পুষ্প! ও পুষ্প!! অনেক দূর থেকে এসেছি গো! একেবারে তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে ঐ যে ছোট্ট এক গাঁ, ওখান থেকে। তোমার জন্য মজার একটা ‘সন্দেশ’ আছে! না, না খাওয়ার সন্দেশ না! সন্দেশ মানে মজার খবর।ওম্মা! দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বকবক করেই যাচ্ছি! কই গো পুষ্পরাণী! দরজা খোলবে তো! একটু বসতে দেবে তো!! চা শরবত কিছু একটা হাজির করবে তো!!পুষ্পরাণী (দরজার ‘ছিদ্র’ দিয়ে আগে দেখে নিলো, কে মানুষটা! এখন যা দিনকাল! সাবধানে থাকতেই হয়!) আলতো করে দরজাটা খুলে মধুর একটা হাসি উপহার দিয়ে বললো ঃ আসুন! আসুন! ইস, কেমন ক্লান্ত দেখাচ্ছে আপনাকে!! অনেক দূর থেকে আসা হলো বুঝি!!বসুন! বসুন! পাখার নীচে বসুন! ইস কী গরমটাই না পড়েছে!! চা থাক ঠা-া শরবতই দিতে বলি, কেমন?আগন্তুক (একগাল হেসে ঃ পুষ্পরাণী, আপনার হাতে যা খাবো তাতেই ‘প্রাণ শীতল হইয়া যাইবে’!পুষ্পরাণী (শরবতের গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে) ঃ তা সন্দেশটা কী!আগন্তুক (শরবতের শেষ ঢোকটা গলায় ঢেলে, আহ! কী শান্তি!!) ঃ আমাদের গ্রামের তিনটে মেয়ে পুষ্প পেয়ে খুব খুশী হয়েছে, আর এই লেখাগুলো আপনাকে দেয়ার জন্য আমাকে পাঠিয়েছে!পুষ্পরাণী খুশী হয়ে লেখাগুলো হাতে নিলো আর বললো, ওদেরকে আমার অনেক অনেক আদর দেবেন!! সবাইকে আমার পক্ষ হতে পুষ্পের উদ্যানে স্বাগতম!!