আমাদের মাদরাসার মসজিদের পিছনে খুব কাছে একটা বড় গাছ আছে। এত কাছে যে, তার ছায়া মসজিদের উপর পড়ে।
কিছুদিন আগে হঠাৎ মনে হলো, গাছটি মরে যাচ্ছে! আমার মনে তখন অনেক কষ্ট হলো। গাছের সবুজ পাতা দেখতে কত সুন্দর ছিলো! গাছের ছায়া কত শীতল ছিলো। ...
তারপর দেখি কী! গাছটি আবার বেঁচে উঠতে শুরু করেছে! নতুন পাতা বের হচ্ছে! এগুলোকে নাকি বলে ‘কিশলয়’।
ধীরে ধীরে পাতাগুলো বড় হলো। গাছটা আবার সবুজ সজীব হলো। আবার ছায়া দিতে লাগলো। আমার তখন খুব আনন্দ হলো। কার হুকুমে গাছের পাতা ঝরে, গাছে পাতা আসে? কে তিনি? তিনি আল্লাহ!
(মাদরাসাতুল মাদীনাহ’র নাম নাজানা এক পাখী)
বিকালে মাদরাসার ছাদ ঝাড়– দিচ্ছি, হঠাৎ শুরু হলো ঝড়! ঝড়ের সে কী ভীষণ রূপ! ধূলো উড়ে সবকিছু যেন ঢাকা পড়ে
গেলো!
কিছুক্ষণ পর ঝড় শান্ত হলো। ধূলো ওড়া বন্ধ হলো। তখন সুন্দর বাতাস ছিলো। সেই বাতাসে খুব সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেলাম।
সামনে ছিলো ধানের বিরাট সবুজ মাঠ। সবুজ তো আগেও ছিলো, কিন্তু এই সুন্দর দৃশ্যটি ছিলো না। বাতাসের কারণে মনে হলো, ধানের মাঠে সবুজের স্রােত এবং সবুজের ঢেউ!
আগে এসব সুন্দর দৃশ্য দেখে কিছু অনুভব করতে পারতাম না! আমাদের প্রিয় মাদরাসা আমাদেরকে চারপাশের সৌন্দর্য অনুভ করতে শিখিয়েছে, আর শিখিয়েছে, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাতে। (মুছ‘আব ওমায়র)