আল কুদসসংখ্যা (৩/২)

কাশগর ও কায়রো

কী অমার্জনীয় অজ্ঞতা?! কী কারণ? কী প্রতিকার?!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

আমাদের অজ্ঞতার পরিমাণ দেখে মাঝে মধ্যে হতবাক হয়ে পড়ি। অন্যের কথা বলতে চাই না। সবার আগে বলতে চাই নিজের কথা। জেরুসালেম নিয়ে এই যে কেয়ামতের তুফান শুরু হয়ে গেলো এর আগ পর্যন্ত আমার জানাই ছিলো না, জেরুসালেম ও বাইতুল মাকদিস একই শহরের দুই নাম। আরব ও মুসলিম উম্মাহ বলে আলকুদস, বাইতুল মাকদিস, ইহুদি ও অন্যরা বলে জেরুসালেম।

বিশ্বের প্রধান তিনটি ধর্ম ইহুদি, খৃস্টান ও ইসলাম, সবধর্মের অনুসারীদের কাছেই এ শহর পবিত্র।

যে শহর তিনটি ধর্মের অনুসারীদের কাছে পবিত্র সেই শহরের একক মালিকানা সঙ্ঘাত-সঙ্ঘর্ষের কারণ হতেই পারে। এর মধ্যে যদি ঐ ধর্মের লোকেরা হয় অসহিষ্ণু, নির্মম, নিষ্ঠুর! ইতিহাস থেকে জানা যায়, ঘটনাক্রমে জেরুসালেম বা বাইতুল মাকদিস তিনটি ধর্মেরই একক কর্তৃত্বে দীর্ঘকাল ছিলো। শুরুতে ছিলো মুসলমানদের হাতে, যখন তা হযরত ওমর রা,-এর যামানায় মুসলিম বাহিনী অধিকার করে। সেটা ১৭ হিজরী বা ৬৩৮ খৃ.-এর ঘটনা। ইতিহাসের প্রমাণিত সত্য এই যে, তিনধর্মের মানুষ তখন পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা সেখানে ভোগ করেছে। তারপর তা চলে যায় খৃস্টান ক্রুসেডারদের দখলে। ইতিহাস বলে, তখন এই পবিত্র শহরে মুসলিম গণহত্যা সঙ্ঘটিত হয়েছে চরম নৃশংসভাবে। এমনকি ইহুদীরাও পায়নি রেহাই। সেটা ছিলো হি. ৪৯২ এবং খৃ ১০৯৬ এর ঘটনা।

এরপর আবার তা মহান গাজী ছালাহুদ্দীন মুসলিম অধীনে আনেন। তখনো সবধর্মের মানুষ সেখানে শান্তিতে বাস করেছে, যার সাক্ষ্য অমুসলিম ঐতিহাসিকের কলমেও এসেছে। সেটা ৫৮৩/২৭শে রজবের ঘটনা

তারপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে তা ইহুদিদের দখলে চলে যায়, যা আজো অব্যাহত রয়েছে।

ইহুদিদের দখলে তো আলআকছা মসজিদও নিরাপদ নয়। এক ধর্মান্ধ ইহুদি ইসরাইল সরকারের প্রশ্রয়ে ১৯৬৯ সনের ২১শে আগস্ট মুসলিম উম্মাহর প্রথম কেবলা আলআকছা মসজিদে অগ্নিসংযোগ করেছিলো।

গত ৬ই ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র জেরুসালেমকে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের রাজধানী বলে ঘোষণা করেছে, যা মুসলিম উম্মাহকে ব্যথিত, মর্মাহত এবং ক্ষব্ধ করেছে।

পুরো মুসলিম আজ ক্ষোভে ফেটে পড়ছে। ...

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা