শিশু-কিশোর ও নবীনদের পত্রিকা

মাসিক আল-কলম-পুষ্প

আল কুদসসংখ্যা (৩/২) | আল কুদসসংখ্যা (বিশেষ).

ইসলামীদলগুলোর নেতৃবৃন্দের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন!

 

আরাকানট্রাজেডির সময় আমরা যা বলেছি এখনো তা বলার প্রয়োজন বোধ করছি। দুঃখজনক বাস্তবতা এই যে, ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর শত্রুরা বরাবরের এবারও দেখলো, এমনকি বাইতুল মাকদিস ও মসজিদুল আকছার মত একটি ধর্মীয় সংবেদনশীল বিষয়েও দেশের ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ ও অভিন্ন কোন কর্মসূচী পালন করতে পারেনি। আমরা লক্ষ্য করেছি, ছোট ছোট সমাবেশ থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মত একটি দেশের দূতাবাস ঘেরাও করার চেষ্টা চলছে। প্রত্যেক দল থেকে একটা করে স্মারকলিপি পেশ করা হচ্ছে। আমাদের খুবই সন্দেহ, ঐ স্মারকলিপিগুলো দূতাবাসের ভিতরে গিয়ে কাগজের টুকরোর চেয়ে বেশী মূল্য পেয়েছে কি না।

কত আনন্দের বিষয় হতো, ইসলামী দলগুলো যদি সর্বদলীয় পরিষদ গঠন করতো এবং লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করতো। যদি সকল দলের সম্মিলিত বিশাল সমাবেশ হতো এবং সেখান থেকে বিশাল মিছিল দূতাবাস ঘেরাও করার জন্য অগ্রসর হতো। তখনো পুলিশের বাধা আসতো। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত লোকেরা হিমশিম খাওয়া অবস্থার সম্মুখীন হতো। তখন সেটা হতো ঐ দিনের পত্রপত্রিকার প্রধান খবর। আমরা আশা করি, দেশের সবক’টি ইসলামী দলের ‘প্রধানগণ’ নিজেদের অবস্থানগত এ দুর্বলতাটা অনুভব করবেন

এবং জাতীয়  ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে সবাই মিলে মিশে অভিন্ন কর্মসূচী পালন করার উদ্যোগ নেবেন।

অন্তত এই একটি ক্ষেত্র তো এমন হওয়া উচিত যেখানে জাতিকে এবং বিশ্বকে আমরা দেখাতে পারি যে, আমাদের ব্যানার ও কর্মপন্থা ভিন্ন হতে পারে, তবে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অভিন্ন এবং আমরা এক হয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার যোগ্যতা রাখি।

প্রশ্ন হবে, কথা তো ভালো, তবে এক্ষেত্রে প্রথম উদ্যোগ কে গ্রহণ করবে?

আমাদের কথা হলো, যে দল সবার বড় সংখ্যায় বা আদর্শে এবং ইখলাছ, তাকওয়া ও আল্লাহর প্রতি আত্মনিবেদনের ক্ষেত্রে সে দলই এগিয়ে আসবে এবং ঐক্যবদ্ধতার স্বার্থে অন্তত কিছু সময়ের জন্য নিজেদের সর্বপ্রকার দলীয় পরিচয় ত্যাগ করে সামনে অগ্রসর হবে। কোন না কোন দলকে তো এগিয়ে আসতে হবেই।