৪ - ১২ - ১০
আগামী সপ্তাহে আমাদের দেয়ালীকা বের হবে। আমার একটি লেখা দেয়ার কথা। সেটা লেখার চেষ্টা করছি। প্রথম পর্যায় চলছে। তারপর পরিমার্জনের পর্যায়। কয়েকবার পরিমার্জন করা হলে লেখাটি সুন্দরই হবে মনে হয়। বাকি আল্লাহর ইচ্ছা।
৬ - ১২ - ১০
আজ বড় হুযূর বয়ানে অনেক মূল্যবান উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, লেবাস দেখে সবাই আমাদের ভালো মনে করে, সালাম দেয়, সম্মান করে। কিন্তু আমরা তো জানি আমাদের ভিতরের অবস্থা কি। তাহলে আমরা কি মানুষকে ধোকা দিচ্ছি না? মানুষকে হয়ত ধোকা দেয়া সম্ভব, কিন্তু আল্লাহকে কীভাবে ধোকা দেবো?! একদিন তো দাঁড়াতে হবে আল্লাহর সামনে! তাই আমাদের যাহিরি লিবাস যেমন সাদা-সুন্দর, তেমনি ভিতরের আখলাকও সুন্দর করার চেষ্টা করতে হবে, যেন আল্লাহর সামনে আমাদের লজ্জিত হতে না হয়। ...
১১ - ১২ - ১০
খালেদ ভাই বললেন, আমি কয়েকবার আদীব হুযূরের সঙ্গে দেখা করেছি, কথা বলেছি। যখনই তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে, আমার মনের অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
তাঁর সঙ্গে মুছাফাহা করেছি। যতক্ষণ না আমি নিজে থেকে হাত ছেড়েছি, তিনি আমার হাত ছাড়েননি।...
খালেদ ভাইকে আমার বড় ঈর্ষা হয়। আমি তার চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম। কারণ এ চোখ দু’টো আদীব হুযূরকে দেখেছে। অনেকক্ষণ তার হাত ধরে রেখেছিলাম। কারণ ঐ হাত আদীব হুযূরের হাতের স্পর্শ লাভ করেছে। কবে হবে আমার এ সৌভাগ্য!
১১ - ১২ - ১০
সকালে...এর সাথে মোবাইলে কথা হলো। তিনি আমাদের এলাকার মাদরাসার শিক্ষক। কথা বলার সময় তিনি যে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন সেটা আমার পরিচিত। দু’ পাশে সুন্দর গাছের সারি। ছায়ায় ছায়ায় অনেক দূর যাওয়া যায়।
পাখীর কলরব শুনতে পাচ্ছিলাম। খুব ভালো লাগছিলো। আমাদের গ্রামে ভোরের পাখীদের গান আমার মনকে উদাস করে দেয়। গ্রামের লোকেরা বড় ভাগ্যবান। তাদের দিন শুরু হয় পাখীর গান দিয়ে। পাখীর গান মানে তো আল্লাহর যিকির!
এখানে আমাদের সকাল শুরু হয় গাড়ীর বিকট আওয়ায দিয়ে। আর দম বন্ধ হওয়া ধোঁয়া তো আছেই।
(সম্পাদক- তোমার রোযনামচা ভালো হয়েছে। সবটুকু দেয়া সম্ভব হলো না। তুমি লিখতে থাকো। আল্লাহ তোমাদের সবাইকে তাওফীক দান করুন, আমীন)