লিখেছেনঃ
আবু তালহা সাজিদ, মাদরাসাতুন্নূর, মোমেনশাহী
১১-১১-০৮ খৃঃ
প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে, এটাই কুদরতের বিধান। আমাদের প্রিয় হুযূরের আম্মা অসুস্থ ছিলেন। গতকাল আমরা কোরআন খতম করে দু‘আ করেছি, কিন্তু তাঁর সময় এসে গিয়েছিলো। মাগরিবের পর খবর এলো তিনি ইনতিকাল করেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। আমার মনে হুযূরের শোকার্ত মুখমণ্ডলটি ভেসে উঠলো। তার নিশ্চয় অনেক কষ্ট হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা একখতম কোরআন তিলাওয়াত করলাম। এশার পর কুমিল্লার হুযূর সবাইকে নিয়ে খুব কেঁদে কেঁদে হুযুরের আম্মার মাগফিরাতের জন্য দু‘আ করলেন, আর হুযূরকে যেন আল্লাহ ছবর দান করেন। পরদিন গাড়ীতে দেড় ঘণ্টার সফর করে যোহরের সময় আমরা হুযূরের বাড়ীতে পৌছলাম। যোহরের পর জানাযা হলো। হুযূর নিজেই জানাযা পড়ালেন। হুযূরের মত ধৈর্যশীল মানুষ কমই দেখেছি। তিনি খুব চেষ্টা করছেন স্বাভাবিক থাকার জন্য, তবে ভিতরের কষ্টের ছাপ চেহারায় বোঝা যাচ্ছিলো। হুযূর নিজেই আম্মাকে কবরে শোয়ালেন এবং দাফন করলেন। একজন মায়ের জন্য এটা কত বড় সৌভাগ্যের কথা! পুষ্পের বন্ধুরা, তোমরা হুযূরের আম্মার জন্য অবশ্যই মাগফিরাতের দু‘আ করবে।