আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তোমরা কোত্থেকে আসো? কোথায় যাও?
মেঘশিশু বললো, আমাদের দেশ হলো সাগরে। আল্লাহর হুকুমে আমরা বাস্প হয়ে সাগর থেকে উঠে আসি এবং আল্লাহর হুকুমে মেঘ হয়ে আকাশে ভেসে বেড়াই। আল্লাহ যখন যেখানে হুকুম করেন, আমরা বৃষ্টি হয়ে নামি। তখন মাঠে মাঠে ফসল হয়। আমরা আবার নদীর পানিতে মিশে সাগরে ফিরে যাই।
আমি বললাম, মেঘশিশু! মেঘশিশু! তুমি দুঃখ করো না। এখন থেকে আমি তোমার বন্ধু হলাম, তুমি আমার বন্ধু হলে। আমাদের দেশে যখন বৃষ্টি হবে, আমি তখন মনের আনন্দে বৃষ্টিতে ভিজবো, আর ভাববো, বৃষ্টি হয়ে তুমি এসেছো আমার সঙ্গে খেলা করতে, আমাকে আনন্দ দিতে।
মেঘশিশু ভেসে ভেসে দূরে চলে গেলো, আর আমি উড়ে উড়ে মেঘের রাজ্য পার হয়ে গেলাম। উপরের দিকে তাকিয়ে দেখি, চাঁদমামা আমারই দিকে তাকিয়ে আছেন, আর মিষ্টি করে হাসছেন। চঁদমামা যখন হাসেন, রাশি রাশি জোসনা ঝরে, আর চাঁদের জোসনায় পৃথিবীটা হেসে ওঠে।
কিছুক্ষণের মধ্যে আমি পৌঁছে গেলাম চাঁদমামার কাছে। আমাকে কাছে পেয়ে চাঁদমামা কী যে খুশী! আমিও খুশী হলাম। খুশী হবো না! কত জোসনা রাতে পৃথিবী থেকে চাঁদমামাকে দেখেছি! কত ইচ্ছে হতো চাঁদমামার কাছে আসতে, চাঁদমামাকে কাছে পেতে! সেই চাঁদ মামার বুকে আজ আমি দাঁড়িয়ে আছি!
চাঁদমামা বললেন, মনের আনন্দে আমার বুকে যত খুশী ঘুড়ে বেড়াও। আমি ঘুরে বেড়ালাম। কত কিছু দেখলাম! চাঁদেও যে এত বড় বড় পাহাড় আছে জানতাম না তো! পৃথিবী থেকে কিচ্ছু দেখা যায় না তো!
হঠাৎ পিপাসা পেলো। চাঁদমামা বললেন, আমার কাছে যেপানি নেই!আমি বললাম, তাহলে আমি পৃথিবীতে ফিরে যাই।
এবার আমি ডানা মেলে পৃথিবীর দিকে উড়তে শুরু করলাম। হঠাৎ একটি ডানা ভেঙ্গে গেলো, আর আমি ঘুম থেকে...!