মুহাম্মদ হেদায়াতুল্লাহ
দারুল মা‘আরিফিল ইসলামিয়্যা চিটাগাঙ
০ প্রার্থনারত বাংলাদেশ নামে প্রচারিত একটি বিজ্ঞাপন দেখে তোমার যে অনুভূতি হয়েছে তা তুমি কলমের কালিতে কাগজের পাতায় তুলে এনেছো। আমারও একই অনুভূতি ছিলো, কিন্তু লেখার কথা মনে হয়নি। তুমি ভালোই লিখেছো। তুমি ‘অতীতে’ লিখেছো দীর্ঘঈ দিয়ে, আবার ‘ব্যতিত’ লিখেছো হ্রস্বইকার দিয়ে, দু’টোই কিন্তু দীর্ঘঈকার।
কামরুয্যামান,
ফরিদাবাদ মাদরাসা, ঢাকা
০ তোমার রোযনামচা পেয়েছি। তুমি কি মাসের ত্রিশ/ঊনত্রিশ দিন নিয়মিত রোযনামচা লেখো? এ তথ্যটি আমার জানা দরকার, তাহলে তোমাকে কিছু কথা বলবো, ইনশাআল্লাহ।
হোসাইন আলমাহমূদ
হাটহাযারী মাদরাসা, চট্টগ্রাম
০ ‘আত্মার যন্ত্রণা’ নামে তোমার লেখা পেয়েছি। তুমি ভাগ্যবান যে, কলমের কালির দিয়ে তুমি তোমার আত্মার যন্ত্রণা প্রকাশ করতে পেরেছো, কিন্তু আমার যন্ত্রণা এমনই কঠিন যে, তা লিখতে পারি না, বলতেও পারি না। কারণ তোমরা বড় কথা লেখো, বড় স্বপ্ন দেখো, কিন্তু চেষ্টা-সাধনা বলতে কিছুই করো না; আবার ‘করো না’ বলে একটু তিরস্কার করলেই এমন ভেঙ্গে পড়ো যে, কলমই হাত থেকে পড়ে যায়। তাই মনের যন্ত্রণা মনে চেপে রেখেই আমাকে লিখতে হয়, ‘তোমার লেখা পেয়েছি, ভালো হয়েছে, চেষ্টা করতে থাকো, ইত্যাদি।’
সাহস করে কথাগুলো তোমাকে লিখে ভুল করিনি তো?
‘আত্মার যন্ত্রণা’ লেখাটিতে তুমি যতবার ‘আত্না’ লিখেছো, ততবার যন্ত্রণায় আমার আত্মা কেঁদে উঠেছে। শুধু কি তাই, ‘শান্তনা’ শব্দটি যতবার লিখেছো, এভাবেই লিখেছো। তাহলে কোথায় পাবো আমি সান্তবনা! একটু কি যত্নবান হবে বানানের প্রতি!
তোমার লেখার বিষয়বস্ত্ত অবশ্য ভালো। তুমি লিখেছো-
‘জীবনে একটুখানি সুখের জন্য মানুষ কত না কষ্ট করে! সেই সুখ কেউ পায়, কেউ পায় না। দুঃখের জীবন থেকে দূরে থাকার জন্য মানুষ কত না কষ্ট করে। কিন্তু দুঃখ যদি লেখা থাকে ভাগ্যে, কেউ কি তা থেকে মুক্ত হতে পারে? তবু মানুষ পড়ে আছে সুখ-দুঃখের ধাঁধায়!
আমিও করেছি এ ভুল। আমিও পেতে চেয়েছি জীবনের অখ- সুখ, পাইনি। আমিও চেয়েছি দুঃখের ছায়া থেকে দূরে থাকতে, পারিনি।
হয়ত এভাবেই জীবন শেষ হয়ে যেতো, কিন্তু একদিন আমি আমার ভিতর থেকে একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হলাম, ক্ষণস্থায়ী জীবনের সুখ-দুঃখই একমাত্র সত্য? মৃত্যুর পর কি তোমার কোন জীবন নেই? সেই অনন্ত জীবনের সুখ লাভ করার জন্য, সেই অনন্ত জীবনের দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কেন তোমার কোন চিন্তা নেই?
আমি জানি না, আমার ভিতরে কে আছে? প্রশ্নের কঠিন আঘাতে কে আমাকে এভাবে জর্জরিত করেছে? তবে আমার কঠিন হৃদয় তাতে বিগলিত হয়েছে, অনুতাপের অশ্রুতে চোখের পাতাদু’টো ভিজে উঠেছে। তখন মনে হলো, আমার আত্মার সকল যন্ত্রণা যেন মুছে গেলো, অদৃশ্য থেকে পাওয়া শান্তি ও সান্তবনার শীতল পরশে।
উমামা বিনতে ওবায়দ
সরাইল, শহীদবাড়িয়া
০ এখনো অনেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া লেখে; খুব বেশী দয়া হলে লেখে ‘বি-বাড়িয়া’। আমার খুব ভালো লাগে যে, তুমি এবং আরো কয়েকটি মেয়ে ‘শহীদ বাড়িয়া লেখো।
তোমার রোযনামচা পেয়েছি। ‘মনে যখন কষ্ট আসে, ব্যথা জাগে তখন কলম হাতে লিখতে বসলে ব্যথার উপশম হয়’ এ সত্য যে তুমি বুঝতে পেরেছো, আমার জন্য তা বড় আনন্দের বিষয়। তাহলে এখন থেকে আর কলমের সঙ্গ ত্যাগ করো না, কেমন!
তুমি জানতে চেয়েছো, ‘অমুক বুযুর্গ লিখেছেন, মেয়েদের লেখা শেখানো ঠিক না, অথচ আপনি সবসময় আমাদের লেখা শিখতে বলেন, কেন?
তোমার প্রশ্নের দু’টি উত্তর, প্রথম উত্তর, আমি যে বুযুর্গ না, তাই। দ্বিতীয় উত্তর, আমি তো মেয়েদের লেখা শেখাই না, শুধু শিখতে বলি!
নামটা নাকি বলার মত নয়!
(মোমেনশাহী)
০ তোমার লেখা তো বেশ পড়ার মত! নামটা তাহলে বলার মত নয় কেন?
রোযনামচায় তুমি লিখেছো, ‘আজ সারাটা দিন মনটা আমার বিষণ্ণ ছিলো। বিকেল পর্যন্ত সময়টা বেশ কষ্টের মধ্যে পার হলো। আমার কষ্টের বন্ধু পুষ্পকে হাতে নিলাম; একটি দু’টি পাপড়িতে চোখ বুলালাম, আশ্চর্য! পুষ্পের সান্নিধ্যে কষ্টগুলো যেন গলে গলে ঝরে গেলো! বিষণ্ণ মন অপূর্ব এক স্ণিগদ্ধতায় পূর্ণ হয়ে গেলো।
হে পুষ্প! চিরকাল তুমি আমার পাশে থেকো। ( ৫- ৩ - ১১ খৃঃ)
(ইসলামী তারিখ লিখতে চেষ্টা করো।)
মুহম্মদ আলআমীন
কাশেফুল উলূম, মধুপুর, টাঙ্গাইল
০ তোমার লেখায় আরেকটু ‘মধু’ থাকলে খুব ভালো হয়। আর মধুর চাকে মধু কিন্তু একদিনে জমে না। মৌমাছিরা বহু ফুল থেকে, বহু দূর থেকে বহু দিনের সাধনায় ধীরে ধীরে মধু সঞ্চয় করে। তুমি যদি তোমার লেখার চাকে মধু সঞ্চয় করতে চাও, তোমাকেও শুরু করতে হবে মৌমাছির সাধনা।
নূরুল হাসান আব্দুল হাই
দারুল মারিফ, চট্টগ্রাম
০ তোমার ‘প্রতিচ্ছবি’ লেখাটি কেমন হয়েছে তা বলবো না, শুধু বলবো, তাতে তোমার সুন্দর মনের ছবিটি বড় সুন্দর করে অঙ্কিত হয়েছে। তুমি লিখতে থাকো। তোমার কথা আমার মনে থাকবে। তোমাকে ভুলে যাওয়ার মত অকৃতজ্ঞ যেন কখনো না হই।
(মুহম্মদের জন্য দু‘আ করেছো, সে জন্য জাযাকাল্লাহু খায়রান)
মুহিববুল্লাহ
মধুপুর, টাঙ্গাইল
০ এটা হলো পাঠকের সংখ্যা, আর তুমি হলে লেখক, সুতরাং এ সংখ্যায় তোমার লেখা ছাপানো গেলো না। তবে লেখা দেখে বুঝতে পারি, তোমার ভালো লেখক হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তোমাদের সহপাঠী বাকী বিল্লাহ সম্পর্কেও একই কথা।
নূরুল আমীন
পুষ্পকানন, যাত্রাবাড়ী মাদরাসা
০ তোমার লেখা পেয়েছি। তোমার সঙ্গে আমিও প্রার্থনা করি, মানুষ যেন ফিরে পায় তার হারানো মনুষ্যত্ব।
মুহাম্মদ হাসীবুল হক
দারুল মা‘আরিফ, চট্টগ্রাম
০ তুমি খুব সুন্দর লিখেছো, ‘পুরাতনের শেষ, আর নতুনের শুরু, এটাই পৃথিবীর চিরকালের নিয়ম। ফুল ফোটে, ফুল ঝরে; আবার ফুল আসে। সবুজ পাতা শুকিয়ে যায়, শুকনো পাতা ঝরে যায়; শাখায় শাখায় আবার দেখা দেয় কচি কোমল নতুন পাতা। ....
মুহম্মদ সালিম
কাশিফুল উলুম, মধুপুর, টাঙ্গাইল
০ তোমার লেখা ভালো লেগেছে। তুমি শুরু করেছো এভাবে- ‘প্রকৃতির সঙ্গে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক খুব নিবিড়।’ তার পরে তুমি লিখেছো আকাশের কথা। সুতরাং প্রকৃতি-এর পরিবর্তে তোমার লেখা উচিত ছিলো ‘আকাশ’। যেমন, ‘আকাশের সঙ্গে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক খুব নিবিড়। মেঘমুক্ত স্বচ্ছ নীল আকাশ আমার হৃদয়ে আনন্দের পরশ বুলিয়ে দেয়। আবার আকাশে যখন মেঘ জমে, আমার হৃদয় বিষণ্ণ হয়ে উঠে। আকাশের হাসিতে আমার মন হাসে, আবার আকাশের কান্নায় কাঁদে আমার হৃদয়। জানি না, আকাশের সঙ্গে হৃদয়ের কেন এমন গভীর সম্পর্ক! কী এর রহস্য! ...’
তোমার লেখার শেষ অংশে যদি এধরনের একটি বাক্য থাকতো, ‘কিন্তু আকাশের মত উদারতা কেন অর্জন করতে পারে না আমার হৃদয়?!’ তাহলে খুব ভালো হতো। পাঠকের কাছে সুন্দর একটি বার্তা পৌঁছতো।
যাহিদুল ইসলাম
কাশিফুল উলূম, মধুপুর, টাঙ্গাইল
০ তুমি লিখেছো, ‘অনেক দিন রোযনামচা লেখা হয় না।’ কেন? ‘অনেক দিন খাওয়া হয় না’ এমন কি হয় কখনো?
তুমি লিখেছো, ‘জীবনে কিছু হতে হলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। অনেক বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হয়।’ সত্য কথা। তো সবার আগে তুমি চন্দ্রবিন্দুর বাধা অতিক্রম করার চেষ্টা করো।
তাজুল ইসলাম বিন আবুল হোসাইন
সৈয়দপুর, চুলকাঠি (ঈদগাহ) বাজার, বাগের হাট, খুলনা
০ তুমি পুষ্পের প্রতি ভালোবাসার কথা লিখেছো। তোমার লেখার সূচনা-অংশটি এই, ‘মানুষের জীবনে আনন্দের কিছু মুহূর্ত থাকে, যার জন্য সে প্রতীক্ষার প্রহর গুণতে থাকে।...
তোমার লেখার সমাপ্তি-অংশটি এই, ‘আমার প্রার্থনা, পুষ্পের সঙ্গে এই যে আনন্দঘন সম্পর্ক, সারা জীবন যেন তা অক্ষুণ্ণ থাকে। পুষ্পের সুবাস নিজে যেন গ্রহণ করতে পারি, তারপর অন্যের মাঝেও যেন বিলাতে পারি। ...
আবুল কালাম
শেরপুর, নরসিন্দী
০ তোমার লেখা ‘এপ্রিল ফুল’ পেয়েছি। তুমি আরো লেখো এবং লেখা পাঠাও।
আলমগীর হোসাইন
ওলামাবাজার, সোনাগাজী, ফেনী
০ তোমার রম্যরচনাটি পড়ে খুশী হয়েছি! ঠিক আছে, চেষ্টা করে যাও। লিখতে লিখতেই হয়।
আব্দুল্লাহ আলমুনীর
পূর্বপদুয়া, বড়ুরা, কুমিল্লা
০ আল্লাহর হামদ-ছানা বিষয়ে তোমার লেখাটি সুন্দর হয়েছে। তুমি লিখেছো, ‘হে আল্লাহ, তুমি মহান মহীয়ান, তুমি রহীম রাহমান। সৃষ্টিজগতের সবকিছু তোমারই দান। ...
দুধের ধারা, মধুর ফোঁটা, মায়ের বুকে মমতার বান, সব তোমারই দান ...
খাদেমুল ইসলাম
তালতলা, মোমেনশাহী
০ তোমার লেখা ও পত্র পেয়েছি। তোমার লেখার শিরোনাম, ‘তুমি, শুধু তুমি’। বেশ ভালো হয়েছে। তুমি লিখেছো, ‘কবির কবিতায়, সুরের মূর্ছনায় তুমি, শুধু তুমি। ... ভোরের আলোতে, সন্ধ্যার আঁধারে, দিনের কোলাহলে, নিঝুম রাতে তুমি, শুধু তুমি। ... তারার ঝিলিমিলিতে, জোনাকির আলোতে, ঝিঁঝিপোকার ডাকে তুমি শুধু তুমি...
ইয়াসির বিন মুয্যাম্মিলুল হক
জামিয়া আববকর সিদ্দীক (রা.), উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
০ তোমার লেখা আগাগোড়া পড়েছি। চেষ্টা করেছো, বোঝা যায়। বানানে আরো যত্নবান হও, ‘দূর্বল’-এর দুর্বলতা যত দিন দূর না হবে, ছাপার অক্ষরে লেখার আত্মপ্রকাশ কীভাবে আশা করা যায়!
আনোয়ার মাহমূদ
ছোট বনগ্রাম, উত্তর বোয়ালিয়া, রাজশাহী
০ ‘কলমের অস্ত্র’ নামে তোমার লেখা পেয়েছি। তুমি প্রচুর লিখতে থাকো এবং আরো প্রচুর পড়তে থাকো এমন লেখা যা চিন্তা ও চেতনা এবং ভাষা ও সাহিত্যের পথে এগিয়ে নেবে।
আব্দুল আলীম
আরযাবাদ মাদরাসা, মীরপুর, ঢাকা
০ তোমার রোযনামচা পেয়েছি। তুমি মনে হয়, প্রতিদিন নিয়মিত রোযনামচা লেখো না, শুধু পুষ্পে পাঠানোর উদ্দেশ্য লেখো। ঠিক! এমন হলে তো চলবে না! নিয়মিত রোযনামচা লেখার অভ্যাস করো।
আমীনুল ইসলাম
উত্তরা, ঢাকা
০ তোমার লেখা পেয়েছি, দেখেছি, খুশী হয়েছি, আরো লেখার জন্য পথ চেয়ে আছি।
আব্দুল খালেক
মাদানীনগর মাদরাসা, ঢাকা
০ চিঠিতে তুমি জানতে চেয়েছো, আমি লেখার কোন মন্ত্র জানি কি না, জানলে সেই মন্ত্রটি তোমাকেও যেন জানাই, যাতে তুমি ইচ্ছে মত লিখতে পারো।
তো আমার জানা মন্ত্রটি হলো চেষ্টা ও সাধনা এবং সাধনা ও চেষ্টা। এ মন্ত্রটি যে সঠিকভাবে ব্যবহার করে সে ইচ্ছে মত এবং সুন্দর মত লিখতে পারে।
শরীফ আহমদ
ঢালকানগর মাদরাসা, ঢাকা
০ তোমার লেখা ‘এক দুঃখিনী মা’ পেয়েছি এবং পড়েছি। তুমি লিখতে থাকো এবং পাঠাতে থাকো। বানানের প্রতি তোমাকে আরো যত্নবান হতে হবে।
রফীকুল ইসলাম
যশোর, নওয়াপাড়া
০ তোমার লেখা পেয়েছি। তোমার সঙ্গে আমিও কামনা করি, সবাই যেন আমরা কৃতজ্ঞ মানুষ হতে পারি।
নূরুয্যামান
জামিয়া ইসলামিয়া, পটিয়া
০ তোমার পত্র পেয়েছি। দিন-রাত চবিবশ ঘণ্টার একটি নিযামুল আওকাত (সময় ও কর্মসূচী) সবারই তৈরী করা এবং যথাসম্ভব তা অনুসরণপূর্বক জীবন যাপন করা দরকার। যে কাজের জন্য যে সময়, তখন সেটাই করা উচিত (ব্যতিক্রম অবশ্যই হতে পারে।) কোন কাজের জন্য হয়ত প্রতিদিন কিছু সময়, কোন কাজের জন্য হয়ত সপ্তাহে এক, দুই বা তিন দিন সময় নির্ধারণ করা হলো। মোটকথা প্রত্যেক কাজের জন্য সুচিন্তিত সময়বণ্টন এবং তার যথাযথ অনুসরণ জীবনের সফলতার জন্য অপরিহার্য।
আলআমীন
জামালুল কোরআন মাদরাসা
০ তোমার লেখা পেয়েছি। তুমি লেখার প্রতি আরো যত্নবান হও। ছোট্ট একটি লেখায় কয়েকটি শব্দ ছুটে গেছে, এটা কীভাবে হয়?!
আব্দুল্লাহ মাসঊদ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা
৪৪- p - ২ জিগাতলা নতুন রাস্তা, ঢাকা, ১২০৯
০ তুমি পুষ্পের অসংখ্য পাপড়ির একটি পাপড়ি হতে চেয়েছো। তোমাকে স্বাগতম পুষ্পের সুরভিত ভুবনে। তুমি লিখেছো, ‘আমি তাঁর মত হওয়ার চেষ্টা করতে চাই।’ প্রথম কথা, তুমি কারো মত হতে চেয়ো না, কাউকে আদর্শ- রূপে গ্রহণ করো, ভালো কথা। তারপর শুধু নিজের মত হওয়ার চেষ্টা করো। অর্থাৎ আল্লাহ তোমার মধ্যে যতটুকু যোগ্যতা রেখেছেন সেটাকে পূর্ণরূপে কাজে লাগাও। দ্বিতীয়ত চেষ্টা করতে চাই বলে বসে থেকো না। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। চেষ্টা শুরু করে দাও।
মুহম্মদ ইবনে আব্দুল আউয়াল
সিদ্ধিরগঞ্জ, এনগঞ্জ
০ তোমার চিঠি পেয়েছি। যেমনই হোক, আগে লেখা পাঠাও! তারপরই না বোঝবো, তুমি লিখতে পারো কি না!
তোমরা যারা বলো যে, লিখতে চাই, কিন্তু কী লিখবো, খুঁজে পাই না, তারা অন্তত এতটুকু তো করতে পারো যে, পুষ্পের কোন একটি লেখা পড়লে, তারপর তা কেমন লেগেছে সে সম্পর্কেই কিছু লিখে পাঠালে!
আবু জা‘ফর/ কাশিয়ানী গোপালগঞ্জ
০ তোমার লেখা পেয়েছি এবং তোমার মনের কষ্ট বুঝতে পেরেছি। আমার কথা হলো, কেউ তোমাকে উৎসাহ ও প্রেরণা দেবে, তারপর তুমি কাজ করবে, এ আশায় বসে থাকলে তো জীবনই পার হয়ে যাবে! তোমার নিজের মধ্যেই থাকতে হবে পাহাড় অতিক্রম করার মনোবল। আল্লাহ তোমাকে তাওফীক দান করুন, আমীন।
মাহমূদুল হাসান
ইসলামিয়া মাদরাসা, টুমচর, সদর লক্ষ্মীপুর
০ তোমার ‘ব্যথার দান’ লেখাটি সুন্দর হয়েছে। আরো লেখা পাঠাও এবং পাঠাতে থাকো।
আরিফ রহমান /তালতলা মাদরাসা, সদর মোমেনশাহী-২
০ প্রিয় আরিফ! ঘড়ির কাঁটা ৮ই এপ্রিলের মধ্যরাত পার হয়েছে বেশ আগে। তুমি এখন কী করছো? আমি তোমার চিঠি পড়ছি। একবার, দু’বার’ তিনবার। তুমি লিখেছো, ‘এখন মনে হচ্ছে, আঠারো বছরের জীবনে কিছুই শিখিনি।’ আগে তোমার কী মনে হতো? কিছু না শিখলে এ চিঠি লিখলে কীভাবে? যারা এতটুকু শিখিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হবে, নাকি আরো শেখাতে পারেননি বলে ক্ষুব্ধ হবে?
তুমি লিখেছো, ‘এ চিন্তা আমাকে কুড়ে কুড়ে খায়।’
যদি একটা লোগাত কাছে রাখতে, আর কষ্ট করে বানানটা দেখে নিতে তাহলে সহজেই তুমি লিখতে পারতে, ‘এ চিন্তা আমাকে কুরে কুরে খায়।’ এই যে এতটা বয়সে এতটুকু বানান শেখা হলো না, সেও কি অন্যের দোষে?
তুমি লিখেছো, ‘আমি বুঝতে পারছি না, এ কী রকম জীবন! বদ্ধ থাকতে থাকতে আমার মনের দেয়ালগুলোও সঙ্কীর্ণ হয়ে আসছে।
বদ্ধ থাকা দ্বারা তুমি কী বোঝাতে চাও? মানুষ তো বলে, ছোট্ট একটি পর্দার সামনে বসে পৃথিবীটাই এখন আয়ত্তে আনা যায়। তো তুমি তো বদ্ধ ঘরে বসেও জ্ঞানের রাজ্যে বিচরণ করতে পারো, শুধু বইয়ের পাতায় চোখ রেখে। পড়ো না কেন? যত ইচ্ছা জ্ঞান আহরণ করো, মননশীল ও চিন্তাসমৃদ্ধ গ্রন্থ থেকে!
তুমি লিখেছো, ‘আমি কাওমি মাদরাসার এ কোন্ গন্ডীতে আছি? আমার মেধা ও জ্ঞান অন্বেষণের ইচ্ছাকে আমি খুব সস্তায় সময়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি।’
দেখো, এই গভীর রাতের নির্জনতায় তোমার চিঠি পড়ছি, আর কম্পিউটারের পর্দায় তার উত্তর লিখছি, শুধু এজন্য যে, তোমার প্রতি আমার আন্তরিক শুভকামনা রয়েছে। আমার কথা অন্তর দিয়ে গ্রহণ করো। মেধা যে তোমার আছে তা আমি বেশ বুঝতে পারছি; এখন সত্যি যদি তোমার মধ্যে জ্ঞান অন্বেষণের ইচ্ছে এবং প্রবল ইচ্ছে থেকে থাকে তাহলে কোন গন্ডী এবং কোন সময় তোমাকে কিছুতেই পরাস্ত করতে পারে না। প্রত্যেক গন্ডী এবং প্রতিটি সময়ের কাছে কিছু না কিছু আছে দেয়ার মত। সেইটুকু তুমি তোমার মেধা দিয়ে, যোগ্যতা ও প্রতিভা দিয়ে আহরণ করে নাও, তারপর তোমার গন্ডীকে এবং তোমার সময়কে তুমি নিজেই আরো সমৃদ্ধ করতে পারো, এমনকি সেটাকে অতিক্রমও করতে পারো। সময় ও গন্ডীকে দোষ দিয়ে সময় পার করে মানুষ নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তুমি লিখেছো, ‘আমাদের পাঠ্যসূচী দেখলে আমার বড্ড কষ্ট লাগে, আমার কান্না আসে।’
ঠিক আছে। নির্জনে বসে কাঁদো, আর চিন্তা করো, এই কষ্ট থেকে কীভাবে উদ্ধার পাওয়া যায়! শুধু কান্না দিয়ে তো কিছু হবে না। সেই যে কবি বলেছেন, ‘কবে সে খোয়ালি বাদশাহি/ সেই সে অতীতে আজো চাহি/ যাস মুসাফির ফেলিস অশ্রুজল। (সম্ভবত এরককম) প্রথমে এই পাঠ্যসূচীটাই আত্মস্থ করতে হবে, তারপর উন্নততর কিছু জাতিকে উপহার দিতে হবে। ঘাস খুব উন্নত কিছু নয়, কিন্তু তাই খেয়ে গরুতে আমাদের দুধ উপহার দেয়। তোমার যোগ্যতা কি একটা গরুর চেয়ে কম! দাও না অস্ট্রেলিয়ান গরুর মত ঘাস খেয়ে রোয একমন করে দুধ! যারা কিছু হয়েছেন তারা কিন্তু এভাবেই হয়েছেন।
আমার আর কিছু বলার নেই। এবার একটু গা ঝাড়া দিয়ে ওঠো, ওঠো এবং ওঠো!
আমাতুল্লাহ শাকিলা/ রাফিয়া নুজহাত/ নুসরাত জাহান
ঢাকা
০ তোমাদের তিনজনের চিঠি একত্রে পেয়েছি। এটা নাকি তোমাদের প্রথম চিঠি লেখা। তা বেশ তো! তেমন একটা বানান ভুল নেই! কত ছেলে ‘অসুস্ত’ লিখে আমাকে অসুস্থ বানিয়ে ছাড়ে, তোমরা লিখেছো ‘সুস্থ’! তা দেখে আমিও হয়ে গেছি সুস্থ।
তা এত দিন লেখা পাঠাওনি কেন? নিয়মিত রোযনামচা লেখো?
মুহম্মদ যাকারিয়্যা
জামেয়া রামনগর, জয়নগর বাজার, সুনামগঞ্জ
০ তোমার চিঠি পেয়েছি। তোমার চিঠি লেখার ভাষা ও ভঙ্গি দু’টোই ভালো। বানানও মোটামুটি ঠিক আছে। শুধু আমাকে ‘মনভূলা মানুষ’ বলতে গিয়ে তুমি হয়ত খানিকটা ‘মনভোলা হয়ে গিয়েছিলে। তোমার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
যহীরুল ইসলাম
কৌড়িয়া মাদরাসা, সিলেট
০ ‘বিক্ষোভ নামে তোমার লেখা পেয়েছি। সুন্দর লিখেছো। দরদের ছোঁয়া আছে লেখায়। তোমার প্রশ্ন, আরববিশ্বে হঠাৎ করে বিক্ষোভ-বিদ্রোহের আগুন কেন জ্বলে উঠলো? শাসকদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে, নাকি এটাও শত্রুদের হীন চক্রান্তের ফল? ওদের তো কৌশলই হলো, ‘চোরকে বলে চুরি করো, গৃহস্থকে বলে সজাগ থাকো।’
পরিশেষে তুমি লিখেছো, বিক্ষোভের এ আগুন যদি প্রজ্বলিত হয়ে থাকে আমেরিকার তাবেদার শাসকদের বিরুদ্ধে, আর শেষ পর্যন্ত এ আগুন যদি থাকে জনতার নিয়ন্ত্রণে তাহলে বলবো, জ্বলুক, আরো জ্বলুক, দেশদ্রোহী, খোদাদ্রোহিদের মসনদ জ্বলে পুরে সারখার হয়ে যাক। কিন্তু যদি তেলের আগুনের ধোঁয়া থেকে বের হয়ে আসে নতুন কোন তাবেদার তাহলে...
(সম্পাদক- তোমাদের আহমদ আলীর চিঠি পেয়ে খুশী হয়েছি। আশা করি ওর লেখা পেতে থাকবো।)
ফযলুল আমীন ফুয়াদ
মারকাযে ইলমি সাহ্যিসংসদ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
০ তোমার লেখা পেয়েছি। তুমি নারী-নির্যাতন সম্পর্কে লিখেছো যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীর ক্ষমতায়ন তো কম হয়নি। তদুপরি আইন-আদালত, পুলিশ ও প্রশাসন সবই আছে। তবু তো নারী-নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। কেন?
তুমি লিখেছো, তিক্ত হলেও সত্য যে, গাছের গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালা হচ্ছে। অর্থাৎ আল্লাহর পক্ষ হতে দেয়া নারীর শ্রেষ্ঠ রক্ষাকবচ পর্দাবিধান লঙ্ঘন করে সমাজের সর্বত্র বেহায়াপনা, অশ্লীলতা ও নগ্নতা ছড়িয়ে দিয়ে নারী-নির্যাতন বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়। ....
তাইয়েবা বিনতে হাশমত/ তাহিয়্যা বিনতে হাশমত
মেহেন্দীগঞ্জ বাজার, বরিশাল
০ তোমরা কে যে তাইয়েবা, কে যে তাহিয়্যা, বোঝা গেলো না। কোনটি বড়, কোনটি ছোট তাও ঠাহর করা গেলো না। তাই একসঙ্গে বলছি, তোমাদের রোযনামচা ও চিঠি পেয়েছি। বাড়ীতে তোমাদের ভাইয়ার কাছে লেখা-পড়া হচ্ছে শুনে খুশী হলাম। যদি নিয়মিত পড়তে থাকো তাহলে জ্ঞানের রাজপথে তোমাদের অগ্রযাত্রা ইনশাআল্লাহ চলতেই থাকবে।
***
তাহিয়্যা, আজকের ডাকে তোমার এই লেখাটা পেলাম, তুলে দেই, হয়ত তোমার কষ্ট কিছুটা কমবে। তোমার মেঝভাইয়া দেখলে আবার ধমক লাগাবে না তো! তুমি লিখেছো-
‘আমাদের কি দেখতে ইচ্ছে করে না সিলেটের চা-বাগান! আমাদের কি বেড়াতে ইচ্ছে করে না কুয়াকাটার সাগর সৈকতে! কিংবা আমাদের কি যেতে ইচ্ছে করে না ময়নামতির পাহাড়ে! সব ইচ্ছে শুধু ছেলেদেরই পূর্ণ হবে? মেয়েরা শুধু ডানাভাঙ্গা পাখী হয়ে ঘরের কোণে পড়ে থাকবে? ...
আম্মু তো মেয়েমানুষ; আম্মুকে কিছুটা হলেও রাজী করানো যায়, কিন্তু মেঝভাইয়া শুনলেই হলো..
আমাদের জীবনটা কি তাহলে বদ্ধ খাঁচার মধ্যে ছটফটিয়েই শেষ হয়ে যাবে!
(সম্পাদক- আমারও কিন্তু ইচ্ছে করে, সবাইকে বলি, মেয়েদের তোমরা একটু সুযোগ দাও। কিন্তু বাস্তবতা যে বড় নির্মম! কোথাও যে কোন নিরাপত্তা নেই!
তাই মনের ইচ্ছে মনেই চেপে রেখে মেয়েদের আমি বলি, যত দিন সেই সমাজ গড়ে না উঠছে যেখানে সবাই হবে তোমার ভাই, সবার নযর হবে নীচু ... তত দিন ঘরেই থাকো, আর যত দূর পারো পড়ার মাধ্যমে লেখার মাধ্যমে শিক্ষার পথে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করো। তুমি যে গজলগুলোর কথা বলেছো, আমারও ভালো লাগে)
ইয়াহয়া/ কুমিল্লা
০ তুমি প্রথমে নিঃসঙ্গতার কষ্ট সম্পর্কে লিখেছো, তারপর লিখেছো, ‘নিঃসঙ্গতার কষ্ট দূর করার জন্য এবং জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন উত্তম ও আদর্শ সঙ্গীর। তারপর তুমি লিখেছো, ‘আদর্শ সঙ্গী যেমন একজন মানুষ হতে পারে তেমনি হতে পারে একটি আদর্শ বই বা কিতাব।’ তারপর তুমি, একটি আদর্শ বই কীভাবে হতে পারে আদর্শ সঙ্গী, তা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছো।
শফীকুল ইসলাম
মাদরাসা-ই- লওহে মাহফুয, ১৪২ বেলাল মসজিদ, পশ্চিম নাখালপাড়া, তেজগাঁ, ঢাকা
০ তোমার রোযনামচার একটি বাক্য অতুলনীয়। এটি তোমার উদ্ভাবন হলে তো কথাই নেই, আর যদি কারো লেখা থেকে সংগ্রহ হয় তাহলেও তা তোমার সুন্দর গ্রহণশক্তি প্রমাণ করে।
তুমি লিখেছো, হুযূর জিজ্ঞাসা করলেন, আজকের লেখা তৈরী করেছো? তখন আমি তৃতীয় হাতটির আশ্রয় নিলাম। মানুষ যখন দু’টি হাত ব্যবহার না করে তখন এই তৃতীয় হাতটির আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়; অর্থাৎ অজুহাত।
মাহফূযুররহমান বিন আব্দুলহাই
এনগঞ্জ
০ তোমরা রোযনামচা পেয়েছি। শহীদ বাড়িয়ায় কোরআনের অবমাননার খবরে তোমার দিলে যে ব্যথা, বেদনা ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তা তোমার দিলের ঈমানি জাযবারই প্রমাণ।
মুহম্মদ সালমান
ডোমার, নীলফামারী
০ তোমার রোযনামচা পেয়েছি। তুমি প্রকৃতির প্রতি তোমার ভালোবাসার কথা লিখেছো। বাতাসে বৃক্ষশাখার আন্দোলন দেখে তোমার মনে হয়েছে, ওরা স্রষ্টার বন্দনায় মগ্ন। তুমি লিখতে থাকো।
আবু নাফীস
কাগজীপাড়া মাদরাসা, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
০ রোযনামচা পেয়েছি। ভালো। নিয়মিত লিখতে থাকলে উন্নতি হবে ইনশাআল্লাহ।
মাহমূদ হাসান মাসরূর
জামিয়া মালিবাগ, ঢাকা
০ তোমার চিঠি পেয়েছি। তোমাদের দু‘আ তো আমার চলার পথের পাথেয়। আমিও তোমার জন্য এবং তোমাদের সবার জন্য দু‘আ করি; আল্লাহ সবাইকে অফুরন্ত খায়র দান করুন, আমীন।
ইউনুস হোসাইন
টুমচর ফাযিল মাদরাসা, সদর, লক্ষ্মীপুর
০ তোমার চিঠি ও লেখা পেয়েছি। তুমি লিখতে থাকো, আর বানানের প্রতি যত্নবান হও। তুমি ‘অন্তর্ভুক্ত’ লিখেছো দীর্ঘঊকার দিয়ে।
তুমি যেন তোমার শপথ রক্ষা করতে পারো, দু‘আ করি।
মুসাফির, উত্তরা ঢাকা
০ তোমার ছদ্মনামটি ভারি সুন্দর এবং অর্থপূর্ণ। তোমার পুরো একমাসের রোযনামচা পড়েছি। খুব ভালো। তুমি একখানে লিখেছো, ‘সবাই তো চায়, চাঁদের গায়ে নিজের চেহারা দেখা যাক।’
তুমি এভাবে লিখতে পারো, ‘সবাই তো চায় চাঁদের আয়নায় নিজের মুখটি দেখতে!’
তুমি নিয়মিত লিখতে থাকো। আর আরবী ভাষাটা শিখতে শুরু করে দাও না! প্রতিদিন যদি একটু একটু চেষ্টা করো, তাহলে কিন্তু কঠিন কিছু না।
ফারিহা সুলতানা
মুহম্মদপুর, ঢাকা
০ তোমার রোযনামচা পেয়েছি।
তুমি লিখেছো, ‘মিসওয়াক নিয়ে ঢুকলাম বাথরুমে’। প্রথম কথা হলো, তুমি তালিবাতুল ইলম, তুমি কেন বাথরুম বলবে? সেটা বলার জন্য এদেশে বহু মানুষ আছে। তুমি বলবে ‘হাম্মাম’। দ্বিতীয়ত ‘ঢুকলাম’ শুনতে অসুন্দর। হাম্মামে/বাথরুমে গেলাম বলতে পারো।
বুখারীর ‘ক্লাশ’ শুনতে কেমন? বুখারীর ‘দরস’ বললে ভালো হয় না! মনে রেখো, স্বকীয়তা হলো অস্তিত্ব রক্ষার পূর্বশর্ত।
আবু নাঈম আশরাফ
মারকাযুল উলূমিল ইসলামিয়া
হাজীপাড়া, কাশীপুর, ফতুল্লা, এনগঞ্জ
০ তোমার খাতা পেয়েছি এবং আগাগোড়া দেখেছি। তুমি নিয়মিত লিখতে চেষ্টা করো। ‘শব্দের ফুল’ হবে নাকি বাক্যের ফুল, এ বিষয়ে তোমার চিন্তা-ভাবনা খুব সুন্দর হয়েছে। চিন্তা-ভাবনাই মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়; অবশ্য সঙ্গে থাকা চাই কর্মোদ্যম।
একস্থানে তুমি লিখেছো, ‘প্রতিদিন ইফতারের আগে লিখতে বসি, কিন্তু আজকে বাধলো এক বিপত্তি। মাদরাসা থেকে আসবো মসজিদে, এমন সময় নামলো অঝোরধারে রহমতের দিনে রহমতের বৃষ্টি।’
চিন্তা করে দেখো, যেটাকে তুমি রহমতের বৃষ্টি বলছো সেটাকে ‘বিপত্তি’ বলা ঠিক হচ্ছে কি না!
তুমি লিখেছো, ‘যে কথা লিখতে চেয়েছি, লিখতে পারিনি, কলমের কণ্ঠ জড়িয়ে এসেছে...’ ‘কলমের কণ্ঠ’ ভালোই মনে হয়।
(দুআ করি আল্লাহ তোমাকে ‘ইস্তিকামাত’ নছীব করুন, আমীন। আমার পক্ষে যদ্দুর করা সম্ভব, আমি প্রস্ত্তত আছি, বাকি আল্লাহর ইচ্ছা।)
সায়েমা বিনতে যিয়াউল হক
শিবপ্রসাদ পুর, দেওপুর, নেত্রকোনা
০ ছোট্ট মেয়ে সায়েমা, তোমাকে অনেক অনেক আদর। তোমার লেখা ‘গরু’ খুব সুন্দর হয়েছে। তুমি লিখেছো, ‘গরুর চারটি পা আছে।’
আমি একটি গরুর কাছে গিয়ে গুণে দেখলাম, তোমার কথা ঠিক। পুরো চারটি পা, দুটো সামনে, দু’টো পিছনে।
তুমি লিখেছো, ‘গরুর একটি লেজ আছে, আর লেজে একগুচ্ছ চুল আছে। গরু তার লেজ দিয়ে মশা-মাছি তারায়।’ তোমার কথা সবই ঠিক, তবে তাড়ায় হবে ডশূন্য ড় দিয়ে। গরুর লেজটা দেখেছি তবে লেজ দিয়ে মশা-মাছি তাড়াতে দেখিনি। আসলে তখন ওখানে মশা-মাছি ছিলো না।
তারপর তুমি লিখেছো, ‘গরু ঘাস খায়।’
গরুতে ঘাস খায়, এ তো সবাই জানে, যেটা সবাই জানে না সেটা হলো, গরুতে ফেন (মাড়) খায়, ভুষি খায়, কচুরিপানা খায়, এমনকি আজকাল পলিথিনও খেয়ে ফেলে।
যাক, এবার তুমি ঘোড়া, গাধা, হাতি, এগুলো সম্পর্কে লিখতে পারো। আবার বাগানের ফুল, গাছের ফল, মাঠের সবুজ ফসল সম্পর্কে লিখতে পারো। আবার লিখতে পারো আকাশের চাঁদ সম্পর্কে। পূর্ণিমার রাতে চাঁদের জোসনা কী সুন্দর, দেখোনি? তোমার লেখার জন্য পথ চেয়ে থাকলাম। তুমি অনেক ভালো থাকো, অনেক বড় হও।
নোমান আসলাম
ফরিদাবাদ মাদরাসা, ঢাকা
০ তোমার লেখা বাস্তব ঘটনাটি পড়েছি। লেখা ভালো হয়েছে, তবে এমন কিছু পত্রিকায় প্রকাশ করা সঙ্গত নয়। তুমি আরো লেখা পাঠাও।
খালিদ সাইফুল্লাহ
মাদরাসাতু বাইতির্-রাসূল, ঢাকা
০ তোমার রোযনামচাগুলো পড়েছি। তোমার লেখায় চিন্তার ছাপ আছে। আমার ভালো লেগেছে। তুমি লিখেছো, ‘২৬/৯/১০ খৃ. শনিবার, আজ আমাদের মাদরাসায় পাহাড়পুরী হুযূর এলেন। বয়ানের মধ্যে একটা কথা তিনি বারবার বললেন, প্রত্যেক তালিবে ইলম যেন নিয়ত ছহী শুদ্ধ করে নেয়। দ্বীনের ইলম হাছিল করা এবং আল্লাহকে সন্তুষ্ট করাই যেন হয় আমাদের উদ্দেশ্য। হুযূর বললেন, যাদের যেহেন কম তারা যেন প্রত্যেক ফরয নামাযের পর মাথায় হাত রেখে এই দু‘আটি তিনবার পড়ে-
سبحانك لا علم لنا إلا ما علمتنا, إنك أنت العليم الحكيم
তাহলে আল্লাহ তা‘আলা যেহেন বাড়িয়ে দেবেন।
যখন দু‘আটি পড়ি, হুযূরের দরদপূর্ণ উচ্চারণ যেন আমার কানে বাজে।
তুমি লিখেছো, ‘কেন যে আমরা ছোট ছোট কষ্ট সয়ে যেতে পারি না’ কথাটি সুন্দ
তোমাদের লেখা আমাদের দেখা
সাদেকুন্-নাহার
রাবেয়া বছরী মাদরাসা, সদর টাঙ্গাইল
০ তোমার রোযনামচা পেয়েছি। তুমি তোমার শ্রদ্ধেয়া আপার উপদেশগুলো লিখে রেখেছো; খুব ভালো। এখন এগুলোর উপর আমল করার চেষ্টা করো। তুমি ঠিকই বলেছো, তোমাদের আপা তোমাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য খুব দরদ দিয়ে চিন্তা করেন। তবে শুধু মুখে নয়, কাজ দিয়ে তাঁর এই দরদের কদর করো।
মাহমূদা বিনতে শহীদুল্লাহ
পূর্বোক্ত ঠিকানা
০ তোমার রোযনামচা দেখে তোমার আববু-আম্মু খুশী হয়েছেন। হবেনই তো! আমিও খুশী হয়েছি। তুমি ৩০/২/৩২ তারিখের রোযনামচায় লিখেছো, ‘আমাদের গ্রামের বাড়ীতে অনেক ফলের গাছ আছে। গ্রাম আমার খুব ভালো লাগে। গ্রামের বাড়ীতে গেলে আর আসতে ইচ্ছে করে না। আমাদের বাড়ীর পাশ দিয়ে একটি নদী বয়ে গেছে। নদীর তীরে কাশফুল ফুটে থাকে। খুব ভালো লাগে....।
৫/৩/৩২ তারিখের রোযনামচায় তুমি লিখেছো, ‘নানার ইনতেকাল হয়েছে চার বছর হলো। আজ প্রথম নানাকে স্বপ্নে দেখলাম। নানা বললেন, নামায পড়ে আমার জন্য দু‘আ করো। আমার জন্য চিন্তা করো না। স্বপ্নের কথা শুনে আম্মু বললেন, এখনি দু‘রাকাত নামায পড়ে নানার জন্য দু‘আ করো।
আমি নামায পড়ে দু‘আ করলাম, তখন মনে অনেক শান্তি পেলাম।
তোমার লেখা বেশ ভালো, লিখতে থাকলে আরো ভালো হবে, ইনশাআল্লাহ।
যাকিয়া বিনতে শহীদুল্লাহ
পূর্বোক্ত ঠিকানা
০ তোমার রোযনামচা ভালো হয়েছে। তুমি নিজের হাতে লিখে পাঠাবে। তুমি লিখেছো, ‘আমার সঙ্গে যে মেয়েরা পড়ে তারা আববু-আম্মুর কাছে অনেক কিছু চায়, আমি আববু-আম্মুর কাছে কিছু চাই না, শুধু খাতা-কলম চাই। আববু আমাকে আর আপুকে রোযনামচা লেখার জন্য ডায়রী কিনে দিয়েছেন, আর বলেছেন, তোমার আপু তো কত সুন্দর রোযনামচা লেখে, তুমিও চেষ্টা করো। ....
তোফাজ্জল হোসাইন/ কুমিল্লা
০ তুমি এক রিক্শাওয়ালার দুঃখের কথা লিখেছো, কত কষ্ট করে সে সংসার চালায়, আর তিনটি ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া করায়। ....
তারপর তুমি লিখেছো, আমাদের দেশে যদি ইসলামী হুকুমত হতো, আর মানুষ ঠিক মত যাকাত আদায় করতো তাহলে তো গরীবের কোন দুঃখ থাকতো না। ...
তারপর লিখেছো, আমাদের দেশের ‘শাষক’ যদি ওমর বিন আব্দুল আযীযের মত হতো...
এখানে এসেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। শাসক বুঝি মূর্ধন্যষ দিয়ে লেখে!
যাক, তবু বলি, তোমার লেখা ভালো। চেষ্টা করতে থাকো।
ছাকিবুদ্দীন/ কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা
০ তুমি ইবনে বতুতার সফর সম্পর্কে লিখেছো। সে যুগে তিনি সাগরের মধ্যখানের দ্বীপদেশ, যা আজ মালদ্বীপ নামে পরিচিত, সেখানে গিয়েছিলেন। তখন সেটা মুসলিম দেশ ছিলো। তিনি অবাক হয়ে বাদশাহকে জিজ্জাসা করেছেন, আর বাদশাহ তাকে জানিয়েছেন, কীভাবে তারা ইসলাম ধর্ম পেয়েছেন। তুমি যদি লেখাটির হাওয়ালা উল্লেখ করতে, ভালো হতো।
ওয়াহীদুর্রহমান
মাদানীনগর মাদরাসা, ঢাকা
০ ‘আমার ভাবনা’ এই শিরোনামে তোমার লেখাটি পেয়েছি। তুমি লিখেছো, ‘...এভাবে শুরু হয় সাহিত্যের পথে আমার পদচারণা।’
এখানে পদচারণা শব্দটি খুব একটা সঙ্গত মনে হয় না। তুমি বলতো পারো, ‘সাহিত্যের পথে আমার এগিয়ে চলা’ কিংবা ‘সাহিত্যের অঙ্গনে আমার বিচরণ’। ‘সাহিত্যের সাধনায় আমার পথচলা’ এটাও হতে পারে।
তোমার লেখা মোটামুটি ভালো।
তোমার সহপাঠী রাকীবুল হাসান-এর পুষ্পকে সম্বোধন করে লেখা পত্রটি পেয়েছি, ভালো লেগেছে।
যোবায়র আহমদ কাঁচপুরী-এর হস্তাক্ষর আরো সুন্দর হতে পারে।
তরীকুল ইসলাম
মাদরাসাতুন্নূর, মোমেনশাহী
০ তোমার রোযনামচা পেয়েছি। তুমি লিখতে থাকো।
আলআমীন
মাদরাসাতুন্নূর, মোমেনশাহী
০ তোমার রোযনামচা পেয়েছি। তোমার লেখা মোটামুটি ভালো। তুমি ‘চতুর দিকে’ লিখেছো; সঠিক বানান হলো ‘চতুর্দিকে’। সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস... তুমি স্বর্গ ও বাস, আলাদা করে লিখেছো। এমনিতে তোমার বানান অবশ্য মোটামুটি ভালো।
শফী বিন নূর
জামিয়া রাহমানিয়া
০ তোমার লেখাগুলো সবই পড়েছি এবং খুশী হয়েছি। তোমার লেখা ভালো। আশা করি, নিয়মিত লিখছো। তাহলে উন্নতির আশা করা যায়।
ওমর বিন করীম
মাদানীনগর মাদরাসা, ঢাকা
০ তুমি লিখেছো, ‘সাহিত্যের অঙ্গনে পুষ্পের সুবাস’, আর তোমার সহপাঠী ওবায়দুররহমান লিখেছে ‘মা’। তোমাদের লেখা ভালো, তবে চেষ্টাটা মনে হয় কম এবং অনিয়মিত। নিযামুল আওকাত ঠিক করে নিয়মিত লেখাচর্চা করো, তাহলে সুফল পাবে।
ইরফানুদ্দীন
ঢালকানগর মাদরাসা, ঢাকা
০ তুমি লিখেছো ‘তাঁর আগমনে সুবাসিত এ বাগান’
‘সাজের ধুম পড়ে যায়’ কথাটা ঠিক নয়, লিখতে হবে সাজসজ্জার বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ধুম পড়ে যায়।
আমি তাঁর চেহারার পানে তাকিয়ে রইলাম। এত সুন্দর তাঁর মুখাবয়ব!
চেহারা-এর পরে মুখাবয়ব-এর ব্যবহার ঠিক নয়। তুমি লিখতে পারো, ‘আমি তাঁর মুখমন্ডলের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। এত সুন্দর তাঁর মুখাবয়ব!
তোমার সহপাঠী শাহজালালের চিঠি পেয়েছি। তাকে আমার ধন্যবাদ জানিও।
মাসঊদুর-রাহমান
রাজফুলবাড়িয়া, সাভার, ঢাকা
০ তুমি তো বেশ মানুষ! স্বপ্নে পর্যন্ত কবিতা লেখো। ঠিক আছে তুমি কবিতা, আর রোযনামচা লিখতে থাকো। যেদিন দেখবো কোন বানান ভুল নেই সেদিন তোমার লেখার জন্য পুষ্পের পাপড়ি মেলে ধরবো।
দেখো না, তোমার কান্ড! পাঁচবার স্বপ্ন লিখেছো এভাবে, ‘সপ্ন’
ইমরান নাকীব
জামিয়া আবুবকর সিদ্দীক, উত্তরযাত্রাবাড়ী
০ তোমার লেখা পেয়েছি। তুমি লিখেছো, কলম তোমার কথা শোনে না।
কলমকে আদর-সোহাগ করে, তোয়াজ-তোষণ করে বোঝাতে চেষ্টা করতে থাকো।
যহীরুল ইসলাম
মাদীনাতুল উলূম মাদারাসা, নাটেশ্বর, সোনাইমুড়ি,
০ তোমার খাতা পেয়েছি। সম্পাদনা করে তোমার কাছে পাঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।
আশরাফুয্যামান
ঢাকা ক্যান্টনম্যান্ট, পশ্চিম মানিকদী, মাস্টারটেক
০ তোমার রোযনামচা ও লেখা রেখে দিয়েছি। রোযনামচা অসাধারণ হয়েছে। রেখে দিয়েছি, আমার নিজের লেখায় এগুলো থেকে ফায়দা গ্রহণের জন্য। তুমি আমার সঙ্গে দেখা করো।
রিফাত বিন মুফীযুল ইসলাম
আশুগঞ্জ সারকারখানা, শহীদবাড়িয়া
০ তোমার চিঠিতে তুমি লিখেছো, ‘এই দেখুন এত অল্পবয়সে কত সুন্দর রোযনামচা লিখেছি! আচ্ছা বলুন তো, আমার বয়সে আপনি কি এত সুন্দর রোযনামচা লিখতে পারতেন?
আচ্ছা, তুমি বলো তো, আমাদের সময় কি এত সুন্দর পুষ্প ছিলো?
তুমি আরো লিখেছো যে, হিফয শেষ করে তুমি মাদরাসাতুল মাদীনায় পড়তে চাও। (আমার কাছে ভালো লেগেছে যে, তুমি পড়তে চাই লিখেছো, ভর্তি হতে চাই লেখোনি।)
আল্লাহ চাহে তো আমি তোমার অপেক্ষায় থাকলাম। চিরকাল যেন তোমার মনটি এমনই সুন্দর থাকে।
‘অচেনা মানুষ, অজানা ঠিকানা’
০ তোমার লেখা পেয়েছি। যা লিখেছো তা সত্যি বেদনাদায়ক। আল্লাহ আমাদের সবাইকে অন্যায় থেকে হেফাযত করুন, আমীন। তবে তুমি আরো সংযত ভাষায় লিখতে পারতে।
আতাউল্লাহ ইবনে মাকবূল
ভাদুঘর, ভূঞাবাড়ী, বি,বাড়িয়া
০ তোমার চিঠি পেয়েছি। মা যদি (পরীক্ষার কারণে) রোযনামচা লিখতে, পুষ্প পড়তে নিষেধ করে থাকেন, তাহলে মায়ের কথা শোনাই তো কর্তব্য। তাতেই তো তোমার কল্যাণ।
মা যখন আবার পড়তে বলবেন তখন পড়বে, যখন আবার লিখতে বলেন তখন লিখবে। তখন কিন্তু আবার অলসতায় পড়া এবং লেখা বাদ দিয়ো না। আসল কথা হুকুম মানতে তোমাদের খারাপ লাগে।
আচ্ছা, তোমার কি ‘বি বাড়িয়া’ লিখতে বলেছেন?
আব্দুল করীম বিন আবু হানিফ
ধুলের চর মাদরাসা, টাঙ্গাইল সদর
০ লেখা পেয়েছি। খুশী হয়েছি। আশা করি, লেখা অব্যাহত থাকবে। পাপড়িতে কিন্তু চন্দ্রবিন্দু থাকে না!
মুঈনুল ইসলাম
মাদরাসাতু কাউছার শ্যামলীবাগ, ঢাকা
০ তুমি তোমার স্বপ্নের কথা লিখেছো। তোমার এ বাক্যটি ভালো লেগেছে, ‘আমার হৃদয়-আকাশে স্বপ্ন-মেঘেরা ভেসে বেড়ায়...’
আব্দুর্রহমান, আলফারূকী
শ্যমলী, কল্যাণপুর, ঢাকা
০ বাইতুল্লাহর যিয়ারাত সম্পর্কে তোমার লেখাটি পড়েছি। সবাইকে আল্লাহ এ সৌভাগ্য দান করুন, আমীন।
তুমি বানানের প্রতি যত্নবান হও।