-১৩ খৃ.

এক গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্ট জনেরা বলেছেন, সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশীদের নির্বিচার হত্যা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এজন্য গণজাগরণের প্রয়োজন।

সরকার ও বিরোধীদল সাধারণ নির্বাচন প্রশ্নে মুখোমুখি অবস্থানে অনড় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতই নির্বাচন হবে। প্রশ্ন হলো, ফলটাও কি অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত হবে? তাহলে আওয়ামী লীগ কেন মরিয়া হয়ে আন্দোলন করেছিলো তত্তাবধায়কের জন্য? এবং এখন কেন...?

বেগম জিয়া বেশ দৃঢ়তার সঙ্গেই বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের দাবী মানতে বাধ্য করা হবে।

ওদিকে ‘বিশ্ববেহায়া খেতাবপ্রাপ্ত সজ্জন’ বলেছন, মহাজোটে তিনি থাকতে চান না। আসলে মানুষ এখন তার কোন মন্তব্যে হাসেও না।

দু’দিনের বৃষ্টিপাতে রাজধানী আবার হাঁটুপানীর নীচে। শহরেনৌকা চলার ছবি আসছে পত্রিকায়। জনজীবন শাব্দিক অর্থেই এখন বিপর্যস্ত।

আফগানিস্তানে দায়িত্বরত সিনিয়র বৃটিশ জেনারেল নিক কার্টার বলেন, আরো বহু আগেই পশ্চিমা বিশ্বের কর্তব্য ছিলো তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসা। সম্প্রতি তালেবানের সঙ্গে আলোচনা শুরুর প্রচেষ্টা ‘লজ্জা-জনক’ভাবে ভেঙ্গে যাওয়ার প্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তালেবান এখন এতটা গুরুত্ব পেলো কীভাবে?! তালেবান সরকারের পতনের পর কী ভয়ঙ্কর হত্যাকা- চালানো হয়েছিলো, তা তো ভুলে যাওয়ার কথা নয়!

মিশরে প্রেসিডেন্ট মুরসির পক্ষে দশলাখ লোকের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুরসির বিরোধীরা রোববার পাল্টা সমাবেশ ডেকেছে, যার পিছনে সেনাবাহিনীর পরোক্ষ সমর্থন রয়েছে। ইখওয়ানুল মুসলিমীনের মুখপাত্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, মুরসিকে ক্ষমতা থেকে বিচ্যুত করার প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার অর্থ হবে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তোলা।

নয়াদিগন্তের সম্পাদকীয় পৃষ্ঠায় একটি মূল্যবান লেখা শিবলী চৌধুরীর। শিরোনাম, সম-অধিকারের মোহে কোথায় চলেছে নারীসমাজ?

তিনি বলেন, নারীদের মুক্তি, স্বাধীনতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বহু মনীষী আন্দোলন করেছেন। তাতে নারী ঘর থেকে বের হয়েছে সত্য, কিন্তু ইসলাম নারীকে যে মর্যাদা ও অধিকার দিয়েছে তা যেমন লুণ্ঠিত হয়েছে তেমনি নারীসত্তার আত্মসম্মান-টুকু পর্যন্ত বিলীন হয়েছে। ...

সোমবার ২১-৮-৩৪ হি. ১-৭-১৩ খৃ.

হেফাজতের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে মেয়রপ্রার্থী আব্দুল মান্নানের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এটা হেফাজতের ছোটখাটো আরেকটা অবিবেচনা-প্রসূত কাজ।

সংসদে দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রী হলমার্কের অর্থকেলেঙ্কারী সম্পর্কে তার বক্তব্যের পুনরুক্তি করে আবারও বলেছেন, চারহাজার কোটি টাকা তেমন কিছুই না, যেখানে ব্যংকঋণ চারলাখ কোটি ঢাকা। কে জানে, কেলেঙ্কারীর পরিমাণ কত হলে সেটা ‘কিছু’ হবে!

আজ নয়াদিগন্তের একটি শিরোনাম, ‘আতঙ্কের নাম সাদা পোশাক ঃ দু’দিনে রাজধানীতে চার ছাত্রনেতা নিখোঁজ

কেলেঙ্কারীর দায়ে দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, রানাপ্লাজার ‘ঘটনা’ তেমন কিছুই না। এর সঙ্গে জিএসপি বাতিলের কোন সম্পর্ক নেই। বেগম জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে যে নিবন্ধ লিখেছেন, তার ফলেই এটা হয়েছে। হায় রে সেন বাবু!

বৃটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা মিরর ও ডেইলি মেইল বলেছে, ‘রানাপ্লাজা ধ্বসের ১৭ দিন পর রেশমা বেগমের উদ্ধার হওয়ার ঘটনাটি সাজানো নাটক বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পুরো অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি নয়াদিগন্তে এসেছে। বড়ই চিত্তাকর্ষক! যদি তাই হয় তাহলে বলতেই হয়, এমন মর্মন্তুদ ঘটনা নিয়ে এমন হাস্যকর নাটকের কী প্রয়োজন ছিলো?!

নয়াদিগন্তে সম্পাদকীয় পাতায় এবনে গোলাম সামাদের লেখা, ‘মিয়ানমারে মুসলিম নিধন’। তথ্যপূর্ণ মূল্যবান লেখা।

এরশাদ মজুমদারের লেখা, ‘সংসদের ভাষা ও সদস্যদের ভব্যতা’। সংসদে একটি বিশেষ দলের কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, মানুষ তার মুখের ভাষা দ্বারা আসলে নিজেরই পারিবারিক পরিচয় তুলে ধরে।

মঙ্গলবার ২২-৮-৩৪ হি. ২-৭-১৩ খৃ.

নয়াদিগন্তের প্রতিবেদন, ‘আর মাত্র চারদিন বাকি, গাজীপুরে টাকার ছড়াছড়ি’। গাজীপুরে বিজয়ের জন্য সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। এটা এখন সরকারের মর্যাদার প্রশ্ন। একটি ‘জীবন্মৃত বিরোধী দলই যদি ...!

সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে যে সময়কালটায় অপরাধ সঙ্ঘটনের অভিযোগ, তিনি প্রমাণ পেশ করেছেন, ঐ পুরো সময় তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন। সরকারী দলের সালমান এফ রহমানও তার পক্ষে সাক্ষি দিয়েছেন। তবে মনে হচ্ছে, সবই প-শ্রম!

বিনিয়োগ স্থবিরতায় ব্যাংক মুনাফায় ধ্বস নেমেছে। তবে এর মধ্যেও বরাবরের মত মুনাফায় শীর্ষে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। গত ছয়মাসের মুনাফা ৯৭৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের এ সময় ছিলো ৯৫৯ কোটি টাকা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবার ইসলামী ব্যাংকের দিকে শনির দৃষ্টি ...।

ভারতের ইকনমিক টাইমস-এর মতে ‘বাংলাদেশে জিএসপি সুবিধা স্থগিত হওয়াটা ভারতের পোশাক শিল্পের জন্য আশীর্বাদ।’ বন্ধুদেশ বটে!

নয়াদিগন্তের সম্পাদকীয় মন্তব্য, ‘পুলিশকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে পুলিশ এখন জনগণকে নিরাপত্তা দেয় না, যা ছিলো তার কর্তব্য ও দায়িত্ব। গুম নির্যাতনের মাধ্যমে দেশ আজ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশ এখন ভয় ও আতঙ্কের কারণ। এর পরিণাম কখনো ভালো হতে পারে না।

গোলাপ মুনিরের কলাম, ‘সরকারকে বুঝতে হবে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী এখন জনদাবী। আর জনদাবী উপেক্ষা করার পরিণাম শেষ পর্যন্ত ভয়াবহ হতে বাধ্য।

বুধবার/ ২৩-৮-৩৪ হি. ৩-৭-১৩ খৃ.

শেষ মুহূর্তে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দুই প্রধান দলের রাজনৈতিক যুদ্ধের রূপ নিয়েছে। হেফাযতের অবস্থান সরকারকে বেশ বেকায়দায় ফেলেছে মনে হয়। সরকার কৌশলে হেফাযত ইস্যুর মুকাবেলা করছে। তাদের প্রচারণার এখন প্রধান দিক হলো ধার্মিকতা! এ প্রসঙ্গে ‘হিজাবের রাজনীতি’ স্মরণ করা যেতে পারে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করাকে কেন্দ্র করে বেশ নাটকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ‘আওয়ামী প্রার্থী’ আজমতুল্লাহর জন্য এটা সম্ভবত বুমেরাং হতে যাচ্ছে।

র‌্যাবের গুলিতে পঙ্গুত্ব বরণকারী যুবক লিমনের বিরুদ্ধে দেখা যাচ্ছে, প্রশাসনের একটা অংশ উঠে পড়ে লেগেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে সরকারী কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে।

সমস্ত আলামত বলছে, মিশরে সেনা অভ্যুত্থান হতে চলেছে ‘গণতন্ত্রবাদী’ পশ্চিমা বিশ্বের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে। মিশরীয় জনগণের অপরাধ, গণতন্ত্রের প্রথম সুযোগেই তারা ক্ষমতায় এনেছে ইসলামপন্থী দল ইখওয়ানুল মুসলিমীন (মুসলিম ব্রাদারহুড)কে। সেনাপ্রধান সিসি দেশের পরিস্থিতি শান্ত করা এবং সহিংসতা বন্ধ কারার জন্য মুরসীসরকারকে ৪৮ ঘণ্টার চরমপত্র দিয়েছে। না হলে সেনাবাহিনী ‘নিজস্বপন্থা’ অবলম্বন করবে। সোমবার দেশটির সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল আব্দুল ফাত্তাহ সিসি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক সামরিক বিবৃতি প্রদানের মাধ্যমে এ চরমপত্র ঘোষণা করেন।

সারা দেশ মুরসির পক্ষে রাস্তায় নেমে এসেছে। অল্পসংখ্যক মুরসিবিরোধী মানুষের গোলযোগের পিছনে সেনাবাহিনীর উসকানি রয়েছে বলে ইখওয়ানের অভিযোগ।

পরিস্থিতি দেখে সেনাবাহিনী আপাতত পিছু হটছে। এখন তারা বলছে, অভ্যুত্থানের কোন পরিকল্পনা তাদের নেই।

গ্রামীণব্যাংকপ্রসঙ্গ বেশ জটিল আকার ধারণ করেছে। সরকার সম্ভবত এর শেষটা দেখতে চায় যে কোন মূল্যে। জাতীয় সংসদে গ্রামীণব্যাংক ও ড. ইউনুস সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন ইউনুস সেন্টার তার জোরালো প্রতিবাদ করে দীর্ঘ একটি বিবৃতি দিয়েছে সংবাদমাধ্যমে। শুরুতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে দেশবাসী অবাক হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে একজন সম্মানিত ব্যক্তি সম্পর্কে এরূপ ‘অসত্য’ কেউ আশা করে না।...

মিযানুল করিমের লেখা, ‘জাতীয় সংসদে এবার বিশেষ করে নারী-সদস্যদের দ্বারা যে ধরনের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে তা রীতিমত খিস্তিখেউড় বলা যায়। ...

প্রধানমন্ত্রী বলছেন, একবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে রোয কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। তখন বিরোধী দলের নেত্রীসহ তারা উভয়ে আবার জেলে যাবেন।

অথচ একসময় তিনিই বলতেন গর্ব করে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারই আন্দোলনের ফসল এবং তিনি ক্ষমতায় গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বৈধতা দান করবেন। পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, আসলে সরকার বুঝে গেছে, তার পায়ের তলায় মাটি নেই। সুতরাং নিরপেক্ষ নির্বাচনে তার ভরাডুবি নিশ্চিত।

বিদ্যুৎসঙ্কট ও লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় জনজীবন এখন বিপর্যস্ত। রাতের অন্ধকারে মোমবাতি আর হ্যারিকেনই এখন ভরসা।

বৃহস্পতিবার/২৪-৮-৩৪ হি. ৪-৭-১৩ খৃ.

শেষ পর্যন্ত যা আশঙ্কা করা হয়েছে তাই ঘটলো। মিশরীয় সেনাবাহিনী দেশের ইতিহাসের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করলো! সামরিক অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেনাপ্রধান সিসি। তার সম্পর্কে বলা হয়, তিনি ইহুদি মায়ের সন্তান এবং ইসরাইলের সঙ্গে তার রয়েছে ‘নাড়ীর’ সম্পর্ক।

ইসলামী শাসন রক্ষার লড়াইয়ে জীবন দিতে প্রস্তুত বলে মুরসির সমর্থকরা ঘোষণা করেছে। লক্ষাধিক মুরসিসমর্থক এখন রাবেয়া আদাবিয়াচত্বরে।

বিরোধী পক্ষের অভিযোগ, সরকার নির্বাচনের ফল ছিনতাই করার জন্য প্রতিটি প্রশাসনিক যন্ত্র ব্যবহার করছে।

পাকিস্তান সরকারের ‘কঠোর’ প্রতিবাদ সত্ত্বেও মার্কিন ড্রোন হামলা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বুধবার আফগান সীমান্তবর্তী উত্তর ওয়াজিরিস্তানে যে ড্রোন হামলা হয় তাতে নিহত হয়েছে কমপক্ষে সতেরজন।

তুরস্ক সরকার বলছে, সরকার-বিরোধী সাম্প্রতিক বিক্ষোভের পিছনে প্রবাসী ইহুদীদের হাত ছিলো। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে।

আজ ৪ঠা জুলাই বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ২৩৮তম স্বাধীনতা দিবস। ১৭৭৪ সালের এ দিনে সা¤্রাজ্যবাদী বৃটিশের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা অর্জন করে। এর পর থেকে আজ পর্যন্ত স্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে কত দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হয়েছে তা এখন ইতিহাসের বিষয়।    মাসুদ মজুমদারের কলাম, ‘জরুরি অবস্থা জারির আশঙ্কা এবং ইন্দিরা গান্ধীর নযির’। তিনি লিখেছেন, ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করে যে সব অপরাধ করেছেন, বর্তমান সরকার জরুরি অবস্থা ছাড়াই ঐ সীমারেখা অতিক্রম করে ফেলেছেন। অথচ ইন্দিরা গান্ধীর ভয়াবহ পরিণাম। ...

রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ বলছেন গাজীপুর এখন সরকারের জন্য শাঁখের করাত!

গত ২৩শে আগস্ট শুক্রবার যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইলে সিটি করপোরেশনের ভাগাড়ে পাওয়া কয়েক বস্তা কঙ্কাল নিয়ে প্রশাসন নাটকীয়তা শুরু করেছে। এগুলোকে তারা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজে ব্যবহৃত বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে। জোর জল্পনা কল্পনা হচ্ছে, এগুলো হেফাযতের নিখোঁজ কর্মীদের কঙ্কাল! কঙ্কালগুলোর ডিএনএ টেস্ট করার জনদাবী উপেক্ষা করার জন্য গড়িমসির আশ্রয় নেয়া হচ্ছে বলে নয়াদিগন্তের প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে।

একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এ কঙ্কালগুলো আপন-পর উভয়ের কাছে ফরিয়াদ করেই যাবে।’

এবনে গোলাম সামাদ লিখেছেন, শুধু আদালতের নির্দেশে একটা দেশের রাজনীতি ও দেশশাসন পরিচালিত হতে পারে না। শাসক যদি এমন কিছু করেন যাতে গণ-অসন্তোষ বাড়তে থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত তিনি আর ক্ষমতায় থাকতে পারেন না। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।

উন্নয়নসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৮ ধাপ নীচে নেমেছে। ১৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখন ১৩০তম। তাহলে মধ্যম আয়ের দশ হলো কোন্ হিসাবে!

মর্জিনা আফরোয রোজী লিখেছেন, ‘ঐশীর মত ‘ছেলে-মেয়ে’ তৈরী হচ্ছে নৈতিক শিক্ষার অভাবে এবং সমাজে ও পরিবারে নৈতিকতার উদাহরণ না থাকার কারণে।’

নির্মম সত্য। কিন্তু ...

রোববার/২৭-৮-৩৪ হি. ৭-৭-১৩ খৃ.

আগের চার সিটির মত গাজী পুরেও ‘বিরোধী দলের পক্ষে গণ রায়।’ ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চার লাখ ৬৮ হাজার ভোট পেয়ে দেড় লাখেরও বেশী ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ১৪ দলীয় ‘মহা’ জোটের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমতুল্লাহ খান পেয়েছেন তিন লাখ বার হাজার ভোট।

সরকার তার সাধ্যের সবটুকু ব্যয় করেছে, কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এরশাদ সাহেবের ডিগবাজিও কাজে আসেনি, এমনকি কাজে আসেনি সরকারের হেফাযত-কৌশলও।

বস্তুত জনগণকে ভোটের সুযোগ দিলে ক্ষমতাসীন দলের কী করুণ পরিণতি হতে পারে তার সর্বশেষ প্রমাণ হলো গাজীপুর।

সিরিয়ায় সেনা অস্ত্রগুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। অন্যদিকে সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর হেমছ ও রাজধানী দামেস্কের আশপাশে সরকারী বাহিনী প্রচ- আক্রম চালিয়েছে বিদ্রোহী বাহিনীর উপর। হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা সরকারী বাহিনীকে নিবিড় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধের গতিবিধি দেখে মনে হয় না, খুব সহসা কোন সুরাহা হবে, না আলোচনার মাধ্যমে, না জয়-পরাজয়ের মাধ্যমে।

‘অপ্রতিরোধ্য মহাবিপর্যয়’ নামে

একটি লেখা এসেছে নয়াদিগন্তে সম্পাদকীয় পাতায়। তাতে দেখানো হয়েছে জীবাণুযুদ্ধের পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে কী বিপুল সম্পদ ব্যয় করছে উন্নত বিশ্ব, আর তাতে বিশ্বের ধ্বংস   কীভাবে ত্বরান্বিত হচ্ছে। একই ভাবে কৃষিখাতে হাইব্রিড ব্যবস্থা উদ্ভাবনের পিছনেও বহুজাতিক কোম্পানি দেদার অর্থ ব্যয় করে। তাদের উদ্ভাবিত বীজ স্বাস্থ্য-উপযোগী না হলেও উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বীজগুলো একবারমাত্র ব্যবহার করা যায়। ফলে প্রতিবার চাষীকে একই উৎস থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।

ঔষধশিল্পের যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষারও গিনিপিগ বানানো হয় কালোবাদামি মানুষগুলোকে। ... লেখাটি সংগ্রহে রাখার মত।

টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আবার উদ্বেগ আতঙ্ক বাড়ছে হাওর অঞ্চলে। এ বাঁধ নির্মিত হলে বাংলাদেশের হাওর-অধ্যুষিত অঞ্চল এর প্রধান শিকার হবে। কিশোরগঞ্জ নেত্রকোনা থেকে শুরু করে সিলেট মৌলভিবাজার প্রাণ ও পরিবেশের দিক থেকে বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারত সরকার একরোখা ভাবে এ বিশাল প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সরকার চরম নির্লিপ্ততার পরিচয় দিচ্ছে।

প্রতিহিংসার রাজনীতি কী ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনতে পারে সে সম্পর্কে শাসকমহলকে সতর্ক করে লিখেছেন ড. রেযওয়ান ছিদ্দীকী।

সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিসরে মুরসির পক্ষে লক্ষ জনতা রাজপথে নেমে এসেছে। নিরাপত্তাবাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে ৩৬জনের শাহাদাতের খবর পাওয়া গিয়েছে।

‘ওঝা হয়ে ঝাড়া’র ভূমিকা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসঙ্ঘ। সহিংসতার অবসানের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পক্ষান্তরে বিক্ষোভকারী-দের সুরক্ষা দেয়ার আহ্বান জাতি-সঙ্ঘমহাসচীব বান কি মুন-এর।

সোমবার/২৮-৮-৩৪ হি. ৮-৭-১৩ খৃ.

পত্রপত্রিকা লিখছে গাজীপুরের কারণে এরশাদ চরম ইমেজ সঙ্কটে ভুগছেন! আশ্চর্য, মানুষটার ইমেজ ছিলো কবে এবং কাদের কাছে?!                                   

তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মতে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে সরকার পক্ষীয় প্রার্থীর প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে তিনি নিজেকে এবং দলকে ডুবিয়েছেন। পার্টিপ্রধানের এ সিদ্ধান্তে -যদিও ধারণা করা হয়, এটি সরকারের চাপের মুখে ঘটেছে- নেতা-কর্মীরা শুধু হতবাকই হয়নি, চরমভাবে বিক্ষুব্ধও হয়েছে।

একের পর এব পরাজয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ভীত সন্ত্রস্ত ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করছে জাতীয় পত্রপত্রিকা। নির্বাচনী ফলে চরমভাবে হতাশ ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণের আস্থা হারালে যে কোন বড় দুর্গই ভাঙ্গবে।

এটা যদি তার সঠিক উপলব্ধি হয় তাহলে তো শুভলক্ষণ! কিন্তু  আওয়ামী লীগ ...!!

পর্যবেক্ষক মহল গাজীপুরের বিজয়ে এতটাই আশাবাদী হয়ে পড়েছে যে, জাতীয় নির্বাচনে এর ঢেউ লাগবে বলে ভাবতে শুরু করেছে। সম্ভবত আওয়ামী লীগকে তার চিনতে পারছে না। বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য তারা কত দূর যেতে পারে, হয়ত তারা কল্পনাও করতে পারে না।

গুজরাটের সেই ভয়াবহ মুসলিম নিধনযজ্ঞের প্রধান অপরাধী নরেন্দ্র মোদি কি সত্যি সত্যি হতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?! হিন্দুস্তানী রাজনীতির গতিপ্রকৃতি তো বুকের ভিতরে এমনই কম্পন সৃষ্টি করছে!  ২০০২ সালে (গুজরাটে মুসলিম নিধনযজ্ঞের বছর) এবং তার আগে ও পরে মোট পাঁচবার তিনি গুজরাটে সরকার গঠন করেছেন।

রামাযানের আগেই দিগন্ত টিভি খুলে দেয়ার দাবী জানাচ্ছে বিভিন্ন মহল। কিন্তু সরকার মনে ...!

মঙ্গলবার/২৯-৮-৩৪ হি. ৯-৭-১৩ খৃ.

বিজয়ী আব্দুল মান্নান পরাজিত আজমতুল্লাহর বাসায় গিয়ে তাকে মিষ্টিমুখ করিয়েছেন। একসময় এটি একটি সুন্দর সংস্কৃতি ছিলো, যা নির্বাচনের পূর্বাপর উভয়-পক্ষের আচরণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিলো। এখন এগুলো বড় বেশী বেমানান মনে হয়। পরস্পরের মুখে যুগপৎ মিষ্টি পুরে দেয়ার ‘নিষ্প্রাণ’ ছবিটাই আসলে সবকিছু বলে দেয়। আজমতুল্লাহ সাহেবের হাতে সাদা মিষ্টির অর্থ হতে পারতো সন্ধি ও সমঝোতা, কিন্তু ...! পক্ষান্তরে আব্দুল মান্নান সাহেব লাল মিষ্টি হাতে নিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে...!

গাজীপুরকে মনে করা হয়, গোপালগঞ্জের পর আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় দুর্গ, সেই দুর্গের পতনে আওয়ামী লীগের, বিশেষ করে তৃণমূল বেশ ভেঙ্গে পড়েছে বলে মনে হয়। এরশাদ সাহেব নিজের কথা ভুলে গিয়ে (অথবা নিজের মূল্য বাড়াতে চেয়ে) বলেছেন, গাজীপুর নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য ১০ নম্বর মহাবিপদসঙ্কেত!

অভিজ্ঞ মহল তো বলছে, তার নিজের জন্য এটা ১১ নম্বর...!

নির্দলীয় সরকারের দাবীতে চলমান আন্দোলন সফলের সর্বাত্মক প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ার-পারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, রোযার পরে কর্মসূচী দেবেন এবং আওয়ামী লীগকে দাবী মেনে নিতে বাধ্য করবেন...!

গতকাল নয়াদিগন্তের অনলাইন জনমত জরীপে প্রশ্ন ছিলো, গাজীপুরের জনগণ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচিত মেয়র আব্দুল মান্নান। আপনি কি তাই মনে করেন। ৯৬.৩২% উত্তরদাতা একমত পোষণ করেছেন।

সিরিয়ার সরকারবিরোধী ন্যাশনাল কোয়ালিশনের নতুন প্রধান আহমদ জারবা স্বীকার করেছেন, রণাঙ্গনে তাদের অবস্থা এখন বেশদুর্বল। তবে তিনি আশাবাদী, ‘সৌদী আরব অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করবে, আর তিনি যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারবেন।’

বাশার এবং তার আগে তার বাবার প্রতিও রয়েছে আমার প্রচ- ঘৃণা। কিন্তু সিরিয়ায় এখন পরিস্থিতি এমন যে, বাশারের অপসারণ কামনা করা প্রজ্ঞার পরিচায়ক মনে হয় না। বাশারও সহজে হাল ছেড়ে দেয়ার মানুষ না।

মিসরে গণহত্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সামরিক বাহিনী সোমবার ফজরের সময় মুসল্লীদের উপর নির্বিচারে গুলি করে অন্তত ৭০জনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে একহাজারেরও বেশী মানুষ, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। (শাপলাচত্বরকে কি ছাড়িয়ে যেতে পেরেছে?)

মুসলিম ব্রাদার হুডের একসময়ের মিত্র ছিলো সালাফী পন্থী আন্নূর পার্টি। হঠাৎ কে জানে কোন্ রহস্যজনক কারণে তারা সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিয়েছে। গত বুধবার রাতে সেনাপ্রধান সিসি যখন মুরসিকে অপসারণের ঘোষণা দেন তখন সেখানে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আন্-নূর পার্টির চেয়ারম্যান ইউনুস মাখিয়ূন।

এখন তারা আবার অপ্রত্যাশিতভাবে ইউটার্ন নিয়ে বলছে, সোমবারের গণহত্যার পর আর সেনাহাহিনীকে সমর্থন করার সুযোগ নেই। একেই বোধহয় বলে রাজনৈতিক অপরিপক্বতা। বস্তুত সালাফীরা যদি সেনাবাহিনীর পাশে না গিয়ে ইখওয়ানের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতো তাহলে হয়ত সমগ্র পরিস্থিতি এখন অন্যরকম হতো। কিন্তু ...!

শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দীকী (বৃটেনে নির্বাচিত কাউন্সিলর) বিবাহ করেছেন অন্যধর্মের বর ক্রিশ্চিয়ান সেন্ট জন পার্সিকে। খালা শেখ হাসিনা বিবাহোত্তর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সবকিছু সম্পন্ন হয়েছে বাঙালী সংস্কৃতি অনুযায়ী।

নয়াদিগন্তের শিরোনাম, ‘দুই নৌকায় পা দিয়ে মহাবেকায়দায় এরশাদ’। কারণ আওয়ামী লীগ ভাবছে, তিনি তাদের প্রার্থীকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিলেও গোপনে ঠিকই ১৮ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন।

বুধবার/৩০-৮-৩৪ হি. ১০-৭-১৩ খৃ.

শেষ পর্যন্ত ঝালকাঠির কলেজ-ছাত্র লিমনের বিরুদ্ধে র‌্যাবের মামলা প্রত্যাহৃত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিযার্নু-রহমান লিমনের পক্ষে শক্ত অবস্থানে ছিলেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। লিমনের পরিবারে ‘আপাতত’ স্বস্তি ফিরে এসেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘মামলা প্রত্যাহৃত হলেও র‌্যাবের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নয়।

প্রশ্ন হলো, যারা এরকম কোন আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত তাদের পরিণতি শেষ পর্যন্ত কী হয়?

মিসরে সেনাপ্রধানের পক্ষ হতে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আদলী মনছূর নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করেছেন, যা আইওয়াস ছাড়া কিছু নয়। তাই ইখওয়ান এটা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এসব পদক্ষেপ জনগণকে আবার তাহরীর স্কয়ারে নিয়ে যাবে।

জাতীয় পার্টির পরিচালিত জরিপে বলা হয়েছে, দেশের ৮৩ শতাংশ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। প্রশ্ন হলো, জাতীয় পর্টি তাহলে জনদাবীর পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করছে না কেন? উত্তর নেই।

শাহাবাগীদের সমর্থন দেয়ায় গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি ঘটেছে বলে এরশাদ মনে করছেন। তার মতে তার সিদ্ধান্তটি ছিলো পার্টির স্বার্থ রক্ষার জন্য। তিনি ভুল করেননি। জাতীয় পার্টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, বরং লাভবান হয়েছে। অদ্ভুত!

উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। গত চারদিনের টানা বর্ষণ, আর ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে এই আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি। এপর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা এখন পানির নীচে হাজার হাজার প্রান্তিক পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।

শাহাদাত হোসেন খান লিখেছেন, ‘১৯৭৪ সালের দিল্লীচুক্তির অজানা অধ্যায়’। লেখাটি সংগ্রহে রাখার মত।

জালালুদ্দীন ওমর লিখেছেন, ‘গণজাগরণমঞ্চকে পুলিশী ছত্রচ্ছায়া দেয়া হলো, আর হেফাযতের বিরুদ্ধে পুলিশ লেলিয়ে দেয়া হলো; রাতের আঁধারে চালানো হলো ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ... জনগণ এরই জবাব দিয়েছে গাজীপুরে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক হোসেন ওবামা এবং তার স্ত্রী মুসলিম বিশ্বকে রামাযানের আগমন উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সুন্দর কথামালা দিয়ে সাজানো হয়েছে অভিনন্দনবার্তাটি। মুসলিম বিশ্ব আসলে চায়, যুক্তরাষ্ট্র তার ‘রক্তমাখা’ হাতটা ধুয়ে ফেলুক।

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট