আরববিশ্বে আমেরিকার সেবাদাস সরকারগুলোর বিরুদ্ধে বিক্ষভ-আন্দোলন, গণজাগরণের স্তর পার হয়ে এখন গণবিস্ফোরণের রূপ নিতে যাচ্ছে। তিনিউনিসিয়ার একনায়ক বেনআলীর পর এবার বিদায় নিলেন আমেরিকার বিশ্বস্ত বন্ধু মিসরের প্রেসিডেন্ট হুসনি মুবারক। পরিস্থিতি বুঝে চিরাচরিত নিয়মে আমেরিকাও এখন মিসরের জনগণের ‘পাশে’ দাঁড়িয়েছে। ওবামার দুশ্চিন্তা শুধু পরবর্তী শাসক নিয়ে? পছন্দের কাউকে এখনো সামনে আনতে পারেনি আমেরিকা। তাই মুবারককে আরো কিছু দিন ক্ষমতায় রাখার ইচ্ছা ছিলো, যাতে উপযুক্ত বিকল্পকে সামনে নিয়ে আসা যায়, আর তিনি হতে পারেন আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থার সাবেক প্রধান আল-বারাদি, বা মিসরের বর্তমান সেনাপ্রধান, কিংবা ভাইপ্রেসিডেন্ট। তবে আলবারাদিকে আপাতত ‘ব্যাকআপ’রূপেই থাকতে হবে মনে হয়।
সময় যত গড়াচ্ছে আমেরিকার আশঙ্কা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, ইখওয়ানুল মুসলিমীন ক্ষমতায় চলে আসে কি না, যা আমেরিকা ও ইসরাইলের কাছে রীতিমত অসহনীয়। ইতিমধ্যে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, মিসরের গণজাগরণের পিছনে ইখওয়ানই মূলশক্তি। আর আরব ও উত্তর আফ্রিকার সবচে’ প্রভাবশালী ইসলামী রাজনৈতিক দল ইখওয়ানুল মুসলিমুনের রয়েছে সাম্রাজ্যবাদ ও স্বৈশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের গৌরবময় সুদীর্ঘ ঐতিহ্য। ১৯৪৮ ও ৫৬-এর আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইখওয়ানের অনুসারীরা পেশাদার সেনাবাহিনীর চেয়েও শৌর্য-বীর্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলো। তাই ইসরাইল এখন রীতিমত আতঙ্কিত যে, তার অকৃত্রিম বন্ধু মুবারকের বিদায়ের পর মিসরে ইরানের পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি থেকে একটি বিষয় অবশ্য সুস্পষ্ট যে, মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা নীতি আজ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আরবজগণের কাছে মার্কিনিদের দ্বিমুখী নীতি এখন পরিষ্কার। কারণ তারা দেখতে পেয়েছে, আমেরিকা মুখে তো মানবতাবাদ, গণতন্ত্র ও অবাধ নির্বাচনের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে তারা তাদের স্বার্থরক্ষাকারী স্বৈরশাসকদের রক্ষা করে। ফিলিসত্মীনের নির্বাচনে হামাছ বিজয়ী হলেও তাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি, বরং দলটিকে নিশ্চি হ্ন করে দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে আগে আলজিরিয়ায়। ইসলামিক সালভেশন ফ্রন্ট সেখানে নির্বাচনে বিপুল ভাবে জয়ী হলেও ক্ষমতায় আনা হয়েছে সামারিক শাসক বুতাওফীককে। বস্ত্তত ইসলামীবিদ্বেষী এবং ইহুদী স্বার্থরক্ষাকারী ছাড়া আমেরিকার আর কোন পরিচয় আরবজনগণের কাছে নেই। পরিস্থিতিদৃষ্টে বলা যায়, মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা প্রভাব বিলুপ্ত হতে আর দেরী নেই। কারণ আরব- বিশ্বে এখন ক্ষমতায় যারাই থাকুক, বা যারাই আসুক, একটা বিষয় তারা বুঝে গেছে যে, দেশের জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করে ক্ষমতায় থাকার দিন ফুরিয়ে গেছে। আমরা নিশ্চিত যে, ইরানের সাহসী প্রেসিডেন্ট আহমদি নেজাদ-এর ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমাণিত হওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। তিনি বলেছেন, পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে উপনীত হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, ইতিহাসের ফেরাউনরাও বর্তমান বিশ্বের বলদর্পী শক্তিগুলোর মত এত বেশী অপরাধ করেনি। আর অপরাধীকে ইতিহাসের নির্ধারিত পরিণতি বরণ করতেই হবে।
আরববিশ্বে আমেরিকার সেবাদাস সরকারগুলোর বিরুদ্ধে বিক্ষভ-আন্দোলন, গণজাগরণের স্তর পার হয়ে এখন গণবিস্ফোরণের রূপ নিতে যাচ্ছে। তিনিউনিসিয়ার একনায়ক বেনআলীর পর এবার বিদায় নিলেন আমেরিকার বিশ্বস্ত বন্ধু মিসরের প্রেসিডেন্ট হুসনি মুবারক। পরিস্থিতি বুঝে চিরাচরিত নিয়মে আমেরিকাও এখন মিসরের জনগণের ‘পাশে’ দাঁড়িয়েছে। ওবামার দুশ্চিন্তা শুধু পরবর্তী শাসক নিয়ে? পছন্দের কাউকে এখনো সামনে আনতে পারেনি আমেরিকা। তাই মুবারককে আরো কিছু দিন ক্ষমতায় রাখার ইচ্ছা ছিলো, যাতে উপযুক্ত বিকল্পকে সামনে নিয়ে আসা যায়, আর তিনি হতে পারেন আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থার সাবেক প্রধান আল-বারাদি, বা মিসরের বর্তমান সেনাপ্রধান, কিংবা ভাইস প্রেসিডেন্ট। তবে আলবারাদিকে আপাতত ‘ব্যাকআপ’রূপেই থাকতে হবে মনে হয়।
সময় যত গড়াচ্ছে আমেরিকার আশঙ্কা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, ইখওয়ানুল মুসলিমুন ক্ষমতায় চলে আসে কি না, যা আমেরিকা ও ইসরাইলের কাছে রীতিমত অসহনীয়। ইতিমধ্যে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, মিসরের গণজাগরণের পিছনে ইখওয়ানই মূলশক্তি। আর আরব ও উত্তর আফ্রিকার সবচে’ প্রভাবশালী ইসলামী রাজনৈতিক দল ইখওয়ানুল মুসলিমীনের রয়েছে সাম্রাজ্যবাদ ও স্বৈশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের গৌরবময় সুদীর্ঘ ঐতিহ্য। ১৯৪৮ ও ৫৬-এর আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইখওয়ানের অনুসারীরা পেশাদার সেনাবাহিনীর চেয়েও শৌর্য-বীর্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলো। তাই ইসরাইল এখন রীতিমত আতঙ্কিত যে, তার অকৃত্রিম বন্ধু মুবারকের বিদায়ের পর মিসরে ইরানের পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি থেকে একটি বিষয় অবশ্য সুস্পষ্ট যে, মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা নীতি আজ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আরবজগণের কাছে মার্কিনিদের দ্বিমুখী নীতি এখন পরিষ্কার। কারণ তারা দেখতে পেয়েছে, আমেরিকা মুখে তো মানবতাবাদ, গণতন্ত্র ও অবাধ নির্বাচনের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে তারা তাদের স্বার্থরক্ষাকারী স্বৈরশাসকদের রক্ষা করে। ফিলিসত্মীনের নির্বাচনে হামাছ বিজয়ী হলেও তাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি, বরং দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে আগে আলজিরিয়ায়। ইসলামিক সালভেশন ফ্রন্ট সেখানে নির্বাচনে বিপুল ভাবে জয়ী হলেও ক্ষমতায় আনা হয়েছে সামারিক শাসক বুতাওফীককে। বস্ত্তত ইসলামীবিদ্বেষী এবং ইহুদী স্বার্থরক্ষাকারী ছাড়া আমেরিকার আর কোন পরিচয় আরবজনগণের কাছে নেই। পরিস্থিতিদৃষ্টে বলা যায়, মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা প্রভাব বিলুপ্ত হতে আর দেরী নেই। কারণ আরব- বিশ্বে এখন ক্ষমতায় যারাই থাকুক, বা যারাই আসুক, একটা বিষয় তারা বুঝে গেছে যে, দেশের জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করে ক্ষমতায় থাকার দিন ফুরিয়ে গেছে। আমরা নিশ্চিত যে, ইরানের সাহসী প্রেসিডেন্ট আহমদি নেজাদ-এর ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমাণিত হওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। তিনি বলেছেন, পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে উপনীত হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, ইতিহাসের ফেরাউনরাও বর্তমান বিশ্বের বলদর্পী শক্তিগুলোর মত এত বেশী অপরাধ করেনি। আর অপরাধীকে ইতিহাসের নির্ধারিত পরিণতি বরণ করতেই হবে।
আরববিশ্বে আমেরিকার সেবাদাস সরকারগুলোর বিরুদ্ধে বিক্ষভ-আন্দোলন, গণজাগরণের স্তর পার হয়ে এখন গণবিস্ফোরণের রূপ নিতে যাচ্ছে। তিনিউনিসিয়ার একনায়ক বেনআলীর পর এবার বিদায় নিলেন আমেরিকার বিশ্বস্ত বন্ধু মিসরের প্রেসিডেন্ট হুসনি মুবারক। পরিস্থিতি বুঝে চিরাচরিত নিয়মে আমেরিকাও এখন মিসরের জনগণের ‘পাশে’ দাঁড়িয়েছে। ওবামার দুশ্চিন্তা শুধু পরবর্তী শাসক নিয়ে? পছন্দের কাউকে এখনো সামনে আনতে পারেনি আমেরিকা। তাই মুবারককে আরো কিছু দিন ক্ষমতায় রাখার ইচ্ছা ছিলো, যাতে উপযুক্ত বিকল্পকে সামনে নিয়ে আসা যায়, আর তিনি হতে পারেন আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থার সাবেক প্রধান আল-বারাদি, বা মিসরের বর্তমান সেনাপ্রধান, কিংবা ভাইপ্রেসিডেন্ট। তবে আলবারাদিকে আপাতত ‘ব্যাকআপ’রূপেই থাকতে হবে মনে হয়।
সময় যত গড়াচ্ছে আমেরিকার আশঙ্কা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, ইখওয়ানুল মুসলিমুন ক্ষমতায় চলে আসে কি না, যা আমেরিকা ও ইসরাইলের কাছে রীতিমত অসহনীয়। ইতিমধ্যে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, মিসরের গণজাগরণের পিছনে ইখওয়ানই মূল
শক্তি। আর আরব ও উত্তর আফ্রিকার সবচে’ প্রভাবশালী ইসলামী রাজনৈতিক দল ইখওয়ানুল মুসলিমুনের রয়েছে সাম্রাজ্যবাদ ও স্বৈশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের গৌরবময় সুদীর্ঘ ঐতিহ্য। ১৯৪৮ ও ৫৬-এর আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইখওয়ানের অনুসারীরা পেশাদার সেনাবাহিনীর চেয়েও শৌর্য-বীর্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলো। তাই ইসরাইল এখন রীতিমত আতঙ্কিত যে, তার অকৃত্রিম বন্ধু মুবারকের বিদায়ের পর মিসরে ইরানের পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি থেকে একটি বিষয় অবশ্য সুস্পষ্ট যে, মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা নীতি আজ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আরবজগণের কাছে মার্কিনিদের দ্বিমুখী নীতি এখন পরিষ্কার। কারণ তারা দেখতে পেয়েছে, আমেরিকা মুখে তো মানবতাবাদ, গণতন্ত্র ও অবাধ নির্বাচনের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে তারা তাদের স্বার্থরক্ষাকারী স্বৈরশাসকদের রক্ষা করে। ফিলিসত্মীনের নির্বাচনে হামাছ বিজয়ী হলেও তাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি, বরং দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে আগে আলজিরিয়ায়। ইসলামিক সালভেশন ফ্রন্ট সেখানে নির্বাচনে বিপুল ভাবে জয়ী হলেও ক্ষমতায় আনা হয়েছে সামারিক শাসক বুতাওফীককে। বস্ত্তত ইসলামীবিদ্বেষী এবং ইহুদী স্বার্থরক্ষাকারী ছাড়া আমেরিকার আর কোন পরিচয় আরবজনগণের কাছে নেই। পরিস্থিতিদৃষ্টে বলা যায়, মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা প্রভাব বিলুপ্ত হতে আর দেরী নেই। কারণ আরব- বিশ্বে এখন ক্ষমতায় যারাই থাকুক, বা যারাই আসুক, একটা বিষয় তারা বুঝে গেছে যে, দেশের জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করে ক্ষমতায় থাকার দিন ফুরিয়ে গেছে। আমরা নিশ্চিত যে, ইরানের সাহসী প্রেসিডেন্ট আহমদি নেজাদ-এর ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমাণিত হওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। তিনি বলেছেন, পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে উপনীত হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, ইতিহাসের ফেরাউনরাও বর্তমান বিশ্বের বলদর্পী শক্তিগুলোর মত এত বেশী অপরাধ করেনি। আর অপরাধীকে ইতিহাসের নির্ধারিত পরিণতি বরণ করতেই হবে।