শৈশব আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেলেও মুছে যায়নি। শৈশবের স্মৃতি আমার মনের পর্দায় এখনো সমুজ্জ্বল। যেন চোখ মেললেই দেখতে পাবো, কিংবা হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারবো!
শৈশব মানে তো হাসির ফোয়ারা, আনন্দের জোয়ার। শৈশব মানে তো বাগানে ডানা মেলা রঙ্গিন প্রজাপতি।
এমনই ছিলো আমার শৈশব। মায়ের কোলে জোসনা রাতে চাঁদ দেখেছি। গোটা শৈশব জুড়ে ছিলো সেই চাঁদ এবং চাঁদের হাসি।
বাগানে প্রজাপতির পিছনে ছুটেছি। ধরতে পারিনি যদিও একটাকেও, তবু গোটা শৈশব জুড়ে ছিলো প্রজাপতি এবং প্রজাপতির পিছনে ছুটে চলা। আর ছিলো শাপলাফুল এবং কাশফুল। গোলাব-বেলী ছিলো না, তবে শাপলাফুল আর কাশফুলের আনন্দেরও কোন তুলনা ছিলো না।
কিন্তু হঠাৎ একদিন আমার শৈশবের হাসি-আনন্দ ভেসে গেলো কান্না ও অশ্রুর জলে। শিশুহৃদয়ের শুভ্র আকাশটা ছেয়ে গেলো কালো কালো মেঘে। একটি ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিলো আমার কচি হৃদয়ে, সময়ের মলমও যার উপশম ঘটাতে পারেনি। সেই ক্ষত থেকে এখনো রক্ত ঝরে। জানি না, এ ক্ষত কোনদিন শোকোবে কি না। জানি না, এ ক্ষত নিয়েই আমার মৃত্যু হবে কি না।