শিশু-কিশোর ও নবীনদের পত্রিকা

মাসিক আল-কলম-পুষ্প

মুহররম.১৪৪০হিঃ (৩/৬) | কচি ও কাঁচা

পুষ্পকলি! ও পুষ্পকলি!



পুষ্পকলি, ও পুষ্পকলি!আগামী দিনের ফুলগুলি!! বুলবুলি, ও বুলবুলি!এসো বাগানে ফুল তুলি!!ফুলের মালা গলায় দিয়েপরীর দেশে পথচলি!!ছোট্ট খোকা, ছোট্ট খুকি! আমার ছোট্ট একটি সালাম নাও। তারপর এই নাও তোমাদের প্রিয় পুষ্প! পুরো পুষ্পটা অবশ্য তোমাদেরজন্য নয়, তোমাদের জন্য হলো এই পাতাগুলো, যার গায়ে লেখা ‘পুষ্পকলি’। দেখো তো এবারের সজ্জাটা কেমন হলো! আমি যদি বলি, আহা, কী যে সুন্দর! যেন পরীর দেশের পরীরা সাজিয়েছে!! যদি বলি তাহলে তোমরা আবার বলবে, ইস, দেখো বুড়োর কা-! নিজের মুখে নিজের তারিফ। বাংলাভাষায় কী যেন বলে এটাকে! ‘নিজে বাজায় নিজের ঢোল!’থাক, নিজের মুখে কিছু বলবো না, আর নিজের ঢোল নিজে বাজাবো না। তোমরাই বলো, কেমন হয়েছে এবার পুষ্পের সজ্জা!? এই নাও না আমার ঢোলটা, দাও না বাজিয়ে বারোটা!! কী বললে! তেমন আহামরি কিছু হয়নি!! আরো সুন্দর হতে পারতো!!এই বুঝি তোমাদের ইনছাফ! দিলে কি দয়া-মায়া কিচ্ছু নেই!! আচ্ছা, তেমন আহামরি না হয় না-ই হলো, বুড়ো মানুষটাকে খুশী করার জন্য তো বলতে পারতে, হয়েছে, অনেক সুন্দর হয়েছে, কাকের বাসার চেয়ে সুন্দর!!ঠিক আছে, আগামী সংখ্যাটা দেখো, কেমন সুন্দর করে সাজাই! একেবারে রঙধনুর মত সাজাবো সাতটি রঙ দিয়ে! দেখে তোমরা আর চোখ ফেরাতে পারবে না, বলে রাখলাম।আচ্ছা, সজ্জা টজ্জা বাদ দাও। লেখার কথা বলো। যেগুলো তোমরা লিখেছো, বলবেই তো, আহা কী যে সুন্দর! যেন রাতের আকাশের তারাগুলো, যেন বসন্তের বাগানের ফুলগুলো, যেন সাঁঝের বেলা জোনাকির আলোগুলো!!অমি যে এতগুলো লেখা লিখলাম তোমাদের জন্য! একবার পড়ো তো! তারপর বলো...কী বললে, একটাও আমার লেখা নয়, সব লিখে দিয়েছে আমার ঘরের বুড়িটা! বললেই হলো! রাত জাগলাম আমি, আর লিখলো আমার বুড়ি!! ও তো সারা রাত ঘুমিয়ে থাকে মনের সুখে!! নাহ, তোমরা সবক’টা জুটেছো আমার শত্রু! থাক, তোমাদের বলতে হবে না কিচ্ছু। আমার নাতি আর নাতিনটাই বলুক সবকিছু!!অন্তত বানানের জলসাটা যে আমি লিখেছি, বিশ্বাস করবে তো!? এই বুড়ো বয়সে বুঝি বলবো মিছে কথা! তাও তোমাদের সঙ্গে! পুষ্পকলিদের সঙ্গে!! নাহ, যাও, এই দিলাম আড়ি! এখন থেকে বুড়িটাই হোক সম্পাদক দাদি! লিখুক না ও যত পারে কাকের ছা, বকের ছা! আমি দিলাম লম্বা একটা ঘুম। সময় মত জাগিয়ে দিয়ো যেন আমাকে! লিখতে হবে তো তোমাদের জন্য নতুন করে, আরো সুন্দর করে, যেন মনটা তোমাদের ভরে!! ওম্মা! আমি না দিলাম আড়ি!! আড়িটা গেলো কার বাড়ি! আড়িটাও হয়েছে দুষ্টের ধাড়ি! থাক, আড়ি দিলাম কাট্টা!!