লিখেছেনঃ
রাসেল হোসাইন, কাশিফুল উলূম, মধুপুর, টাঙ্গাইল
যেদিন এ নামটি শুনলাম, সেদিনই এ নামের মানুষটিকে ভালোবাসলাম, আর হৃদয়ের গভীরে একটি স্বপ্ন লালন করলাম তাঁর নূরানী চেহারা দেখার, তাঁর পবিত্র হাত স্পর্শ করার এবং তার মূল্যবান উপদেশ শোনার। বন্ধু যোবায়রকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম এবং যথাসময়ে সেখানে পৌঁছলাম। তিনি তখন মসজিদে ইতিকাফ করছেন। দুরু দুরু বুকে উপস্থিত হলাম। বারবার ভাবছি, কেমন হবে প্রথম অবলোকন? কেমন হবেন তিনি, কোমল না কঠোর? কীভাবে তিনি আমাদের গ্রহণ করবেন, হাসিমুখে, না গম্ভীর মুখে?
প্রথম অবলোকনেই অভিভূত হলাম! এত সহজ, সরল, আন্তরিক এবং এত স্পষ্ট! মুছাফাহার মাধ্যমে তাঁর পবিত্র হাতের স্পর্শও পেলাম, অবর্ণনীয় একটি সুখ ও সৌভাগ্যের অনুভূতি হলো। অনেক কথার মধ্যে একটি কথা বললেন, দেখো, রামাযান ঘোরা-ফেরা করার মাস না। রামাযান হলো আগামী বছরের জন্য হৃদয় ও আত্মায় শক্তি অর্জন এবং কাজের জন্য জ্বালানী সংগ্রহ করার মাস।
নিজেকে মনে হলো তাঁর খুব কাছের একজন মানুষ। তেমন আচরণই তিনি করলেন; মাদরাসায় রাত্রিযাপন করতে বললেন, তাঁর দস্তরখানে বসে ইফতার করার সৌভাগ্য হলো। সেদিনকার সুখ ও সৌভাগ্যের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার সাধ্য আমার নেই। আল্লাহ তাঁকে হায়াতে তাইয়েবা দান করুন এবং তাঁর প্রতিটি উপদেশের উপর আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।