তাকে
যেদিন থেকে তাকে চিনেছি, হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছি। ভালোবাসার দাবীতে তার কাছে যেতে চেয়েছি, পারিনি। আসলে এটা ছিলো আমারই ভুল। কারণ তাকে চিনতে পারলেও নিজেকে চিনতে পারিনি।
বুঝতে পারিনি যে, আমার মত সামান্য মানুষ কোন পরিচয় ছাড়া, কারো সূত্র ছাড়া শুধু ভালোবাসার দাবীতে ...।
যদিও বেশ বড় করে আঘাত লেগেছিলো অন্তরে, তবু সংযমের মধ্যে রাখতে পেরেছিলাম নিজেকে। কারণ তত দিনে নিজেকে মোটামুটি চেনা হয়েছে। তত দিনে বুঝতে পেরেছি তার ও আমার মাঝখানে কত বিশাল দূরত্ব! একজন আকাশের উচ্চতায়, একজন ভূমির ধূলিশয্যায়!
সেদিন থেকে চেষ্টা করেছি তাকে ভুলে যেতে, অন্তত ভুলে থাকতে। চেয়েছি তাকে ঘৃণা করতে, অন্তত তার ভালোবাসা হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে; পারিনি।
যত চেষ্টা করেছি, তার ছবি আমার হৃদয়ে তত বেশী উজ্জ্বল হয়েছে; তার ভালোবাসা আমার অন্তরে তত বেশী গভীর ও নিবিড় হয়েছে; ভালোবাসার শেকড়গুলো যেন হৃদয়ের নরম ভূমিকে আরো বেশী আকড়ে ধরেছে।
ঁঁঁঁ***
সেদিন আমার সামনে যেন পরম সত্যের সামান্যতম উদ্ভাস ঘটলো। আমার
ভিতর থেকে কেউ যেন আমাকে পথ দেখালো, ‘তাকে যদি পেতে চাও, ভালোবেসে যাও সকল চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে, মিলন -বিচ্ছেদের ক্ষণিকতাকে জয় করে! ভালোবেসে যাও নিজের শান্তির জন্য, নিজের মুক্তির জন্য! ভালোবেসে যাও নিজের অস্তিত্বের সার্থকতার জন্য।
সেদিন থেকে আমার জীবন যেন প্রেম ও ভালোবাসার নতুন অর্থ খুঁজে পেলো! জীবনের সঙ্কীর্ণ খোলস থেকে মুক্ত হয়ে আমি যেন প্রবেশ করলাম জীবনের বিস্তৃত সবুজ উপত্যকায়।
একদিন হঠাৎ! আমি যখন আমার সমস্ত দুর্বলতার ভারে আক্রান্ত, বিপর্যস্ত ও বিধ্বস্ত! হঠাৎ দেখি, তিনি আমার শিয়রে! তিনি আমার এত নিকটে, যার পরে আর নৈকট্য কল্পনা করা যায় না! মুখে কী মধুর হাসি!! বুঝতে পারিনি, এ হাসি সৃষ্টির না স্রষ্টার! হাতে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা; বুঝতে পারিনি, পৃথিবীর না জান্নাতের!! পৃথিবীর ফুল কি জান্নাতী ফুলের ছায়া নয়?!
সবাইকে
কালো মানুষে সাদা মানুষে কেন এত হিংসা বিদ্বেষ! কেন এত ঘৃণা ও হিং¯্রতা!! সবাইকে তো আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। সবাইকে তো আল্লাহ নিষ্পাপ শিশুরূপেই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। সবারই তো বুকের মধ্যে রয়েছে একই রকম হৃদয় ও তার স্পন্দন! সবারই তো শিরায় প্রবাহিত একই রকম রক্ত, লাল!!
স্রষ্টার তো চাওয়া ছিলো আমাদের কাছে, সবাই আমরা সবাইকে ভালোবাসবো। সবাই আমরা সবাইকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পথ করে দেবো! কিন্তু আমরা তো তা করি না! আমাদের হাতে তো মধুর পেয়ালা থাকে না, থাকে বিষের পাত্র!! স্রষ্টার চাওয়া যদি আমরা পূর্ণ করি, তবে কেমন হতে পারে আমাদের জীবন?!
এসো কলম মেরামত করি
এ যুগে অস্ত্রের যুদ্ধ যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ কলমের যুদ্ধ। সৈনিকের জন্য অস্ত্রের প্রশিক্ষণ, আর লেখকের জন্য কলমের প্রশিক্ষণ একই রকম অপরিহার্য।