রাতের আকাশে অসংখ্য তারা, যেন মিটিমিটি জ্বলছে প্রদীপ; পূর্ণিমার রাতে কী সুন্দর চাঁদ! দিনের আকাশে উজ্জ্বল সূর্য! পৃথিবীর বুকে কত পাহাড়-পর্বত, নদী-সাগর, ঝরণা ও জলপ্রপাত। এখানে সেখানে আছে সবুজ বনানী, গাছগাছালি, পাখপাখালি। বাগানে বাগানে কত বর্ণের, কত ঘ্রাণের কত রকম ফুল! গাছে গাছে কত স্বাদের কত বিচিত্র ফল! আরো আছে মাঠভরা ফসল! নদীর তীরে আছে সাদা সাদা কাশফুল! আকাশে ভেসে বেড়ায় সাদা-কালো মেঘ, আর ডানা মেলে উড়ে কত বিচিত্র পাখী! বলো তো এসব কার সৃষ্টি? কে তিনি? তিনি আল্লাহ। সৃষ্টিজগত তাঁরই কুদরতের আলামত। তিনি সর্বশক্তিমান। -হাবীবুল্লাহ মেছবাহ মাদরাসাতুল ইহসান, উত্তরা, ঢাকা কে তিনি? বিখ্যাত এক বিজ্ঞানী একদিন বাগানে বসে ছিলেন একটি আপেলগাছেন নীচে। হঠাৎ টুপ করে একটি আপেল নীচে পড়লো। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। গাছ থেকে ফল তো নীচেই পড়বে। কিন্তু বিজ্ঞানী সাহেবের মাথায় ভাবনা শুরু হয়ে গেলো, ফল নীচের দিকে কেন আসে? ওপরের দিকে যেতে পারে না! শুধু কী ফল! উপরের দিকে ঢিল ছোঁড়ো, কিছু দূর গিয়ে আর যেতে পারে না, নীচে নেমে আসে, কেন? অনেক চিন্তা-ভাবনার পর তিনি বুঝলেন, পৃথিবীর একটি আকর্ষণশক্তি আছে, যা সবকিছুকে নিজের দিকে টেনে রাখে। তাই ফল নীচে পড়ে এবং ছুঁড়ে দেয়া ঢিল নীচেই নেমে আসে। সমস্ত গ্রহ-উপগ্রহ এবং মহাশূন্যের সকল বস্তুরই নিজস্ব আকর্ষণশক্তি আছে। এই আকর্ষণশক্তির সাহায্যে সবকিছু শূন্যে ভাসমান রয়েছে। এই আকর্ষণশক্তি কে সৃষ্টি করেছেন? আল্লাহ! বিজ্ঞানীকে এত জ্ঞান কে দান করেছেন? আল্লাহ! গাছ থেকে একটি আপেল পড়া থেকেও আমরা আল্লাহকে চিনতে পারি।