০ ছোট ফুফুর কথা আজ খুব মনে পড়ছে। ইস, কীভাবে যে তিনি সুদূর লন্ডনে সবাইকে ছেড়ে থাকেন! আমি হলে দুঃখে কষ্টে মরেই যেতাম!
০০ যাও না, কে তোমাকে পিছু টানে!
০ কত বছর হয়ে গেলো, একবারও আসেননি। আম্মা-আববার কথা, আপনজনদের কথা একবারও কি তার মনে পড়ে না! ফোনে কেমন হেসে হেসে কথা বলেন, যেন খুব সুখে আছেন!
০০ তুমি চাও না, তিনি সুখে থাকুন?!
০ দেশে আসার কথা বললে হাসেন, আর বলেন, আল্লাহর হুকুম হলে অবশ্যই আসবো।
কে জানে, কবে হবে আল্লাহর হুকুম! ছোট ফুফুর দিলটা এত শক্ত হলো কীভাবে?! তার জন্য আমারই যদি এত কান্না পায় তাহলে দাদা-দাদুর কেমন কান্না পাবে!
০০ তাদের বুঝি আর কাজ নেই তোমার মত! বলি, পড়াটরা কোথায় তোমার?!
০ আমাদের দেশ হলো সবুজের দেশ। আর আমাদের বাড়ীটা যেন সবুজ গালিচার উপর এবং সবুজ শামিয়ানার নীচে। মনে হয় জান্নাতে আছি!
০০ কাব্য করো না। প্রবাসীরা দেশে এলে যে বিমানবন্দর থেকে হয়রানি শুরু হয়, আর দেশের বাড়ীতে হয় ডাকাতি, জানো না!
০ জীবনে কখনো আমার দেশ ছেড়ে কোথাও যাবো না।
০০ আমার একটি ছাত্র এমন কথা বলতো। লন্ডন থেকে যখন ‘কাগজপত্র’ এলো তখন শুনি বলে, লন্ডনেও ইসলাম প্রচার করার দরকার আছে! কথাটা হয়ত ঠিক, তবে আগের ঐ ভনিতাটুকু কেন? সেটা কি আসলে দীর্ঘশ্বাস?!