ইয়াসির আরাফাত তার সংগ্রামপূর্ণ ও ঝুঁকিবহুল জীবনে বারবার মৃত্যুর মুখে পড়েছেন। তবে ভাগ্যক্রমে প্রতিবারই আশ্চজর্নক এবং অবিশ্বাস্য উপায়ে মৃত্যুর থাবা থেকে বের হয়ে গিয়েছেন।
১৯৭০ সালে জর্দানবাহিনীর সঙ্গে ঘোরতর যুদ্ধের সময় কামানের গোলা কয়েকবারই তার ইঞ্চিদূরত্বে বিস্ফোরিত হয়েছে, বহু হতাহত হয়েছে। কিন্তু তিনি ছিলেন অক্ষত।
শেষপর্যন্ত জর্দানবাহিনী তার ফিলিস্তীনী সামরিক ব্রিগেডকে জর্দানের ভূমি থেকে বিতাড়িত করে। তখনো জর্দানের কমান্ডো বাহিনী তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে। তার দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন, কিন্তু তিনি বেঁচে গিয়েছেন অবিশ্বাস্যভাবে ।
১৯৭৩ সালের ১৩ই এপ্রীল ইসরাইলী গুপ্তঘাতক তার তিনসহকর্মীকে হত্যা করতে সক্ষম হলেও তিনি বেঁচে যান, অথচ হামলা করা হয়েছিলো তকে ‘টার্গেট’ করে।
১৯৮২ সালে ইসরাইলী বাহিনী আরাফাতের পুরো ব্রিগেডকে লেবাননের ভূমি থেকে উৎখাত করে। তখন তিনি জাহাযে করে ইসরাইলী ফাঁদ থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন। একই ভাবে ১৯৮৫ সালে ইসরাইল তিউনিসিয়ায় তার অবস্থান লক্ষ্য করে বিমানহামলা চালায়, যাতে তার ১৭জন সহকর্মী নিহত হন। মরুভূমিতে তার হেলিকপ্টার ভেঙ্গে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে, কিন্তু তাকদীর তাকে রক্ষা করেছে।
আরাফাত একথার জীবন্ত প্রমাণ যে, মৃত্যু নির্ধারিত সময়েই ঘটে। মুহূর্ত আগেও না, পরেও না। আরাফাত যদি তার ‘পৈত্রিক’ ধর্ম ইসলাম থেকে এ শিক্ষাটুকু অর্জন করতে পারতেন তাহলে হতাশা তাকে গ্রাস করতে পারতো না। আপন লক্ষ্যে তিনি স্থির থাকতে পারতেন।