রজব ১৪৩৯ হিঃ (৩/৩)

তোমাদের পাতা

আমার হৃদয়ের আকুতি ছিলো!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

আমার হৃদয়ের আকুতি ছিলো!

 ফোযায়েল আহমদ, হবিগঞ্জ

কৃতজ্ঞচিত্তে আরাকানসংখ্যা হাতে নেয়ার পর আমার হৃদয়ের আকুতি ছিলো, প্রিয় পুষ্পের পরবর্তী সংখ্যাটি যদি হতো আলকুদস!

আমার হৃদয়ের শান্ত সরোবরে যে লাল শাপলা ফুলটি ফুটে আছে সবসময়ের জন্য সেই লাল শাপলাফুলের মধ্যে আমি লিখে রেখেছি আলকুদসের পবিত্র নাম। তাই আমার চেতনায় আলকুদস চিরজাগরূক।

হৃদয়ের আকুতির কথা কারো কাছে প্রকাশ করিনি। কিন্তু তিনি শুনেছেন, সবারই হৃদয়ের ব্যক্ত-অব্যক্ত আকুতি তিনি শোনেন। বড় হৃদয়ের সঙ্গে হতে পারে ছোট্ট হৃদয়ের সেতুবন্ধন, অনেক বারের মত এবারও জানা হলো, অপরিসীম আনন্দের অনুভূতির সঙ্গে। পুষ্পের আলকুদসসংখ্যা যখন শেকল ভাঙ্গার দৃপ্ত প্রত্যয় নিয়ে আমাদের কাছে এলো, বিশ্বাস হলো, পুষ্পের দরদী-মালীর হৃদয়ের যে আকুতি তারই সামান্য ছায়াপতা ঘটেছিলো আমার ক্ষুদ্র হৃদয়ের সেই লাল শাপলাফুলটির পাপড়িতে!!

আলাকুদসের পুষ্প, দেখেই কী যে মায়া হলো! আলতো করে হাত বুলালাম! শীতল স্নিগ্ধ একটি অনুভূতি হাতের পরশকে অবলম্বন করে যেন হৃদয়ের গভীরকে স্পর্শ করলো।

প্রচ্ছদের দুয়ার খুলে ভিতরে প্রবেশ করে তো যাকে বলে মুগ্ধ বিস্ময়ে, মধুর নির্বাকতায় কিছুক্ষণের জন্য হারিয়েই গেলাম! হয়ত আরো সুন্দর হতে পারে! কন্তিু এত সুন্দরও কি হতে পারে!! হৃদয়-পুষ্পের একটি পাপড়ি যদি বলে, লেখার চেয়ে সজ্জা সুন্দর, সবক’টি পাপড়ি একসঙ্গে বলে ওঠে, সজ্জার চেয়ে লেখা আরো সুন্দর!!

সম্পাদকীয়, তাতে যেমন ঘটেছে বর্তমানের কঠিন বাস্তবতার বেদনাদায়ক প্রতিফলন, তেমনি রয়েছে ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদের আলোর ঝিলিক!!

প্রতিটি লেখা সম্পর্কে আলাদা করে কী আর বলা যায়, শুধু বলি, الحمد لله، وجزاكم الله خيرا

বাইতুল মাকদিসের ইতিহাস পড়ে বলতে ইচ্ছে করে, চিন্তায় চেতনায় অনেক সমৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

ফিলিস্তীনের মুক্তি সংগ্রামের বিপরীতমুখী দু’টি ধারা ফাতাহ ও হামাস, উভয় চিত্র মর্মস্পর্শী ভাষায় উঠে এসেছে।

ইখওয়ান সম্পর্কে, তাদের গৌরবময় জিহাদী তৎপরতার কথা বারবার এসেছে। ইখওয়ান সম্পর্কে আমাদের মধ্যে যখন ভ্রান্তি ও বিভ্রান্তি ছড়াতে দেখি তখন হৃদয়ে বড় ব্যথা জাগে। সেই ব্যথার যথেষ্ট উপশম হয়েছে আমার প্রিয় পুষ্পের মাধ্যমে।

ইখওয়ান সম্পর্কে আরো কিছু জানতে ইচ্ছে করে। আর ইচ্ছে করে ইখওয়ানের প্রাণপুরুষ শহীদ হাসানুল বান্না রহ. সম্পর্কে জানতে! কে ছিলেন তিনি? কেমন ছিলেন? কী ছিলো তাঁর জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে? তার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য, যৌবন এবং মর্মান্তিক শাহাদাত, সবকিছু জানতে ইচ্ছে করে।

হয়ত জানার কিছু সূত্রও আছে। কিন্তু আমার যে হৃদয়ের আকুতি, ‘অমি তাঁর ছবি দেখবো পুষ্পের পাপড়িতে, যা আঁকা হবে পুষ্পের দরদী মালীর কলমের আঁচড়ে!!

০০ তোমার লেখায় কিছু সম্ভাবনার উদ্ভাস দেখতে পেয়েছি, যার জন্য আমার হৃদয়ে চিরকালের তৃষ্ণা!! তুমি যদি আমার সঙ্গে দেখা করো, তোমার সঙ্গে কিছু কথা হতে পারে। সত্যি যদি তুমি হও আমার স্বপ্নের সেই তরুণটি, তাহলে ‘আমার হৃদয়ের লাল শাপলাফুলের একটি পাপড়ি তোমার জন্য!!

নযরে বদ থেকে আল্লাহ আমাদের হিফাযত করুন, আমীন।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা