আরাকান সংখ্যা (৩/১)

আরাকানসংখ্যা (বিশেষ).

২০১২ সাল থেকে ধর্মপালন নিষিদ্ধ রোহিঙ্গসন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার সুযোগ নেই রোহিঙ্গাদের। সেটা অনেক আগে থেকেই। তাই সাধারণত রোহিঙ্গাদের সন্তানরা মাদরাসায় লেখা-পড়া করতো। ফলে একমাত্র কাওমি মাদরাসাই ছিলো রোহিঙ্গাদের লেখাপড়ার স্থান, যদিও সেখানে শুধু প্রথাগত দ্বীনী শিক্ষারই সুপ্রাচীন ব্যবস্থার প্রচলন ছিলো। ২০১২ সালের অক্টোবর মাস থেকে ঐ সুযোগটিও বন্ধ হয়ে যায় বলে নয়া দিগন্তের গত ২৩শে সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রকাশ। ঐ সময় থেকে রোহিঙ্গা শিশুরা লেখাপড়া কী জিনিস, বা উন্নত মানুষ হওয়ার জন্য যে লেখাপড়া খুব জরুরি জিনিস তা তাদের ধারণার মধ্যেই আসেনি। সেনাবাহিনী মৌখিক নির্দেশে মাদরাসা সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি মসজিদে গিয়ে তাদের নামায পড়া ও ধর্মপালন করাও নিষিদ্ধ। মসজিদ-মাদরাসাগুলো সেনাবাহিনী তালাবদ্ধ করে দিয়েছে, আর তদারকের দায়িত্ব দিয়েছে স্থানীয় মগ ও নাডালা বাহিনীকে। ২০১২ সালের ৯ই অক্টোবরের পর রোহিঙ্গারা আর কখনো মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে পারেননি। দাড়ি রাখা ও টুপি পরাও নিষিদ্ধ, যা অমান্য করলে কঠিন নির্যাতন ভোগ করতে হতো। ঐ সময়ের পর থেকে রোহিঙ্গাদের সন্তানরা যা কিছু লেখাপড়া, ঘরে বসেই করেছে। এমনকি একপাড়া থেকে অন্য- পাড়ায়, বা একবাড়ি থেকে অন্যবাড়িতে গিয়ে লেখাপড়া করাও ছিলো অপরাধ। লেখাপড়া ছাড়াও জরুরি থেকে জরুরি প্রয়োজনেও রোহিঙ্গাদের অধিকার বা সুযোগ ছিলো না একপাড়া থেকে অন্যপাড়ায় যাওয়ার। প্রতিবেদক বলেন, রোহিঙ্গাশিবির গুলোতে ঘুরে আশ্রয়গ্রহণকারী আলিম, ইমাম, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষের কাছ থকে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।

* হে বাংলাদেশের আলেমসমাজ, শতাব্দী আগেই জাগ্রত হওয়া উচিত ছিলো। এখন অন্তত জাগ্রত হও!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা