আমার মুনিয়া পাখীটি খুব সুন্দর ছিলো। খাঁচার মধ্যে চুপ করে বসে থাকতো। পাখীটার জন্য আমার কী যে মায়া লাগতো! পাখীটাকে কত আদর করতাম! দানা দিতাম, পানি দিতাম, তবু পাখীটা খুশী হতো না। গান গাইতো না, চুপচাপ বসে থাকতো।
নানা বললেন, ভাইয়া, পাখীটাকে ছেড়ে দাও। আমার খুব কান্না পেলো। বারে, পাখীটা ছেড়ে দিলে আমার কষ্ট হবে না!
নানা বললেন কী! পাখীটা ছেড়ে দিলে আল্লাহ খুশী হবেন। খুশী হয়ে জাহান্নামের আগুন নিভিয়ে দেবেন।
আমি খাঁচার দরজাটা খুলে দিলাম, আর মুনিয়া পাখীটা ফুড়ুৎ করে উড়ে গেলো।
পাখীটার জন্য আমি কাঁদিনি। নানা যে বলেছেন, আল্লাহ খুশী হয়েছেন! জাহান্নামের আগুন নিভিয়ে দিয়েছেন! আর জান্নাতের বাগানে ফুল ফুটিয়েছেন! সবাইকে নিয়ে জান্নাতের ফুলবাগানে ঘুরে বেড়াবো, কত মজা হবে! নাযরানা তো খুব ছোট্ট, ওকে কোলে নিতে হবে, আর জান্নাতের গাছ থেকে ফুল পেড়ে দিতে হবে। জান্নাতের ফুল পেয়ে ও কত খুশী হবে!