জুমাদাল উলা ১৪৩২ হিঃ (২০)

তোমাদের পাতা

একটি সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষা

লিখেছেনঃ আনাস জামাল / কাতার থেকে, ই-মেইল

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 

ফজরের নামায পড়ার পর ইচ্ছে হলো, আজ সাগর-পারে গিয়ে সূর্যোদয় দেখবো। সাগর-পারে সূর্যোদয়ের দৃশ্য কার না মনে দোলা দেয়! ভোরের রাঙা সূর্য প্রকৃতির আঁধার যেমন দূর করে তেমনি তাতে মানুষের মনের আঁধারও বুঝি দূর হয়। মানুষের মনের ভিতরটাও বুঝি সেই রাঙা আলোতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। নতুন উদ্যম ও নতুন কর্মচাঞ্চল্য নিয়ে মানুষ নতুন দিনের যাত্রা শুরু করে।

আমার মসজিদ থেকে সাগরপার খুব দূরে নয়। নামায শেষ করে চলে এলাম সাগর-পারে। সূর্যের উদিত হতে তখনো কিছুটা দেরী।

পূর্বদিগন্তে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি নতুন সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষায়। শুধু কি আমি! হয়ত গোটা প্রকৃতি; মানুষ, পশু, পাখী, ফুল-ফল, গাছ-পাতা, তরুলতা সবকিছু এখন অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করছে নতুন সূর্যোদয়ের। সবকিছুই তো নতুন সূর্যোদয়ের মাধ্যমে নবজীবন লাভ করে!

এখানে গাছ নেই, পাখী নেই; আমার দেশে কত গাছ, কত পাখী! পাখীরা সূর্যোদয়ের আগে জেগে ওঠে কিচির মিচির শুরু করে। হয়ত এটা পাখিদের ভোরের প্রার্থনা।

নতুন সূর্য উদিত হবে, পাখীরা ঝাঁকে ঝাঁকে বের হবে রিযিকের সন্ধানে। মৌমাছিরা ছড়িয়ে পড়বে ফুলে ফুলে মধু আহরণে। মানুষ ছাড়িয়ে পড়বে মাঠে ময়দানে, কলে কারখানায়।

প্রকৃতির সবকিছু এভাবে তাকিয়ে থাকে একটি সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষায়। আমিও আজ সুদূর প্রবাসে এই সাগর-পারে প্রতীক্ষা করছি একটি নতুন সূর্যোদয়ের।

হাঁ, একটি সূর্যোদয়কে সামনে রেখে আমি কামনা করছি, মুসলিম উম্মাহর পূর্বদিগন্তে আজ উদিত হোক এমন একটি রাঙা সূর্য যা দূর করে দেবে তার ভাগ্যাকাশের সব আঁধার; ভাঙ্গাবে রাজা-প্রজা সবার গাফলাতের ঘুম। জাগাবে নতুন উদ্যম, নতুন উদ্দীপনা ও নতুন মনোবল।

প্রকৃতির দিগন্তে প্রতিদিনই হয় সূর্যোদয়; কোন একদিন যদি এ সূর্যোদয় সঙ্গে নিয়ে আসতো মুসলিম উম্মাহর পূর্বদিগন্তের সেই কাঙ্ক্ষিত সূর্যোদয়!


শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা