শিশু-কিশোর ও নবীনদের পত্রিকা

মাসিক আল-কলম-পুষ্প

মুহররম.১৪৪০হিঃ (৩/৬) | তোমাদের চিঠি / আমাদের পত্র

তোমাদের চিঠি আমাদের পত্র

হোসাইন আহমাদ সিদ্দীক/ কুলিয়ার চর, কিশোরগঞ্জ০ কেমন আছেন বুড়া হুযূর?০০ আল্লায় যেমন রাখছে!০ আমি হলাম গিয়ে পুষ্পের আসল আশেক মাজনু! ০০ নাও একবাটি দুধ নাও আমার আশেক মজনু!০ বহু দিন ধরে পুষ্পের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম।০০ আমি তো জানি, আশেক শুধু ঘোরে, ঘুরে বেড়ায় না!০ ... এবং ত্রিশ টাকার বিনিময়ে আরাকানসংখ্যা ক্রয় করে নিলাম।০০ ও, তুমি তাহলে ত্রিশটাকার আশেক! কোন প্রয়োজন ছিলো ত্রিশটাকা, আর ক্রয় করা, এসব বলার। বললেই হতো, ‘সঙ্গে সঙ্গে আমার প্রিয় পুষ্পের আরাকান সংখ্যাটি সংগ্রহ করলাম। প্রাণভরে তার ঘ্রাণ নিলাম।’ দুধখাওয়া আশিকের এটাই হলো দোষ! ওমায়র বিন রফিক/ মুহম্মদপুর, ঢাকা০ সম্পাদক ভাইয়া, যখন পুষ্প পড়ি, কল্পনার রাজ্যে ডুবে যাই! ০০ হায়, হায়, আমি তো চেয়েছি পুষ্পের মাধ্যমে কল্পনার রাজ্য থেকে তোমাদের বাস্তবের জগতে নিয়ে আসতে! ০ আপনার অবয়ব দেখার চেষ্টা করি। ০০ আরে মিয়াঁ, চেষ্টা করনের কী দরকার, কইলে তো আস্ত ছবিই পাঠাতে পারি, আমার ত্রিশ বছর আগের!!০ চোখে ভেসে ওঠে এক দাঁতপড়া বুড়োর ছবি! ০০ তাহলে কল্পনা, আর বাস্তবে তফাৎ হলো কোথায়?্র০ একটা কথা বলবেন! আপনি তো আমাদের লেখা পড়েন, আপনি কি আমাদের দেখতে পান!০ আচ্ছা, ওগুলো তাহলে লেখা!! হাঁ, খুব দেখতে পাই! হুতোম পেচার চেয়ে অনেক ভালো! লাবীবা বিনতে হেদায়াতুল্লাহ০০ সম্পাদক ভাইয়া সকালের নাস্তা খেয়েছেন? বলেন কী এত বেলা, কেউ নাস্তা খাওয়ালো না! সমস্যা নাই, আমি খাওয়াবো। কানটা কাছে আনেন!০০ নাস্তা খাবো কান কাছে এনে!! তামাশা নাকি!!০০ না, তামাশা না, বিলকুল হাকীকত। আমি নাস্তা এনেছি একপ্লেট বকা! আর বকা মুখে খাওয়াতে হয়, কানে খেতে হয়!০০ ওম্মা, তোমার কত জ্ঞান! কত অভিজ্ঞতা!! তা এ নাস্তা কি ঘরে তোমার নিয়মিত পাওনা?০ বিশ্বাস করুন। এ নাস্তা খাওয়ার পর ক্ষুধা বিলকুল খতম। রুটি-ভাজি খাওয়ার ইচ্ছে আর হবে না। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।০০ জী, অভিজ্ঞতার মূল্য আছে!০ আচ্ছা, আপনি এত সুন্দর সুন্দর লেখা আমাদের উপহার দেন, অথচ আমরা সবাই মিলে এত জ্বালাতন করি! আপনার রাগ ওঠে না!০০ খুব ওঠে! একেবারে মাথায় চড়ে বসে থাকে!০ তখন কী করেন?০০ কী আর করবো, বুড়িকে বলি, মাথায় এককলস ঠা-া পানি ঢালো!০ সম্পাদক ভাইয়া, মাফ করবেন। অনেক বেশী বকা খাওয়ালাম!০০ কিন্তু আমার ক্ষুধা তো দূর হলো না! সামীর আকরাম,উত্তরা. ঢাকা০ আপনি এরদোগানের প্রতি এত খুশী কেন? ০০ কারণ ইহুদিরা তাঁর প্রতি নারায! আমেরিকা নারায! পুরো ইউরোপ নারায। তো ওদের দলে ভেড়ার ইচ্ছে নেই আমার! ০ আমার হুযূর তো তার প্রতি খুব নারায! ০০ আন্দায আপনা আপনা! আন্জাম ভী আপনা আপনা!! ০ ইহুদিরা অভিশপ্ত, এটা কি ঠিক? সউদী যুবরাজের কেন ইহুদিদের সঙ্গে এত মিতালী?০০ মিতালি নয় রে, ‘ভীতালি!’০ আপনার কি মনে হয়, ইহুদিরা শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হবে?০০ ওরা তো সব সময় পরাস্ত। বাকি আমরা জয়ী হতে পারিনি!০ এবার আমার একটা অন্যরকম প্রশ্ন। মাদরাসাগুলো গরুর চামড়া তোলে কেন?০০ এবার আমার অন্যরকম উত্তর। তাকদীর যেন কাউমের পিঠের চামড়া না তোলে!ইবনে আব্দুর-রাহীম, ওত্তরা, ঢাকা০ ... স্বাদ তো বিভিন্ন প্রকার; টক-মিষ্টি-ঝাল-নোনতা... এ বিভাগে সর্বপ্রকার স্বাদের সমাবেশ নেই কেন? ০০ তাহলে তুমি ঝাল দিয়ে রসোগোল্লা বানাও, আমি টক দিয়ে চমচম বানাই! দু’টোই কিন্তু খেতে হবে তোমাকেই!  আফরোযা বিনতে সাদিক/...০ সম্পদক ভাইয়া, মেয়েদের চুল কেন লম্বা, ছেলেদের চুল কেন খাটো? ০০ তোমার বুঝি খবর নেই! এখন তো সব উল্টে গেছে! এমনকি মেয়েরা টাই পরে, ছেলেরা কানে পরে দুল! প্রশ্নটা অগত্যা তোমাকে নতুন করেই সাজাতে হবে! মায়মূনা আফরোয,টাঙ্গাইল০ সম্পাদক ভাইয়া, আপনাকে না ভালোবাসতে খুব ইচ্ছে করে!০০ তা সমস্যা কোথায়? এদিকে অবশ্য দাঁত নেই; তবু আমি তৈয়ার। ০০ আপনি এত সুন্দর! আপনার লেখা আরো সুন্দর!০০ এই তারিফটা তো এত দিন উল্টো দিক থেকেই হয়ে এসেছে!! (অনেক প্রশ্ন তো হলো তোমাদের! এবার আমার একটামাত্র প্রশ্ন। তোমাদের প্রিয় খাদ্য কী, ঘাস, ভুসি, ফেন, ভাত, মাড়, কচু? উত্তর চাই এক শব্দে)




০ শিশিরভেজা ফুল, জোসনাধোয়া রাত, তারাভরা আকাশ, বিষণœ সন্ধ্যা, হিমেল বায়ু, পাখীর কলতান, মন আমার ব্যাকুল করে, হৃদয়ে তরঙ্গ জাগায়, কও তো বাজান, কবী হওয়া থেকে বাঁচার কী উপায়? (তালহা বিন আব্দুর-রাহীম)০০ কোন উপায় নাই গোলাম হোসেন! আর বাঁচনের কাম কী মিয়াঁ ভাই! মনের সুখে গাজায় দম দিয়া চালাইয়া যাও। তোমার তো কবি হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার!ফুলেরা অবশ্য নারায হইতে পারে! পাখীরাও পারে নাখোশ হইতে। তবে চিন্তা করিও না। এখন কবিতা ফুলের বাগানে বাস করে না এবং পাখীদের সঙ্গেও ওঠাবসা করে না। কবিতা এখন, শুনিতে পাই, পছন্দ করে পিৎজা, বার্গার এবং ফেজবুক। আরো খোশখবর শ্রবণ করো। কবিতার জন্য আগে প্রয়োজন ছিলো সুর ও ছন্দ। এখন সুর ও ছন্দ, দু’টোই কবিতার কাছে হাত জোড় করিয়া বলে, আমাদের উদ্ধার করো, তুমি গদ্যকবিতা লেখো।তয় মিয়াঁ ভাই! একআধখান কবিতা অমি অধমের মগজ ইইতে ইতিমধ্যে নির্গত হইয়াছে। শ্রবণ করো- সবুজ আকাশে অন্ধকার তারা জ্বলে/ ফেজবুকে প্রেয়সী মোর কেন্দে মরে ...!